জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক্ষেত্রে হাক্কানী শায়খদের কিতাব পড়ে তাদের দেয়া সবক আদায় করতে পারবে, সেই অনুযায়ী আমল করতে পারবে।
চাইলে মাহরামের মাধ্যমে কোনো হক্কানী শায়েখ হতে আমল জেনে নিবে।
এক্ষেত্রে মাহরামকে হক্কানী শায়েখের কাছে পাঠাতে হবে,নিজে নয়।
(০২)
“মা” শব্দটি অনেক সময়ই সম্মানসূচকভাবে ব্যবহৃত করা হয়। মা সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তাই আমরা অনেক সময়ই বলে থাকি, উক্ত মহিলা আমার মায়ের মত। এর মানে তিনি আমার আসল মা হয়ে যান না। বরং এটি সম্মান বুঝানোর জন্য বলে থাকি। এটাই আমাদের সমাজের রীতি।
হযরত ফাতিমা রাঃ কেও আমাদের দেশের মানুষ সম্মান প্রদর্শন হিসেবে মা বলে থাকেন। এতেও কোন সমস্যা নেই।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোনো ফুকাহায়ে কেরাম ফাতেমা রাঃ এর সাথে মা শব্দ ব্যবহার করেননি।
আমাদের সমাজে সম্মানার্থে কেহ কেহ বলে থাকেন,সুতরাং এটি বলাতেও কোনো সমস্যা নেই। না বলাতেও কোনো সমস্যা নেই।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর স্ত্রীদের যে মা বলা হয়,সেটা মূলত তাদেরকে বিবাহ করা জায়েজ নেই,সেই অর্থে।
একটি বর্ণনাতে পাওয়া যায়,
عن عائشۃ رضی اللہ عنہا: أن امرأۃ، قالت لہا: یا أمۃ، فقالت لہا: لست لک بأم، إنما أنا أم رجالکم، قال ابن العربی وہو الصحیح
قال ام المومنین صدیقہ رضی اللہ تعالٰی عنہا
انا ام رجالکم ولست ام نسائکم‘
(درمنثور بحوالہ ابن سعد وابن المنذر والبیہقی تحت آیہ اولٰی بالمومنین الخ آیت ا العظمی المر عشی ایران)
সারমর্মঃ-
আয়েশা রাদিয়াল্লাহ আনহা থেকে বর্ণিত একজন মহিলা তাকে বলেছেন হে মা, তখন আয়েশা রাঃ বলেছেন আমি তোমার মা নই, আমি তোমাদের পুরুষদের মা। অন্য একটি বর্ণনা এসেছে রাসুলের এক স্ত্রী বলেছেন যে আমি তোমাদের পুরুষের আমি তোমাদের মহিলাদের মা নই।
(০৩)
এক্ষেত্রে চিকিৎসার পাশাপাশি নিম্নোক্ত হাদীসে বর্ণিত দোয়াটি পাঠ করতে পারেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান! আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি—
َاللّهمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِيْ اللَّهمَّ عَافِنِيْ فِي سَمْعِيْ اللَّهمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لَا إلهَ إلَّا أنْت
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।
‘হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নাই।’ তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করতে শুনেছি। সে জন্য আমিও তার নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯০)