আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আমার পরিচিত এক বোন আক্রমণ স্বরুপ এই প্রশ গুলি করেছেন।এর উত্তর গুলি গুছিয়ে দেয়া জন্য আমি উত্তর জানতে চাই।

১।মেয়েরা শার্ট পেন্ট গেঞ্জি যাই পড়ুক সেগুলা লেডিস গুলাই পড়ে ছেলেদের পোষাক কিভাবে হলো? এগুলি তো মেয়েদের পোশাকই।

২।পর্দা করা ফরজ এবং এমন পোষাক পরতে বলা হইছে ডিলডালা শরীর না বুঝা যায়। বোরকা পরে কোমর, বুক, পিঠ বুঝা যায় সেটা কি? আমরা যাই পরি ঢিলেঢালা পরলেই হলো।
৩।১৪০০ বছর আগে যখন নারী পুরুষের ড্রেস আলাদা করা হয়েছে তখন শার্ট, পেন্ট  গেঞ্জি ছিলই না তাহলে ছেলের পোষাক বলতে শার্ট পেন্ট গেঞ্জিকে বুঝায় কিভাবে?

আমি গুছানো উত্তর দিতে চাইছি যেনো তার পুরো বিষয় সম্পর্কে ভুল ধারনা দূর হয় এবং পর্দাদা গুরুত্ব বোনটি বুঝতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

পোশাক আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত। 
কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-

يا بني آدم قد انزلنا عليكم لباسا يوارى سوآتكم وريشا ولباس التقوى ذلك خير ذلك من آيت الله لعلهم يذكرون.

হে আদমের সন্তান সন্ততি! আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দুষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্য্যেরও উপকরণ। বস'ত তাকওয়ার যে পোষাক সেটাই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম। যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।-সূরা আরাফ : ২৬
,
পোশাক নিয়ে শরীয়তের কিছু নীতিমালা রয়েছে,যাহা মুসলমানদেরকে মেনে চলতে হবে। 
তার মধ্যে অন্যতম একটি হলোঃ  
নারী-পুরুষ একে অন্যের সাদৃশ্য গ্রহণ নিষিদ্ধ।

এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে অত্যন্ত কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। 

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর বেশধারণকারী পুরুষের উপর আর পুরুষের বেশধারণকারিনী নারীর উপর লানত করেছেন।-বুখারী, হাদীস :  ৩৮৮৫

বেশ ধারণ করার অন্যতম মাধ্যম হল পোষাক। অতএব নারীর জন্য পুরুষের পোষাক পরিধান করা আর পুরুষের জন্য নারীর পোষাক পরিধান করা হারাম ও কবীরা গুনাহ।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, নারীর পোষাক পরিধানকারী পুরুষকে এবং পুরুষের পোষাক পরিধানকারী নারীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন।-আবু দাউদ, হাদীস : ৪০৯২

পোশাক সংক্রান্ত ইসলামের নীতিমালা বিস্তারিত  জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১.৩)
মূলত শার্ট প্যান্ট প্রথমে ছেলেরাই আগে পরিধান করেছে।
শার্ট প্যান্ট যখন দুনিয়াতে ১ম পরিধান শুরু হয়,তখন ছেলেরাই এই পোশাক পড়তো।
মেয়েরা অল্প কিছু বছর ধরে উক্ত পোশাক পড়ছে।

আর এটা মেয়েদের ক্ষেত্রে শালিন পোশাক নয়,এর দ্বারা পর্দা সঠিক ভাবে হয়না,এটা পুরুষদের প্রতি আকর্ষন সৃষ্টিকারী পোশাক,যাহা শরীয়ত কোনো ভাবেই অনুমোদন দিতে পারেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم :«صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا : قَومٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ البَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلاَتٌ مَائِلاَتٌ، رُؤُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ البُخْتِ المائِلَةِ لاَ يَدْخُلْنَ الجَنَّةَ، وَلاَ يَجِدْنَ رِيحَهَا، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكذَا». رواه مسلم

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘দুই প্রকার জাহান্নামী লোক আমি [এখন পর্যন্ত] প্রত্যক্ষ করিনি [অর্থাৎ পরে তাদের আবির্ভাব ঘটবে]:  এমন এক সম্প্রদায় যাদের কাছে গরুর লেজের মত চাবুক থাকবে, যা দিয়ে তারা জনগণকে প্রহার করবে।  এমন এক শ্রেণীর মহিলা, যারা [এমন নগ্ন] পোশাক পরবে যে, [বাস্তবে] উলঙ্গ থাকবে, [পর পুরুষকে] নিজেদের প্রতি আকর্ষণ করবে ও নিজেরাও [পর পুরুষের প্রতি] আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা হবে উটের হেলে যাওয়া কুজের মত। এ ধরনের মহিলারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধ এত এত দূরত্বের পথ থেকে পাওয়া যাবে।’’
(মুসলিম ২১২৮, সহীহাহ্ ১৩২৬, সহীহ আল জামি‘ ৩৭৯৯, সহীহ আত্ তারগীব ২০৪৪।)

(০২)
বোরকা পড়া ফরজ নয়।
তবে পর্দা করা ফরজ, চেহারা সহ পূর্ণ শরীর ঢাকা ফরজ, এ পোশাক ঢিলেঢালা হতে হবে,পাশাপাশি পুরুষদের আকর্ষন সৃষ্টিকারী পোশাক হওয়া যাবেনা।

তাই উলামায়ে কেরামগন সাধারণ বোরকা পড়তে বলেন। যাহা আকর্ষনীয় নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...