জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
.............. وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
..........পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।(সূরা বাকারা-২১৬)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কে আপনার জন্য কল্যাণকর আর কে অকল্যাণকর? তা আল্লাহই ভালো জানেন।সুতরাং নির্দিষ্টকরে কাউকে পাওয়ার জন্য দু'আ না করে বরং যা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে, যিনি আপনার জন্য কল্যাণকর হবেন, তার জন্যই আপনি দু'আ করবেন।
আল্লাহর কাছে আপনি এভাবে দু'আ করবেন,
হে আল্লাহ!
যে আমার জন্য দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানের জন্যই কল্যাণকর হবে,তাকেই আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে দিয়ে দেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেহবকেহ বলেছেন যে এভাবে দু'আ করা যাবে,
''হে আল্লাহ অমুক ব্যাক্তিটা আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য উত্তম হলে তাকেই তুমি আমার জীবনসঙ্গী করে দিও,'' আর আমার জন্য উত্তম না হলে দিওনা।"
এটা বিবাহের ক্ষেত্রে দোয়ার একটি মাসয়ালা।
অন্যান্য ক্ষেত্রেও এভাবে দোয়া করতে হবে,এমন কোনো আবশ্যকীয়তা নেই।
সুতরাং চাকরি,জবের ক্ষেত্রে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে এভাবে দোয়া না করে মনের মতো করে চাওয়া জায়েজ আছে। এতে কোনো সমস্যা নেই।