আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম।আমার স্ত্রীর পক্ষে আমি এই প্রশ্ন করছি।

আমার আপন মামা বর্তমান কোন চাকরী করেননা। আগে একটা চাকরি করতেন শারীরিক অসুস্থতার কারনে এখন চাকরি করতে পারেন না। বর্তমানে তিনি শ্বশুর বাড়িতে একটা ফ্লাটে থাকেন। শ্বশুর টুকটাক সাহায্য করেন কিন্তু  আত্মসম্মানের কারণে নিজের অর্থিক অবস্থা স্বশুরের কাছে খোলাসা করেননা। ভবিষ্যতে শ্বশুরের জমি পাবার সম্ভবনা আছে। বাবার জমি বিক্রি করার চেস্টা করছেন যার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ। আয়ের উৎস হিসেবে একটি ছোট দোকান আছে যেখানে আতর, টুপি ও ইসলামিক বই বিক্রি করেন। চাকুরীকালিন সময়ে অনেক বেহিসেবী ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে আমার বাবা সহ অনেক অত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে সংসারিক প্রয়োজনের অজুহাতে কয়েক লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন। কিন্তু শোধ করেননি। এখনো আমার বাবা তার কাছে ৭০,০০০/- টাকা পান। বাবা টাকা পাবেননা বলে ধরে নিয়েছেন। আমার মার কাছে কিছু দিন আগে একমাত্র মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার খরচ ও সংসারিক খরচ চালানো তার জন্য খুব কস্টকর একথা বলে  টাকা ধার চান। এই অবস্থায় আমি যদি আমার যাকাতের টাকা থেকে টাকা দেই তাহলে কি যাকাত আদায় হবে?

 

যাজাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু) এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে। তাই কেউ গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত নেসাব পরিমাণ মালের  মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না, তবে সে বিনা জরুরতে যাকাতের মাল খেতে পারবে না তবে প্রয়োজনে খেতে পারবে।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯)

والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(অক্রমবর্ধমান)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 699 

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার মামার নিকট যদি নেসাব পরিমাণ ক্রমবর্ধমান  মাল না থাকে, অথবা নেসাব পরিমাণ অক্রমবর্ধমান মাল থাকে, এবং পাশাপাশি তার হাজত বা প্রয়োজন থাকে, তাহলে আপনার ঐ মামা যাকাত গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু প্রশ্নের বিবরণমতে যেহেতু উনার দোকান রয়েছে, যদি দোকানে বা নগদে ৫২ ভড়ি রূপা সমপরিমাণ টাকা উনার কাছে থাকে, তাহলে তিনি যাকাত গ্রহণ করতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...