জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
بَاب الْحَيْفِ فِي الْوَصِيَّةِ حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ قَطَعَ اللَّهُ مِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিসকে মীরাস দেয়া থেকে পশ্চাদপসরণ করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জান্নাতের অংশীদার হওয়া থেকে বঞ্চিত করবেন।
ইবনু মাজাহ, অধ্যায়ঃ ১৬/ ওসিয়াত (كتاب الوصايا)
(ইবনু মাজাহ ২৭০৩, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/২৬৪, মিশকাত ৩০৭৮।
পিতা তার কোনো সন্তানকে ত্যাজ্য করা বা মৃত্যুর সময় অসিয়তের মাধ্যমে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হারাম এবং কবিরা গুনাহ। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। কাজেই যাকে ত্যাজ্য ঘোষণা করা হয় কিংবা যাকে তার উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অসিয়ত করা হয়, সে কোনোভাবেই তার উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না।
সন্তান যেকোনো অপরাধ করুক না কেন কোনো অবস্থাতেই সন্তানকে ত্যাজ্য ছেলে ঘোষণা করা যাবে না। প্রত্যেক সন্তানকে তাদের প্রাপ্য সম্পত্তির ভাগ বুঝিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো সন্তানকে বাবার সম্পত্তির ভাগ থেকে কোনো অবস্থাতেই বঞ্চিত করা যাবে না।
আমাদের সমাজে ত্যাজ্যপুত্র নামে যে শব্দটি প্রচলিত আছে ইসলামী শরিয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোন বাবা-মায়ের যদি হঠাৎ করেই ডিভোর্স হয় এবং ওই বাবা যদি তার সন্তানকে অস্বীকার করে অবৈধ বলে এবং তাকে ত্যাজ্য করে,সেক্ষেত্রে ওই সন্তান আর বাবার সন্তান হিসেবেই বিবেচিত থাকবে।
মুখের কথায় হোক বা কাগজে কলমে হোক,শরয়ী দৃষ্টিকোণ হতে কোনোভাবেই সন্তানকে ত্যাজ্য করা যায়না।
বাবা সন্তানকে ত্যাজ্য করলে কিয়ামতের দিন এই সন্তান পিতার পরিচয় পাবে।
সে তার বাবার সম্পত্তির পূর্ণ ভাগ পাবে।
ওই সন্তানের তার বাবার পূর্ণ দায়িত্ব থাকবে।
ত্যাজ্য করার পর পুনরায় যদি বাবা সন্তানকে ফিরিয়ে নিতে চায়, তাহলে ওই সন্তান পালক সন্তান হিসেবে গণ্য হবেনা।
আপন সন্তান হিসেবেই আছে,ছিলো,থাকবে।
ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তানকে তাজ্য করা জায়েজ নেই।
করলেও এতে সন্তান ত্যাজ্য হবেনা।
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত চাকরি করা জায়েজ আছে।
তবে কোনো ঘুষ নেয়া যাবেনা।
অন্যায় কিছু করা যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-