ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়। যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)
বিস্তারিত জানুন- 1688
মালে নামী(ক্রমবর্ধমান)মালের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন- 1434
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন- 1811
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি ক্লাস করানো ভিত্তিক হাদিয়া/বেতন পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ যতটি ক্লাস নিবেন, সেই হিসেবে আপনি হাদিয়া/বেতন পেয়ে থাকেন, মাসিক ফিক্স আমাউন্টে আপনার হাদিয়া নির্ধারিত নয়। এখন এটা যদি অপশনাল হয়ে থাকে যে, আপনি মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই ক্লাস অনুপাতে হাদিয়া নিয়ে নিতে পারবেন। তাহলে এই হাদিয়া/বেতন স্বর্ণের সাথে মিলিত হয়ে আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে। তবে যদি নিয়ম থাকে যে, মাস শেষে আপনি হাদিয়া/বেতন পাবেন, এবং ১২ জিলহজ্বের পরেই আপনার হাদিয়া বেতন আপনার একাউন্টে আসবে, তাহলে এমতাবস্থায় আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।