আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (3 points)
১/ কিছু মুফতিকে বলতে শুনেছি, ওমরাহ করলে, অর্থাৎ আল্লাহর ঘর সামনাসামনি দেখলেই তার জন্য হজ্জ্ব ফরজ হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কুরআন বা হাদীসের সুনির্দিষ্ট কোন রেফারেন্স আছে কি?


২/ যদি এমন হয় যে, আমার কাছে কিছু পরিমাণ টাকা আছে, সেগুলো দিয়ে ওমরাহ করা যাবে। কিন্তু ওমরাহ না করে আমি একেবারে হজ্জ করার নিয়্যত রেখেছি। তাই ওমরাহ করছিনা। এক্ষেত্রে কি আমি হজ্জের টাকা জমার অপেক্ষায় থাকব? নাকি ওমরাহ করে ফেলব? কোনটি উত্তম?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কাবা দেখা বা উমরাহ করার দ্বারা হজ্ব ফরয হয়ে যাওয়ার প্রশ্নোক্ত কথাটি সহীহ নয়। হজ্ব ফরয হওয়ার সাথে কাবা দেখা বা উমরাহ করার কোনো সম্পর্ক নেই। সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপরই কেবল হজ্ব ফরয হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَلِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا.

অর্থাৎ, মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বাইতুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। (সূরা আলে ইমরান : ৯৭)

সামর্থ্য দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, হজ্বের মৌসুমে কারো কাছে প্রয়োজন অতিরিক্ত এ পরিমাণ সম্পত্তি থাকা, যার দ্বারা যানবাহনে করে সে মক্কায় আসা-যাওয়া করতে পারে এবং যাদের ভরণ-পোষণ তার জিম্মায় রয়েছে হজ্ব থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত তাদের খরচ নির্বাহ করতে সক্ষম হয়।

সুতরাং শরীয়তের বিধান মতে সাধারণত উমরাহ করার দ্বারা (ওমরাকারীর ওপর) হজ ফরজ হয়ে যায় না। কেননা শুধু বায়তুল্লাহ শরিফ দেখলেই হজ ফরয হয়ে যাওয়ার কথা কোন কিতাবে উল্লেখ নেই। তাই কেউ হজের সময়ের আগে-পরে ওমরার উদ্দেশ্যে সেখানে গেলে তার ওপর হজ ফরজ হয়ে যাবে না।

তবে হ্যাঁ, হজের সময়ে (শাওয়াল থেকে জিলহজ মাসের ১৪ তারিখের ভেতরে।) কেউ মক্কা শরিফ বা মসজিদে হারামে উপস্থিত হলে/থাকলে তার ওপর হজ ফরজ হয়ে যাবে বলে অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম মত পেশ করেছেন।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারগন বলেছেন যে, বর্তমানে ভিসা ও হজ্ব আদায়ের অনুমতিও আইনীভাবে হজ্বের সামর্থ্যরে অন্তর্ভুক্ত। আগের যুগে যেহেতু ভিসার আইনী বাধ্যবাধকতা ছিল না, তাই হজ্বের মাসসমূহে কেউ উমরাহ করতে মক্কায় পৌঁছে গেলে বাকি দিনগুলো সেখানে অবস্থান করতঃ হজ্ব আদায় করতে কোনো আইনী বাধা ছিল না। এজন্য ফুকাহায়ে কেরাম এমন ব্যক্তিকে সামর্থ্যবান গণ্য করে তার উপর হজ্ব ফরয হওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু উমরার ভিসা দ্বারা হজ্ব করা বা হজ্ব পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করার সুযোগ নেই, সেজন্য এখন হজ্বের মৌসুমেও উমরা করার দ্বারা হজ্ব ফরয হবে না।

(০২)
এক্ষেত্রে হজ্বের টাকা জমার অপেক্ষায় থাকাই ভালো হবে। একেবারে হজ্বের টাকা জমা হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে হজ্বে গিয়ে হজ্ব ও উমরাহ উভয়টিই এক সফরে আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 256 views
0 votes
1 answer 290 views
...