আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (15 points)
এক পুরুষ মানুষ ২ দিন গ্যাপ রেখে রেখে গোসল করেন, এই অভ্যাস বিগত ৫-৬ বছর থেকেই।
এটা উনার মা অনেক অপছন্দ করেন। আজকে যোহরের সময় উনার মা বলেছিলেন যে, "গোসল করে নামাজ পড়ে নেয়।"

কিন্তু ওই ছেলে গোসল করে নাই। উপোরক্ত কথা বলার পর ৩০ মিনিট পরে ওয়াশরুমে গিয়েছে ফ্রেশ হতে এবং সাথে ওযু ও করেছে। কিন্তু গোসল করে নাই। ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে উনার মা জিজ্ঞেস করলো, "কি রে গোসল করে নামাজ পড়বি না?"
উত্তরে ছেলে বললো, "না, আমি আজকে গোসল করবো না কিন্তু আমি ওযু করে নিয়েছি এভাবে নামাজে যাচ্ছি।"

ছেলের এই কথা শুনার পর মা বললেন, "গোসল না করে বাল ছিড়াতে যাচ্ছে।"

মায়ের এইরকম জবাব আমার কাছে খুব খারাপ লাগছে। কারন, ওই ব্যক্তি গোসল না করুক, কিন্তু নামাজে যাচ্ছে। আবার উনার মা, ছেলে গোসল না করে যাওয়াতে বলছেন "বাল ছিড়তে যাচ্ছে। "

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ছেলে বলছে গোসল না করে নামাজে যাচ্ছে, আবার তার মা প্রতিউত্তরে বলছে "বাল ছিড়তে যাচ্ছে"।
এটা তো নামাজ কেই অপমান কিংবা গালি দেয়া হচ্ছে না?
ওই ছেলের মায়ের এরকম কথা বলাতে ঈমান চলে যাবে কি? কারন, ছেলে বলেছে গোসল না করে নামাজে যাচ্ছে, আর মা বলেছে, "বাল ছিড়তে যাচ্ছে"

1 Answer

0 votes
by (606,150 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।]- (সহীহ বোখারী-১)

উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,
الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)
প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1266 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ মায়ের উদ্দেশ্য নামাযকে অপমান করা নয়, বরং গোসল না করাকে তিনি হেয়পতিপন্ন করে ছেলেকে তিরস্কার করছেন। এজন্য ঐ মায়ের কুফরি হবে না।হ্যা, মায়ের উচিৎ, সংযমী ভুমিকা পালন করা এবং অশ্লীলতাকে পরিহার করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...