আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (19 points)
১ নবিজি কি গরম খাবার খেতে নিষেধ করেছেন যেগুলো অনেক গরম না আবার গালে নিলেও গরম লাগে?

২ কেউ গুনাহের কাজে যুক্ত কিনা তা কি তার অজান্তে খোজ নেওয়া  যাবে?

3 যদি কাউকে বলি বেশি বেশি দুরুদ পড়বেন অনেকদিব পরে যদি বলি আপনি যতটুকু পারবেন ততটুকুই পড়বেন এখন আমি কি যতটুকু  পারবো ততটুকু পড়তে পারবো?

৪ পুকুরে পানি অল্প আছে এতে নাপাক পরলে তাতে পানি সাথে মিশে যায় রঙ আগের মতই আছে  এখন কি অইটায় ফরজ গোসল করা যাবে?

৫/কেউ যদি গান শুনে তার আশে পাশে বসে থাকা যাবে?

৬/ আমি স্টুডেন্ট পড়ানোর সময় পড়ার মাঝে গল্প হয়ে যায় তো অই টাইম টা পুরন করার জন্য ওওদের শুক্রবার এ আসার জন্য বলি কিন্তু ওরা আসে না আমি জানি ওরা আসবে না তাও বলি এখন আমার টাকা কি হালাল হবে?

৭ রাতে কি সব পাত্র ঢেকে রাখতে হবে হাদিসে যে আছে? যদি অসুবিধা থাকে

1 Answer

0 votes
by (549,210 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/87848/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছে-

[عن عبد الواحد بن معاوية بن خديج:] نَهى عنِ الطَّعامِ الحارِ حتّى يبرَدَ.

السيوطي (ت ٩١١)، الجامع الصغير ٩٣٥٦  •

মার্মার্থ: রাসূল সা. এমন গরম খাবার যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা খেতে নিষেধ করেছেন।

উরওয়া রাহ. বর্ণনা করেন, (খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত আবু বকর রা.-এর বড় কন্যা) আসমা রা. যখন ছারীদ (এক ধরনের খাবার) প্রস্তুত করতেন তখন ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত তা খেতেন না। এবং বলতেন

إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَقُولُ: " إِنّهُ أَعْظَمُ لِلْبَرَكَةِ.

আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তা (খাবার ঠা-া করে খাওয়া) অধিক বরকতের কারণ। 
(মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৬৯৫৮; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৫২০৭)

হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলতেন, খাবারের ভাপ না যাওয়া পর্যন্ত তা খাওয়া উচিত নয়। 
(সুনানে কুবরা, বায়হাকী, বর্ণনা ১৪৬৩১; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, বর্ণনা ৫৫১৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাসূল সা. এমন গরম খাবার যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা খেতে নিষেধ করেছেন।

সহনীয় মাত্রার গরম খাবার খাওয়া যাবে।
শর্ত হলো শরীরের যেনো তাহা ক্ষতিকর না হয়।

(০২)
আপনার অধিনস্থ না হলে এমন খোঁজ নেয়া যাবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, পারবেন।

(০৪)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ- 

(০৫)
এক্ষেত্রে নিজের কানে গানের আওয়াজ আসলে তার পাশে বসে থাকা যাবেনা।
প্রথমে তাকে নিষেধ করতে হবে।

নিষেধ করা সত্ত্বেও কাজ না হলে সেই স্থান ত্যাগ করতে হবে।

(০৬)
আপনি যদি তাদেরকে নিয়ম অনুযায়ী সাধ্যের মধ্যে থেকে পড়ানোর চেষ্টা করেন,তারপরেও মাঝে মধ্যে গল্প হয়ে গেলে এর দরুন আপনার ইনকামে কোনো সমস্যা হবেনা।
ইনকাম হালাল থাকবে।

(০৭)
পাত্রে খাবার,পানি থাকলে তাহা ঢেকে রাখা সুন্নাত। অন্যথায় ঢেকে রাখা আবশ্যক নয়।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...