বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে চলাফেরা করা, শিক্ষাগ্রহণ করা সবকিছুই হারামের আওতাধীন।তবে শুধুমাত্র ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থে কেউ যদি দুনিয়াবি শিক্ষাগ্রহণ করতে চায়,এবং তার জন্য ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ ব্যতীত শিক্ষাগ্রহণ সম্ভব না হয়,তাহলে এমতাবস্থায় সর্বদা ইস্তেগফার পড়ার শর্তে এবং আ'মলিয়াত যথাযথভাবে পালন করার শর্তে রূখসত দেয়া যেতে পারে।
জেনারেল শিক্ষা সম্পর্কে ইবনে আবেদীন শামী রাহ, বলেন, কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া এর, অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে তিনি বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)
রদ্দুল মুহতার,১/৪২;
কারো যদি শিক্ষাগ্রহণের উদ্দেশ্য দুনিয়া অর্জন হয়,অথবা কারো যদি এ ধারণা থাকে যে, সে গোনাহে জড়িয়ে পড়বে,তাহলে তার জন্য সহশিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষাগ্রহণ কখনো জায়েয হবে না।
প্রত্যেক মা বাবার উচিৎ সন্তানকে প্রথমে দ্বীনী প্রতিষ্টানে পড়ানো।অতঃপর যখন সন্তানের ভালমন্দর পার্থক্যর বয়স হবে,তখন সে সন্তানের সাথে পরামর্শ করে এবং সন্তানের চারিত্রিক দিক লক্ষ্য করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।গোনাহে জড়িয়ে পড়ার সামন্যতমও সন্দেহ হলে বিপরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে কালক্ষেপন করবে না।