আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
পূর্বে যখন দীনের বুঝ ছিলোনা তখন একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম। কিন্তু দ্বীনের বুঝ আসার পর হারাম সম্পর্কে থাকবো না বলে বিয়ের প্রস্তাব দেই। ও রাজি হয় কিন্তু ওর পরিবার বিভিন্নভাবে ঝামেলা করে আর শেষের দিকে এসে সেও চায়নি আমাদের বিয়ে হোক। পপরবর্তীতে প্রায় ২ বছর তার সাথে কোনো যোগাযোগ আমি করিনি। কিন্তু বিভিন্নভাবে শয়তান আবার ধোকায় ফেলে দেয় এবং আবাতও মাঝে মাঝে কথা হতো। এভাবে আবারও ফিতনায় পড়ে যাই। এবং ওয়াদা করে বসি যে তাকে বিয়ে করবো। কিন্তু সে এখন বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী নয়, সম্পর্ক যেমন আছে তেমন চলুক পরে আমি ভালোভাবে সেটলড হলে বিয়ে করবে বলে।  কিন্তু আমি হারামে থাকতে চাইনা বললে সে আমাকে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে অনেক কিছু বলে। আর বলে যে তোমাকে আমি কোনোদিন ক্ষমা করবো না, তুমি ওয়াদা করেছো ইত্যাদি। এবং সে পর্দা বা দ্বীনের ব্যাপারেও বিন্দুমাত্র আগ্রহী নয়। তার অগনীত ছেলে বন্ধু রয়েছে এবং এসব ব্যাপারে তাকে কিছু বললে সে রাগারাগি করে।
এমতাবস্থায় আমি চাচ্ছিলাম তার সাথে কোনো সম্পর্ক রাখবো না, এবং আমার সাথে যোগাযোগের সকল উপায় বন্ধ করে দিবো। যাতে হারামে জড়িয়ে না যাই আবার। আর সে ইসলামের বিধিবিধান মানতে রাজি না তাই আমি তাকে বিয়েও করত্র চাচ্ছি না। এক্ষেত্রে তাকে বুঝিয়েও লাভ হয়নি। আমক এখন তার সকল সম্পর্ক ছিন্ন করলে আমার ওয়াদার কারণে কোনো সমস্যা হবে কিনা এটি জানতে চাচ্ছিলাম, এবং সে আমাকে কখনো ক্ষমা করবে নে এটাও বলেছে। এক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি!!
(হারাম সম্পর্কে থেকে ওয়াদা করেছিলাম বিয়ে করার এবং প্রস্তাবও দিয়েছিলাম কিন্তু সে চায়নি, এখন আমি চাচ্ছিনা তাকে বিয়ে করতে কারণ সে দ্বীন মানতে নারাজ, কিছু বললে আমাকে বলতো আমার হিসাব আমি দেবো, আমার কবরে আমি যাবো)

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াদাকে পূর্ণ করার বিধান কি? ওয়াজিব না মুস্তাহাব? এবং ওয়াদাকে ভঙ্গ করা  হারাম না মাকরুহ?

সে সম্পর্কে ইমাম নববী রাহ বলেন,
উলামায়ে কেরাম এ কথার উপর একমত যে,যদি কোনো মানুষ কারো সাথে এমন কোনো বিষয়ের ওয়াদা করে যা নিষিদ্ধ নয়,তাহলে তার জন্য উচিৎ হল সেই ওয়াদাকে পূর্ণ করা। ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব না মুস্তাহাব? এ সম্পর্কে অবশ্যই মতপার্থক্য রয়েছে।ইমাম শা'ফেয়ী ও ইমাম আবু হানিফা এবং জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে ওয়াদাকে পূর্ণ করা মুস্তাহাব।যদি সে ওয়াদাকে ভঙ্গ করে ফেলে তাহলে যেন সে উত্তমতাকে পরিত্যাগ করল,এবং শক্ত মাকরুহে তানযিহি সম্ভলিত কাজে লিপ্ত হল।কিন্তু সে আবার গোনাহগার হবে না। অন্যদিকে এক দল উলামায়ে কেরামের মতে ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব। ইমাম আবু বকর ইবনুল আরাবি মালিকি রাহ বলেন,যারা উক্ত মাযহাবের প্রবক্তা তাদের মধ্যে এটা উমর ইবনে আব্দুল আযিয রাহ শীর্ষে রয়েছেন।তিনি আরো বলেন,মালিকি মাযহাবের উলামাগণ তৃতীয় আরেকটি মাযহাবকে বর্ণনা করেছেন। সেটা হল যে,যদি কেউ কাউকে বলে, তুমি বিয়ে করবে বলে ওয়াদা করো তোমাকে এই পরিমাণ মাল দেয়া হবে।অথবা তুমি ওয়াদা করো আমাকে গালি দেবে না তোমাকে এই পরিমাণ মাল দেয়া হবে ইত্যাদি বাক্য। তাহলে এমতাবস্থায় ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে।আর যদি স্বাভাবিক ওয়াদা হয়ে থাকে তাহলে ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব না।যারা ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব বলেন না তারা বলেন, যে ওয়াদা হলো হেবার সমার্থক। আর জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে হেবা কবজা ব্যতীত পরিপূর্ণ হয় না।তবে ইমাম মালিক রাহ এর মতে ওয়াদা কবজার পূর্বেও ওয়াজিব হয়ে যায়।(আল-আযকার-৩১৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 663 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওয়াদা করার পর ঈমানদারের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য হল, ওয়াদাকে পূর্ণ করা। বিশেষ কোনো জরুরত ব্যতিত ওয়াদাকে ভঙ্গ না করা। তবে জরুরতে ওয়াদাকে ভঙ্গ করাও জায়েয। প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি উক্ত ওয়াদাকে ভঙ্গ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...