আসসালামু আলাইকুম,
হুজুর, সেটির কপি তো আমার কাছে নেই। তবে যা কিছু লেখা ছিলো কিছু মনে আছে। তাছাড়া উকিলরা তাদের কাছে আগে থেকেই ফরমেট রেডি করে রাখে সত্য মিথ্যা সব এক করে সাজিয়ে। আমি ওই ফরমেট টা পড়ে যা কিছু মিল পেয়েছি ওগুলো রেখে দিয়েছি আর যেটা মিথ্যা মনে হয়েছে সেগুলো কেটে দিয়েছি।তারপর সেটি রেডি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আমার গায়ে হাত তুলতো,রাত বিরাতে ঘরে ফিরে, ব্যবহার খুব খারাপ করতো আমার সাথে, বাকি সবার সাথে ঠিক, আমি কথা বলতে গেলেই রেগে যাইতো, পরে চড় মারলো,,,আমি একদিন দুইদিন সহ্য করতে করতে,আর না পেরে আমার পরিবারে বিষয় টি জানালে তারা উনাকে তাদের কাছে দিয়ে আসতে বলে। পরে তিনি দিয়ে যান আমাকে আমার মায়ের কাছে। মূলত মারামারি, মনোমালিন্য এই কারণ গুলোই উল্লেখ করে সরকারি আইনে আমি পৃথক হয়ে যাওয়ার কথাই লেখা ছিলো।
আর আমি এই কাজ টা উনার মুখ থেকে শোনার পরই করেছি,,, কথা গুলো এমন ছিল,,
আমি বলেছিলাম যে আর যাব না, উনি ও অনেক কথা বলেছেন,কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমি বলেছিলাম যে তা তাহলে আপনি আমাকে ডিভোর্স দেন,উনি বলছে আমি ডিভোর্স দেওয়ার জন্য বিয়ে করি নাই, তোমার ইচ্ছা হলে তুমি দাও। তখন আমি বলছি যে, ঠিক আছে তাহলে আমি ডিভোর্স লেটার পাঠাবো। উনি বলছে,ঠিক আছে যদি পাঠাও তাহলে খুব তাড়াতাড়ি পাঠাইও কারণ আমি বিদেশ চলে যাব পরে আর আমাকে পাবে না।
আমি বলেছি ঠিক আছে।সেদিন এই কথাই শেষ,যদি এটা রাগারাগির মধ্যেই হইতো তাহলে আবার তিনি এক সপ্তাহ পরে আবার আমাকে ফোন দিয়ে বলে যে, কি ব্যাপার কতদূর কাজ আগাইলো? আমি বলছি,আর কিছুদিন সময় লাগবে! কারণ আমি সময় নিচ্ছিলাম, পরে যখন দেখলাম যে উনি নিজে থেকে আবারও আমার কাছে জিজ্ঞাসা করতেছে তার মানে উনার সম্মতি আছে। তখন আমি বলেছিলাম ঠিক আছে তাহলে আমি আর কয়েক দিনের মধ্যে পাঠাচ্ছি।
উনি যে আমাকে বলল যে,"ঠিক আছে তুমি পাঠাও" আমি এটাকেই অনুমতি হিসেবে নিয়েছি কারন তিনি তো নিজেই বলেছে আমাকে পাঠাতে আর আমি ও রাজি হয়েছিলাম।
এখন আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম তিনি নাকি অস্বীকার করতেছে যে তার ইচ্ছা ছিল না। আর ইচ্ছা না থাকলেও তো সে আমাকে বলেছে এবং দুই জনের কথা বলার পরেই আমি সে কাজটাই করেছি। এখন উনার এসব কথা শোনার পর খুব সন্দিহানে পরেছি কারণ এখন যেহেতু দ্বীনের অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
উনার কাছে ডিভোর্স লেটার পাঠানো মানেই সেটা তালাক, কারণ উনার দ্বীনের বুঝ নেই।
হুজুর, আমি এসব নিয়ে খুব মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে আছি পরকালে শাস্তির ভয়ে,আর আমি বর্তমানে ২য় স্বামীর ঘরে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এইগুলো কারো সাথে শেয়ার ও করতে পারছি না।