আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
281 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)

1) খুতবা শোনা ওয়াজিব কিন্তু কেউ যদি ইচ্ছা করে দেরিতে যায় সে কি গুনাহগার হবে ?

2) ইন্নালিল্লাহি অয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন এটা কি শুধু কেউ মারা গেলে পরতে হবে নাকি অন্য কোন ক্ষেত্রে ও পরা যায় ?

 

3) ইয়া রব্বি এই টা দ্বারা কি আল্লাহর যিকির করা যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
খুতবাহ শোনা ওয়াজিব।যদি কেউ ইচ্ছাকৃত মসজিদে দেড়ীতে যায়,তাহলে সে গোনাহগার হবে।হ্যা অনিচ্ছায় কখনো দেড়ী হয়ে গেলে, তখন গোনাহ হবে না।

(২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।(সূরা বাকারা-১৫৬)

কুরআন আমাদেরকে মসিবতের সময়ে ইন্নালিল্লাহ পড়ার তা'লিম দিচ্ছে।তাই আমরা সকল প্রকার মসিবতের সময়েই ইন্নালিল্লাহ পড়বো।শুধুমাত্র মৃত্যুর সময়ের সাথে ইন্নালিল্লাহ-কে খাস করা বা বিশেষায়িত করার কোনো নিয়ম নেই।

(৩)
https://www.ifatwa.info/469 নং ফাতাওয়ার আমরা লিখেছিলাম যে,
উপরোক্ত আলোচনার আলোকে আমরা বুঝতে পারলাম যে,নিয়তে কোনো কিছু রেখে শুধুমাত্র আল্লাহ শব্দ বা রহমান ইত্যাদি শব্দ দ্বারা যিকির করা যাবে,বৈধ রয়েছে।
যেমন হযরত বেলাল রাযি কে যখন নির্যাতন করা হয়েছিলো তখন উনার মূখ দিয়ে শুধুমাত্র "আহাদ" "আহাদ" শব্দ বের হয়েছিলো।
পরবর্তিতে এ বিবরণ নবীজী সাঃ ও শুনেছিলেন,অথচ নবীজী সাঃ এরকম বলতে নিষেধ করেননি।কাজেই বুঝা গেল,শুধুমাত্র আল্লাহর নামের জিকির জায়েয আছে।

তাছাড়া শুধুমাত্র আল্লাহর নামের যিকির করা হারাম বা নাজায়েয হওয়ার ব্যপারে কি কোনো সহীহ হাদীস রয়েছে?
নাজায়েয হওয়ার সরাসরি ও শক্তিশালী কি কোনো দলীল মওজুদ রয়েছে?
অবশ্যই নেই।
শুধুমাত্র অপরিপূর্ণ বাক্য হওয়ার খুড়াযুক্তি রয়েছে।

সুবহানাল্লাহ এর মত উহ্য মেনে কি আল্লাহ শব্দকে পরিপূর্ণ বাক্য বানানো যায় না?
যেভাবে সুবহানআল্লাহ র পূর্বে নুসাব্বিহু ফে'ল মেনে সুবহানআল্লাহ কে মাফ'উল হিসাবে যবর দিয়েছি, সেভাবে কি আল্লাহর আগে পরে কিছু মানা যায় না।অথচ এখানে পড়নেওয়ালার নিয়তে উহ্য মানার মত  অনেক কিছুই রয়েছে।
যদি উহ্য না মানা হয় তাহলে সুবহানাল্লাহ না পড়ে সুবহানুল্লাহ পড়তে হবে।

আমাদের নিয়্যাত বিশুদ্ধ থাকলে অবশ্যই যাবে। সেটা পরিপূর্ণ বাক্য হবে।

তবে সর্বোপরি আমাদেরকে কোনো অর্থবোধক বাক্য দ্বারা যিকির করা, আল্লাহকে ডাকা উচিৎ।
যিকিরে সংখ্যাগত কোনো মাহাত্ম্য নেই,বরং যিকির ফলপ্রসূ হতে হলে তাকওয়া ও এখলাছে নিয়্যাতই ধর্তব্য।যার অন্তরে যতবেশী খোদাভীতি থাকবে তার যিকির ই মাকবুল হবে। বিস্তারিত জানতে.....
(তাকমালা ফাতহুল মুলহিম ২/১৭৯,আশরাফুল ফাতওয়া ১/৩৬৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি 'ইয়া রাব্বি' দ্বারা আল্লাহর যিকির করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...