আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারোকাতুহ

১:কতটুকু স্রাব (উত্তেজনা বিহীন)  বের হলে অযু ভঙ্গ হবে?
২:এমন কোনো পরিস্থিতি হয় যেখানে রুমে প্রাণী মানুষের ছবি দেয়ালে লাগানো সেখানে নামাজ আদায় করা যাবে? (উল্লেখ যে সেই রুম ব্যতীত আর কোনো স্থান নেই নামাজ আদায় করার) সেখানে নামাজ আদায় করলে কি বাসায় এসে আবার আদায় করতে হবে নাকি ওই নামাজ ই যথেষ্ট?
৩:আমাদের দেশে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যে ফাসি দেয় উক্ত জল্লাদ এর কি গুনাহ হয় নাকি সরকারের আদেশ পালনের জন্য তার কোনো গুনাহ হবে না?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
সামান্য তথা একফোটা স্রাবও যদি লজ্জাস্থান থেকে বের হয়,সেক্ষেত্রে অযু ভেঙ্গে যাবে।

এক্ষেত্রে লজ্জাস্থানের অভ্যন্তরে থাকলে অযু ভেঙ্গে যাবেনা। বরং লজ্জাস্থানের বাহিরের দিকে আসলে সেক্ষেত্রে অযু ভেঙ্গে যাবে। 

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো ছবি যুক্ত ঘরে নামাজ পড়া মাকরুহ।
নামাযীর মাথার উপর সামনে ডানে, বায়ে এবং জুতোর মধ্যে এবং সিজদার স্থানে প্রাণীর ছবি থাকলে নামায মাকরূহে তাহরিমী হবে|
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عن انس رضى الله تعالى عنه قال كان قر ام لعائشة سترت به جانب بيتها , فقال النبى صلى الله عليه وسلم اميطى عنى لا تزال تصاوير. تعرض لى فى صلاتى.

অর্থঃ হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত| তিনি বলেন, হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার একখানা (প্রাণীর ছবিযুক্ত) পর্দা ছিল, যা তিনি উনার ঘরের এক পাশে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন| হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, “হে হযরত ছিদ্দিকা আলাইহাস সালাম পর্দাটি আমার থেকে দূরে সরিয়ে নিন| কারণ এর ছবিগুলো নামাযে আমার দৃষ্টি ও মন আকৃষ্ট করে।” [ বুখারী শরীফ ২/ ৮৮১,ফাতহুল বারী ১০/ ৩৯১]

عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال لا يصلى فى بيت فيه تماثيل.

অর্থঃ হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, “ঐ ঘরে নামায পড়োনা যে ঘরে প্রাণীর মূর্তি বা ছবি থাকে|” 
[ মুছান্নিফ ইবনে আবী শায়বা ২/ ৪৬ ]

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত রুমে নামাজ পড়লে নামাজ হবে। 
সেক্ষেত্রে উক্ত নামায মাকরূহে তাহরিমী হবে।
তবে ঐ নামাজ পুনরায় পড়ে নিতে হবেনা।

(০৩)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নটির উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি উক্ত বিষয় নিয়ে জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক, আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...