আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
আমার মায়ের কুরআন তিলাওয়াত অশুদ্ধ এবং তিলাওয়াতে লাহানে জালি থাকায় কয়েকমাস আগে আমি তাকে বলেছিলাম, তোমার তিলাওয়াত হচ্ছেনা,ভুল হচ্ছে এতে গুনাহ ও হচ্ছে। এরপর থেকে সে নাকি আর কুরআন তিলাওয়াত করেনা।
বলে যে, গুনাহই হচ্ছে তাহলে আর তিলাওয়াত করবো কিভাবে। আমি তাকে তাজউইদ শেখার কথা বলেছিলাম,, সে বলে শিখবো কিন্তু তেমন গুরুত্ব দেয়না।
প্রশ্ন:১- আমি তাকে তিলাওয়াত করতে নিষেধ করিনি,, কিন্তু আমার কথা শোনার পর থেকে সে আর তিলাওয়াত করেনা এক্ষেত্রে কি আমার গুনাহ হবে??? যতদিন তার তিলাওয়াত শুদ্ধ না হবে ততদিন কি সে অশুদ্ধভাবেই তিলাওয়াত করতে পারবে??
প্রশ্ন:২- আমাদের রুমে কিবলা একটু বাকা দিকে,, তো এতদিন এটা খেয়াল না করে সোজা দিকে নামাজ পড়েছি। এতে কি এতদিনের নামাজ আদায় হয়নি?? গুনাহ হয়েছে কি?? এবং আবার কি কাযা করতে হবে??
*যেমন কিবলা হলো ( / ) এইরকম দিকে আর আমরা নামাজ পড়েছি ( | ) এইরকম সোজা দিকে
প্রশ্ন:৩- সলাতে তাশাহুদ পড়ার সময় শাহাদাত আঙ্গুল উঠানোর বিস্তারিত পদ্ধতি কি??
এক শায়েখের ভিডিও তে দেখেছিলাম,, তাশাহুদের আশ হাদু আল্লাহ বলার সাথে সাথে আঙুল উঠাতে হবে ইল্লাল্লাহ বলার সাথে সাথে আঙুল নামাতে হবে,,কিন্তু বৃদ্ধাআঙুলী দিয়ে বাকি আঙুল গোল করা থাকবে একদম সালাম ফিরানো পর্যন্ত। এটা কি সঠিক?? নাকি তাশাহুদ শেষ হবার পরপরই সব আঙ্গুল স্বাভাবিক করে ফেলতে হবে??
প্রশ্ন:৪- আমার এক আত্বীয় মারা যাওয়ার কিছুদিন পর থেকেই আমি তাকে স্বপ্ন দেখছি মৃত অবস্থায়,,, একবার দেখেছি তাকে কবর থেকে উঠানো হয়েছে, আরেকবাএ দেখেছি কবর দেয়া হচ্ছে,,এরপর আরেকদিন দেখেছি কেউ একজন মারা গেছে। কিছুদিন গ্যাপে গ্যাপে পরপর ৩ টা স্বপ্নতেই ঠিক ফজরের ওয়াক্তের শুরুতে আমার ঘুম ভেঙেছে কিন্তু আমি নামাজ পড়তে উঠতে পারিনি, ভয়ে। এরপর আমি নিজেই ভেবেছি আমাকে যাদু করা হচ্ছে। আবার তার কিছুদিন পর আমার বোন স্বপ্নে দেখেছে আমার রুমে একটা জ্বীন এসেছে এবং আমাকে যাদু করছে,,,এটা সে আমার সাথে শেয়ার করার পর আমি বলছিলাম তাহলে হয়তো সত্যিই আমাকে যাদু করা হচ্ছে। এবং সেও এটাই বলছিল যে হয়তো আমাকে সত্যিই যাদু করা হচ্ছে।
আমরা তো জানি যে, স্বপ্নের ব্যাখ্যা না দেয়া পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া হয়না কিন্তু একবার দিয়ে ফেললে সেটা আন্দাজি ব্যাখ্যা হলেও তার প্রতিক্রিয়া হয়।
তাহলে এক্ষেত্রে আমার এবং বোনদের কথোপকথনের ধরূন কি স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে?? এবং তাই যদি হয় তাহলে কি স্বপ্নের প্রতিক্রিয়া হবে??
প্রশ্ন:৫- গার্লস/স্কুল বা কলেজে ছেলে না থাক্লেও ছেলে টিচার থাকার কারণেও এটাও সহশিক্ষার পর্যায়ে পড়ে,, ফলে এই শিক্ষাব্যবস্থা ও হারাম। কিন্তু কেউ যদি পরিবারে প্রেশারে,, গার্লস কলেজে ভর্তি হয় এবং একটাও ক্লাস করেনা শুধু পরীক্ষা দেয় তাহলে কি তাও সহশিক্ষা হবে??
আর বাবা মা যদি বলে যে কলেজে পড়ালেখা না করলে আমরা মারা যাব, তাহলে কি তাদের কথা শুনে বাধ্য হয়ে মহিলা কলেজে ক্লাস না করে শুধু পরীক্ষা দিলে কি গুনাহ হবে??? না কি স্রষ্টার নাফরমানির জন্য তাদের কথা শোনা যাবেনা??
এক্ষেত্রে তাদের কিভাবে মানাবো??
অঅনেকগুলো প্রশ্ন একসাথে করার জন্য আফওয়ান।
জাযাকুমুল্লাহু খইরন