জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(a)
নামাযে কিবলামুখী হওয়া নামায সহীহ হবার জন্য শর্ত। কিবলামুখী না হলে নামায শুদ্ধই হবে না।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ [٢:١٤٤]
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। {বাকারা-১৪৪}
গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে ।
,
যানবাহনে যদি কেউ বিনা ওযরে বসে নামায পড়ে কিংবা নামায অবস্থায় কিবলা থেকে চেহারা ফিরে যায়, তাহলে নামায দুহরিয়ে নিতে হবে ।
(প্রমাণঃ আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৮ ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়াহ-২ /১২০)
যানবাহনে নামাজ আদায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে মাসয়ালা হলোঃ
বাসে কিবলামুখি হতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। যদি গাড়ি কিবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায় তবে নামাজে থাকা অবস্থায় কিবলামুখি ঘুরে যাবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেদিকে মুখ হয়, সেদিকে ফিরেই নামাজ শেষ করবে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কিবলামুখি হয়ে নামাজ আদায় করতে না পারলে এই নামাজ পরে আবার পড়ে নিতে হবে। কিবলামুখি ফিরে নামাজ আদায় করতে পারলে পরে তা আবার আদায় করার প্রয়োজন নেই।
আরো জানুনঃ
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
فى الفتاوى الهندية- ولو ترك تحويل وجهة الى القبلة وهو قادر عليه لا يجزيه (الفتاوى الهندية –كتاب الصلاة ،الباب الخمس العشر فى صلاة المسافر-1/144)
যার সারমর্ম হলো যদি কিবলার দিক হয়ে নামাজ পড়া সম্ভবপর হওয়া সত্ত্বেও কিবলার দিক না হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কিবলার দিক হয়ে নামাজ পড়া সম্ভবপর হওয়া সত্ত্বেও কিবলার দিকে আপনি না ফিরেন,তাহলে আপনার নামাজ হবেনা।
আবার উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
,
যদি সামান্য ঘুরে যায়,
এক্ষেত্রে যদি কেবলা থেকে ৪৫ ডিগ্রি পরিমান ঘুরে থাকে,তাহলে আপনি যেহেতু কেবলার দিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকার পরেও ঘুরে যাননি,তাই সেই নামাজ আবার আদায় করতে হবে।
আর যদি ৪৫ ডিগ্রি পরিমান ঘুরে না থাকে,তাহলে কোনো সমস্যাই নেই।
(b)
সে ১ম রাকাতের দিক লক্ষ্য করে মাসবুক,আর ৩য় ও ৪র্থ রাকাতের দিক লক্ষ্য করে লাহেক।
তাই সে প্রথমে মাসবুক হিসেবে এক রাকাত পূর্ণ করবে,অর্থাৎ সে যখন তার নামাজ আদায় করার জন্য দাড়াবে,তখন সুরা ফাতেহা এবং অন্য সুরা মিলানোর সাথে ১ম রাকত আদায় করবে,কারন এই রাকাতে সে মাসবুক।
,
আর অবশিষ্ট নামাজ আদায়ের সময় সে লাহেকের বিধানে।
তাই সে সুরা কিরাআত কিছুই পড়বেনা।
,
نام فی الثالثة واستیقظ فی الرابعة فإنہ یأتي بالثالثة بلا قراء ة فإذا فرغ منھا صلی مع الإمام الرابعة، وإن فرغ منھا الإمام صلاھا وحدہ بلا قراء ة أیضاً (رد المحتار، کتاب الصلاة، آخر باب الإمامة، ۲: ۳۴۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند نقلاً عن البحر)۔
সারমর্মঃ লাহেক ব্যাক্তি সে উক্ত নামাজ কিরাআত ছাড়াই আদায় করবে।
,
الدر المختار''ويقضي أول صلاته في حق قراءة، وآخرها في حق تشهد؛ فمدرك ركعة من غير فجر يأتي بركعتين بفاتحة وسورة وتشهد بينهما، وبرابعة الرباعي بفاتحة فقط، ولايقعد قبلها.''
و في الرد: '' وفي الفيض عن المستصفى: لو أدركه في ركعة الرباعي يقضي ركعتين بفاتحة وسورة، ثم يتشهد، ثم يأتي بالثالثة بفاتحة خاصة عند أبي حنيفة. وقالا: ركعة بفاتحة وسورة وتشهد، ثم ركعتين أولاهما بفاتحة وسورة، وثانيتهما بفاتحة خاصة اهـ. وظاهر كلامهم اعتماد قول محمد''. (1/ 596، ط: سعید )
সারমর্মঃ মাসবুক ব্যাক্তি তার প্রথম নামাজ (ছুটে যাওয়া নামাজ) কিরাআতের হকে প্রথম নামাজের ন্যায়।
সেই রাকাতে সুরা ফাতেহা এবং কিরাআত পড়বে,,,,
۔
(c)
প্রথমে দেখতে হবে ব্যাংক কোন খাত থেকে দিচ্ছে।যদি হালাল খাত থেকে দেয় তাহলে ধনী গরীব সবার জন্য বৈধ হবে।আর যদি হারাম খাত থেকে দেয় বা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না যায়,তাহলে ধনী, ছাত্রদের জন্য জায়েয হবে না।তবে গরীব ছাত্রদের জন্য জায়েয হবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ