আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
১)এক ব্যবসায়ে চারজন অংশীদার ছিল।সেখান থেকে খ নামের ব্যক্তি প্রতারণা করে প্রায় অনেক টাকায় নিয়ে উধাও হয়ে যায়।অত:পর ক,গ,ঘ ব্যক্তির ক্ষতি হয়ে যায়।কিন্তু গ, ঘ ব্যক্তি মিলে ক ব্যক্তির উপর মামলা করে দেয় যে ক ব্যক্তি প্রতারণা করেছে তাই তারা পুরো টাকা ব্যাক চায় ক ব্যক্তির কাছে।এভাবে আদালতে মামলা করে।কিন্তু ক ব্যক্তি কোনো দোষ করেনি, কোনো টাকা মেরে খায়নি।তাও তার উপর মামলা করা হয়েছে।টাকা পুরো ব্যাক না দিলে ৯মাসের জেল ও খাটতে হতে পারে।কিন্তু ক ব্যক্তির এইখানে কোনোরূপ দোষ নেই।তাও ক ব্যক্তি গ,ঘ ব্যক্তিকে বলেছে কিছু টাকা ফেরত দিবে কিন্তু সম্পূর্ণটা দেওয়া সম্ভব না।আর দিবেই বা কেনো ক ব্যক্তি তো প্রতারণা করেনি।তাও এই বিষয়টি রফাদফা করার জন্য কয়েক লাখ টাকা দিবেন বলেছেন।এমতাবস্থায় ক ব্যক্তিটি কি করবে?তিনি কি উকিলকে ঘুষ দিয়ে কেস টা ক্লোজ করে দিতে পারবেন?এইক্ষেত্রে কি গুনাহ হবে?
২)এক দম্পতির ১০লাখ কাবিনে বিয়ে হয়।কিন্তু স্বামীর পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব না।স্ত্রী এইটা বুঝেন যে তার স্বামীর পক্ষে এতো কাবিন দেওয়া সম্ভব না।তাই সেই দম্পতি চাচ্ছেন নিজেদের মধ্যে এখন একটা কম এমাউন্ট ধরে সেটা আদায় করতে।যেমন তারা এখন চাচ্ছে ২/৩লাখ ধরে কাবিন আদায় করে দিবে।এইক্ষেত্রে স্ত্রীর সম্মতি আছে।এভাবে করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন।(মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)

ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয।অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম।তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/604

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এমতাবস্থায় "ক" ব্যাক্তিটি এক টাকা দিতেও বাধ্য নয়।
এক্ষেত্রে টাকা ছাড়া কেস ক্লোজ না হলে টাকা দিয়ে কেস ক্লোজ করা জায়েজ হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে স্ত্রীর উপর কোনো চাপ প্রয়োগ নয়,বরং স্ত্রী যদি সন্তুষ্টি চিত্তেই ২/৩ লাখ টাকা মোহরানা হিসেবে গ্রহন করে,আর বাকি টাকা মাফ করে দেয়,সেক্ষেত্রে এটা জায়েজ আছে।

পবিত্র কুরআন শরীফে এসেছে  
আল্লাহ তায়ালা বলেন 
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا [٤:٤] 
আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর। [সূরা নিসা-৪] 

فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:٢٤] 
অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা গ্রহণ করবে,তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। [সূরা নিসা-২৪] 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...