আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামুয়ালইকুম হুজুর। আমি একজন যুবক,আমার একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে সেটি হল আমি প্রায় চিন্তায় থাকি এটা নিয়ে যে আমার শিরক হয়ে গেল কিনা।
ধরুন আমি আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে হাঁটতেছি তো হঠাৎ একটা মেয়ে পড়ল সামনে আমি ওই মেয়ের দিকে তাকাই নি আমার গার্লফ্রেন্ড রাগ করবে বলে,ঝগড়া হবে বলে এরপর আমি একটা মেয়ের সাথে কথা বললাম গোপনে কিন্তু আমার গার্লফ্রেন্ডকে জানাই নি ও রাগ করবে বলে। তো হুজুর এসব কর্মকান্ডে কি শিরক হচ্ছে? কারণ আমার তো আল্লাহর ভয়ে ওইগুলা থেকে বিরত থাকার কথা কিন্তু আল্লাহর ভয়ে বিরত মা থেকে গার্লফ্রেন্ড রাগ করবে ঝগড়া করবে সেজন্য বিরত থাকি তাহলে কি এটা শিরকের পর্যায়ে পড়বে? দয়া করে একটু জানাবেন, আমি খুব অশান্তিতে আছি এ টেনশনে।

1 Answer

0 votes
by (570,960 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত কোনো পুরুষ মহিলার সাথে ইনবক্সে কথা বলতে পারবে না।

বেগানা গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ না করতে কটুর হুশিয়ারী হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে .....
 ﻋﻦ ﻣَﻌْﻘِﻞَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ
، ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ :
" ﻷَﻥْ ﻳُﻄْﻌَﻦَ ﻓِﻲ ﺭَﺃْﺱِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺑِﻤِﺨْﻴَﻂٍ ﻣِﻦْ
ﺣَﺪِﻳﺪٍ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﻤَﺲَّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻻ ﺗَﺤِﻞُّ ﻟَﻪُ " .
)ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ " ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ " ( /20 211 ـ 212 ) ﺭﻗﻢ ( 486 ، 487 ) ، ﻭﺍﻟﺮﻭﻳﺎﻧﻲ ﻓﻲ " ﻣﺴﻨﺪﻩ " ( /2 323 ) ﺭﻗﻢ ( 1283 ) ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺷﺪﺍﺩ ﺑﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺮﺍﺳﺒﻲ ، ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖُ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﺸﺨﻴﺮ ﻳﻘﻮﻝ : ﺳﻤﻌﺖُ ﻣﻌﻘﻞ ﺑﻦ ﻳﺴﺎﺭ ﻳﻘﻮﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻓﺬﻛﺮﻩ(
তরজমাঃ- তোমাদের মাথায় লোহার সুই দ্বারা যখম করাই উত্তম হবে কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ করা থেকে।
অন্যত্র বর্ণিত আছে....................
ﻋﺎﺋﺸﺔ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) : ﻻ - ﻭﺍﻟﻠﻪ - ﻣﺎ ﻣﺴﺖ ﻳﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) ﻳﺪ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻗﻂ ﺇﻻ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻳﻤﻠﻜﻬﺎ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 6674 ) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ( 3470 ) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 3228 ) ، ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ( 2866 ) ، ﻭﺃﺣﻤﺪ ( 23685 )
তরজমাঃ- আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:আল্লাহর ক্বসম!নবীজী সা:এর হাত কখনো কোনো বেগানা মহিলার হাতকে স্পর্শ করেনি।আরও অনেক সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,গায়রে মাহরাম পুরুষ-মহিলার দেখা-সাক্ষ্যাৎ সম্পূর্ণ হারাম।
ﻣﺎ ﺧﻼ ﺭﺟﻞ ﺑﺎﻣﺮﺃﺓ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ
ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺛﺎﻟﺜﻬﻤﺎ " – ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 2165 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ( 1758
তরজমাঃ-কোনো পুরুষ যদি কোনো মহিলার সাথে নির্জনে একাকী বসবাস করে,তাহলে তাদের সাথে তৃতীয়জন আরেকজন হল শয়তান।অর্থাৎ শয়তান সর্বদাই তাদেরকে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।প্রোফাইল পিকচারে প্রাণীর ছবি দেওয়া,পুরুষের হোক বা মহিলার হোক সর্বাবস্থায় হারাম।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অবৈধ প্রেম ভালবাসার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন তাওবাহ করবেন।এই হারামে থেকে কোনো ইবাদতের আসল মর্মার্থ বুঝতে পারবেন না।  প্রশ্নের বিবরণমতে শিরক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...