বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জ্বীন জাতির আছর সত্য।মানুষের উপর জ্বীন প্রভাব বিস্তার করে থাকে,মারুষের জ্ঞান বুদ্ধিকে লোপ পাইয়ে দিয়ে থাকে।জানুন-
https://www.ifatwa.info/6960
কাউকে সাময়িক ডিস্টার্ব করে থাকে,আবার কাউকে স্থায়ীভাবে ডিস্টার্ব করে থাকে।
জ্বিনের চিকিৎসার জন্য নিচের আয়াতগুলো পড়ুন।পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীরে হাত বুলিয়ে দিন।
১। সুরা ফাতিহা
২। বাকারা ১-৫
৩। বাকারা ১৬৩-১৬৪
৪। বাকারা ২৫৫-২৫৭
৫। বাকারা ২৮৫-২৮৬
৬।আলে-ইমরান ১৮-১৯
৭। আ’রাফ ৫৪-৫৬
৮। মুমিনুন ১১৫-১১৮
৯। সফফাত ১-১০
১০।আহকাফ ২৯-৩২
১১। আর-রহমান ৩৩-৩৬
১২। হাশর ২১-২৪
১৩। সুরা জ্বিন ১-৯
১৪। সুরা ইখলাস
১৫। সুরা ফালাক
১৬। সুরা নাস
যদি কেউ এতগুলো সূরা পড়তে না পারে,তাহলে সে যেন শুধু সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীর বুলিয়ে দেয়।
এছাড়া রাসুল সা. এর জামানার বেশ কয়েকটি জ্বিন ছাড়ানোর ঘটনা আছে, আমরা তার মাঝে এক দুইটা খেয়াল করি..
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. এর বর্ণনা করেন, গাযওয়ায়ে যাতুর রিকা অভিযানে আমরা রাসূল সা. এর সাথে ছিলাম, এক মহিলা তার বাচ্চাকে নিয়ে এসে বললো ইয়া রাসুলুল্লাহ শয়তান এর ওপর ভর করেছে। রাসুল সা. বাচ্চাটাকে একদম কাছে নিয়ে আসলেন, এরপর "উখরুজ আদুওয়াল্লাহ, আনা রাসুলুল্লাহ!" বলে ছেলেটার মুখে ফু দিলেন তিনবার, তারপর বললেন, যাও এর আর কোনো সমস্যা নাই। (মুজামুল আওসাত, মাজমাউয যাওয়ায়েদ)
এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা আছে, ইবনে আব্বাস রা. বর্ণিত একটা ঘটনা এরকম, এক মহিলা তার বাচ্চাকে নিয়ে এসে বললো ইয়া রাসুলুল্লাহ সকাল বিকেলে একে পাগলামী ধরে, আমাদের জীবন অঅতিষ্ঠ করে ফেলছে। রাসুল সা. বুকে হাত বুলালেন (আরেক ঘটনায় আছে বাচ্চাটার পিঠে তিনটা থাপ্পড় দিলেন) আর বললেন "উখরুজ আদুওয়াল্লাহ, আনা রাসুলুল্লাহ!" পরে ছেলেটা বমি করলো, বমির সাথে কুকুরের বাচ্চার মত কিছু একটা বের হয়ে দৌড় দিলো। (সেটা জিন ছিলো আরকি..)
এই দুটি ঘটনা মুসনাদে আহমাদ, দারিমী, তাবারানী, দালায়েলুন নাবুওয়াহ এসব হাদিসগ্রন্থে পাওয়া যাবে।
কোরআনের একটি আয়াত দিয়ে আলাপ শেষ করা যাক।
উলামায়ে কিরাম জ্বিন আসর করার অকাট্য দলিল হিসেবে ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺄْﻛُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ এই আয়াতকে পেশ করে থাকেন..
অর্থঃ "যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে এমনভাবে দন্ডায়মান হবে, যেন শয়তান আসর করে পাগল করে দিয়েছে।" (সুরা বাক্বারা, আয়াত ২৭৫)
.
এই আয়াত থেকে অন্তত দুইটি বিষয় বুঝা যায়। এক. খারাপ জিন মানুষকে আসর করতে পারে.. দুই. জিনের আসরের কারনে মানুষ অসুস্থ এমনকি পাগল হয়ে যেতে পারে।
.
রাসুলের জামানার একটা ঘটনা (আবু দাউদ শরিফে) আছে, একজন জিনের আসরে পাগল হয়ে গিয়েছিলো, ভালো হচ্ছিলো না। তাকে শেকল দিয়ে বেধে রাখা হতো। একজন সাহাবী সুরা ফাতিহা পড়ে কয়েকদিন রুকইয়া করলে সে সুস্থ হয়ে যায়, পরে ওই সাহাবী রাসুল সা. এর কাছে এসে ঘটনা শোনায়। তখন কোরআন দ্বারা ঝাড়ফুঁক করার কারণে রাসুল সা. সাহাবীর প্রশংসা করেন।