আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১.আমি একটি মহিলাদের ইসলামিক তালিমে অ্যাটেন্ড করি সেখানে ইসলামিক   আলাপ হয়। কিন্তু মহিলারা বিভিন্ন শায়েকদের বক্তব্য নিয়ে ভুলভাল মন্তব্য করেন ।এবং তাদের কিছু কথা ভুল হয়ে থাকে   কিন্তু আমি সঠিকটা গুছায় বলতে পারিনা এখন আমার কি আমার কি তালিমে এটেন্ড করা ঠিক হবে?
২ সালাতুল তাসবি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি এই নামাজটা কি সঠিক? এই নামাজটা কি নবীর সুন্নত নাকি? না পড়লে কি কোন গুনাহ হবে?
৩.ওস্তাজ অনেক চেষ্টার পরেও তাহাজ্জুদের জন্য উঠতে পারি না ভাই এশার নামাজের পরে এর পরে এশার নামাজের সাথে চার রাকাত পড়ে ফেলি এটা কি তাহাজ্জুদ আদায় হবে  আদায় হবে? তাহাজ্জুদ ওঠার জন্য কি কোন আমল আছে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) এটা আরো বড় ফিতনা হয়ে যাবে, তাই আপাতত এত্থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

(২) ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিবকে বলেছেন, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না? আমি কি আপনার নিকটে আসব না? আমি কি আপনার জন্য দশটি সৎ গুনের বর্ণনা করব না যা করলে আল্লাহ তাআলা আপনার আগের ও পিছনের, নতুন ও পুরাতন, ইচ্ছায় ও ভুলবশত কৃত, ছোট ও বড়, গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন? আর সে দশটি সৎ গুন হলো: আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়বেন। প্রথম রাকাতে যখন কিরাআত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার বলবেন:
سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ
{উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার}
এরপর রুকুতে যাবেন এবঃ রুকু অবস্থায় (উক্ত দুআটি) ১০ বার পড়বেন। এরপর রুকু থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এ হলো প্রতি রাকাতে ৭৫ বার। আপনি চার রাকাতেই অনুরূপ করবেন। যদি আপনি প্রতিদিন আমল করতে পারেন, তবে তা করুন। আর যদি না পারেন,তবে প্রতি জুমাআয় একবার। যদি প্রতি জুমআয় না করেন তবে প্রদি মাসে একবার। আর যদি তাও না করেন তবে জীবনে একবার। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৯৭,সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৮৭,সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১২১৬,সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৬৯৫}হাদীসটি সহীহ। 

ইবনে আবদেীন শামী রাহ বলেন, উক্ত বিভিন্ন ত্বরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে তা হাসান হাদীসের পর্যায়ভুক্ত। যারা যঈফ বা মাওযু বলেন, তাদের কথা অগ্রাহ্য। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 14301

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সালাতুত তাসবিহ সম্ভলিত হাদীসের সনদ নিয়ে উলামাদের মতানৈক্য রয়েছে, যেজন্য হাদীসকে যঈফ বলা হয়ে থাকে। তবে আমলের ক্ষেত্রে যঈফ হাদীসই গ্রহণযোগ্য। 

(৩)
আল্লাহ কাছে সাহায্য চান, এবং নেককার ব্যক্তির সোহবত গ্রহণ করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...