আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
182 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম, ডিমের উপর একদিকে নাপাক ছিলো, অন্য পাশে ভালো থাকায় ডিম না ধুয়ে সাবধানে ভাঙতে গেলে ডিমের ভিতরের সাদা অংশ ডিমের উপরের নাপাকিতে লেগে যায়। ডিমের উপরের নাপাকি শুকনো ছিলো, নাপাকিতে টাচ হয়ে পাত্রে ঢালা হয়। কোন যায়গায় নাপাকি টাচ হয়েছে বুঝা যাচ্ছে না  এ অবস্থায় কি ডিমের সাদা অংশ নাপাক হয়ে গেছে, ডিমটা খাওয়া যাবে না?

২) ডিমের উপর পরিষ্কার করলে অনেক সময় দেখা যায় নাপাকি চলে গেছে কিন্তু  তার দাগ আছে, আরো ঘষে এ দাগ তুলতে হয়। এ দাগ কি নাপাক? এ দাগ কি তুলে ফেলা আবশ্যক?

৩) একটা নাপাক ভেজা কাপড় অনেক গুলো পবিত্র ভেজা কাপড়ের সাথে রাখা হয়েছিল এবং সেগুলো দড়িতে শুকাতে দেয়া হয়। এজন্য কি সব কাপড় ও দড়ি নাপাক হয়ে গিয়েছে?
পরে আমি সব কাপড় আবার ধুই।  এবং ভেবেছি যে দড়িতে শুকাতে দিয়েছিলাম কাপড় গুলো সে দড়িও ধুবো। কিন্তু দড়ি ধোয়ার আগেই আমার হাজবেন্ড দড়িটা একটা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে আমার নতুন ভাবে ধোয়া কাপড় গুলো সেই দড়িতে শুকাতে দিয়ে ফেলেছে।  এখন আমার নতুন ভাবে ধোয়া কাপড় গুলো কি আবার নাপাক হয়ে গেছে? আবার কি সব কাপড় ও দড়িটা ধুতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হালাল প্রাণীর আটটি অংশ খাওয়া নিষেধ।
১. পুরুষ লিঙ্গ। ২. স্ত্রী লিঙ্গ। ৩. মুত্রথলি। ৪. মেরুদণ্ডের ভেতরের মগজ বা সাদা রগ। ৫. পিত্ত। ৬. অন্ডকোষ। ৭. চামড়ার নিচের টিউমারের মতো উঁচু গোশত। ৮. প্রবাহিত রক্ত। তবে এগুলোর ৮ম প্রকার প্রবাহিত রক্ত অকাট্য হারাম, বাকিগুলো মাকরুহে তাহরিমি। (আহসানুল ফাতাওয়া ৭/ ৪০৭)

প্রবাহিত রক্ত অকাট্য হারাম। এর দলিল হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার বাণী;

قل لاَّ أَجِدُ فِي مَا أُوْحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلاَّ أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ

আপনি বলে দিন, যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র। (সূরা আলআনআ’ম ১৪৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে ডিম ভাঙ্গার পর তাতে কোনো নাপাকির চিহ্ন বা গন্ধ পাওয়া না গেলে সেই ডিম পাক বলেই বিবেচিত হবে। সেই ডিম খাওয়া হালাল।

(০২)
এ দাগ তুলে ফেলা আবশ্যক নয়।
তবে সতর্ক থাকবেন,যাতে করে ডিম ভাঙ্গার সময় তাতে এই নাপাকির মিশ্রণ না হয়।

(০৩)
প্রথমে নাপাক কাপড় যে দড়িতে শুকাতে দিয়েছিলেন,সেটা কি ৩ বার ধোয়ার পর নাকি ধোয়ার আগে?
ধোয়ার আগে হলে তাতে ভেজা নাপাকি ছিলো না কি শুকনো নাপাকি ছিলো?
ভেজা নাপাকি থাকলে তার পরিমান কেমন ছিলো,কাপড় কি চিপলে নাপাক বের হবে, এমন?

বিস্তারিত কমেন্ট বক্সে জানালে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
প্রথমে দড়িতে যে কাপড় গুলো শুকাতে দিয়েছিলাম সেগুলো আমি ৩ বার ধুয়ে নিয়েছিলাম, কিন্তু শুকাতে দেয়ার আগেই একটা কাপড়ে একটু নাপাক পানি লেগে যায় যা আমি খেয়াল না করে অন্য ধোয়া কাপড়গুলোর সাথে রেখে দেই এবং পরে দড়িতে শুকাতে দেই। শুকাতে দেয়ার পর আমি বুঝতে পেরে সব কাপড় আবার বাথরুমে নিয়ে ৩ বার করে ধুয়ে ফেলি। এরপর দড়িটাও ৩ বার ধুতে চেয়েছি কিন্তু তার আগেই আমার হাজবেন্ড একটা ভেজা গামছা দিয়ে দড়িটা একটু মুছে দড়িতে আমার নতুনভাবে ধোয়া কাপড়গুলো শুকাতে দিয়ে দিয়েছে। এখন দড়ি আর কাপড়গুলো কি পবিত্র নাকি অপবিত্র? 

আর উস্তাদ প্রথম প্রশ্নে বলেছি যে ডিমের খোসায় নাপাকি ছিলো, ডিম পাত্রে ঢালার সময় ডিমের সাদা পানি নাপাকিতে টাচ হয়ে পাত্রে ঢালা হয়েছে, এক্ষেত্রে তো নাপাকির গন্ধ বা চিহ্ন ডিমে নেই, শুধু টাচ হয়েছিলো। ডিম এর সাদা পানি কি সেক্ষেত্রে নাপাক? সাদা অংশের যে যায়গায় টাচ হয়েছে আঠালো হওয়ায় সেটা বের করাও সম্ভব না
by (574,260 points)
দড়ি আর কাপড় গুলো পবিত্র।
প্রশ্নের বিবরন মতে ডিমের সাদা পানি পাক।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...