ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা মায়েদা-২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রশ্নে যে সমস্ত কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেছেন, সেইসব কর্মসূচিকে আপনি চালিয়ে যেতে পারবেন। জুলুম-নির্যাতন ও ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন এবং অসহায় দুস্থদের সাহায্য সহযোগিতা করার নিমিত্তে ''হিলফুল ফুজুল" নামে আরবের একটি সংগঠন ছিলো, যেই সংগঠনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' ও তৎপর ছিলেন।
আপনি/আপনারা যাদের কাছ থেকে কুরবানির টাকার সংগ্রহণ করবেন, তাদের নামে পশু ক্রয় করে কুরবানি করে দিবেন। যারা কুরবানি দিতে পারছেন না, তাদেরকে ঐ কুরবানির মাংস বিতরণ করে দিবেন। আপনি/আপনারা লোকদের ওয়াজিব কুরবানি বা নফল কুরবানির টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন। যাদের কাছ থেকে বকরির যেই পরিমাণ মূল্য সংগ্রহ করবেন, তাদের প্রত্যেকের টাকা দিয়ে একটি করে পৃথক বকরি ক্রয় করি কুরবানির ব্যবস্থা করবেন। সবার টাকাকে একত্র করে তা দিয়ে একটি গরু ক্রয় করবেন না। কেননা এতেকরে একজনের কারণে সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটাকে কুরবানি প্রজেক্ট বলাতে কোনো সমস্যা হবে না। কারো টাকা অবশিষ্ট থাকলে সেই টাকা ঐ ব্যক্তির পরামর্শ মুতাবেক খরচ করতে হবে।