জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সূর্যোদয়ের পর পশ্চিমাকাশ লালবর্ণের হয়ে যায়।এই লালবর্ণ দূর হওয়ার পর আকাশ আবার সাদা হয়ে যায়।এই সময়ের সাদা আকাশকে শাফাক্ব বলা হয়।এই শাফাক্ব যতক্ষণ না ডুবছে,ততক্ষণ পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত বাকী থাকবে।[বাদায়ে সানায়ে-১/৩২০]
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِلصَّلاَةِ أَوَّلاً وَآخِرًا وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ صَلاَةِ الظُّهْرِ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَآخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَدْخُلُ وَقْتُ الْعَصْرِ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ صَلاَةِ الْعَصْرِ حِينَ يَدْخُلُ وَقْتُهَا وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَصْفَرُّ الشَّمْسُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْمَغْرِبِ حِينَ تَغْرُبُ الشَّمْسُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَغِيبُ الأُفُقُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ حِينَ يَغِيبُ الأُفُقُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَنْتَصِفُ اللَّيْلُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْفَجْرِ حِينَ يَطْلُعُ الْفَجْرُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ "
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাযের ওয়াক্তের শুরু ও শেষ সীমা রয়েছে। যুহরের নামাযের শুরুর সময় হচ্ছে যখন (সূর্য পশ্চিম দিকে) ঢলতে শুরু করে এবং শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে আসরের ওয়াক্ত শুরু হওয়া। আসরের প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে যখন আসরের ওয়াক্ত প্রবেশ করে (যুহরের শেষ সময়) এবং তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন সূর্যের আলো হলুদ রং ধারণ করে। মাগরিবের প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এবং তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন শাফাক চলে যায়। ইশার প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে যখন শাফাক বিলীন হয়ে যায়, আর তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন অর্ধেক রাত চলে যায়। ফযরের নামাযের প্রথম ওয়াক্ত যখন ভোর শুরু হয় এবং তার ওয়াক্ত শেষ হয় যখন সূর্য উঠা শুরু হয়।
(তিরমিজি ১৫১)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ اللَّيْثِيِّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَانَ قَاعِدًا عَلَى الْمِنْبَرِ فَأَخَّرَ الْعَصْرَ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ صلى الله عليه وسلم قَدْ أَخْبَرَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِوَقْتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ اعْلَمْ مَا تَقُولُ . فَقَالَ عُرْوَةُ سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " نَزَلَ جِبْرِيلُ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَنِي بِوَقْتِ الصَّلاَةِ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ " . يَحْسُبُ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ وَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ قَبْلَ أَنْ تَدْخُلَهَا الصُّفْرَةُ فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ مِنَ الصَّلاَةِ فَيَأْتِي ذَا الْحُلَيْفَةِ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ وَيُصَلِّي الْمَغْرِبَ حِينَ تَسْقُطُ الشَّمْسُ وَيُصَلِّي الْعِشَاءَ حِينَ يَسْوَدُّ الأُفُقُ وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حَتَّى يَجْتَمِعَ النَّاسُ وَصَلَّى الصُّبْحَ مَرَّةً بِغَلَسٍ ثُمَّ صَلَّى مَرَّةً أُخْرَى فَأَسْفَرَ بِهَا ثُمَّ كَانَتْ صَلاَتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ التَّغْلِيسَ حَتَّى مَاتَ وَلَمْ يَعُدْ إِلَى أَنْ يُسْفِرَ
মুহাম্মাদ ইবনু সালামা ..... উসামা ইবনু যায়দ আল-লায়ছী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু শিহাব তাকে জানিয়েছেন যে, একদা উমার ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ) মিম্বরে বসে (রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায়) আসরের নামাযে (নামায আদায়ে) কিছু বিলম্ব করেন। তখন উরওয়া ইবনুস যুবায়ের (রহঃ) তাকে বলেন, জিবরীল (আঃ) মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু অলাইহে ওয়া সাল্লামকে নামাযের সময় সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তখন উমর ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ) বলেন, তুমি যা বলছ তা আমি জানি। তখন উরওয়া বলেন, আমি বশীর ইবনু আবূ মাসউদকে বলতে শুনেছি, আমি আবূ মাসউদ আলসারী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ জিবরীল (আঃ) এসে আমাকে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে অবগত করেছেন। তিনি তাঁর অংগুলী গণনা করে বলেন, আমি তাঁর (জিবরীল) সাথে একে একে পাঁচ ওয়াক্তে নামায আদায় করেছি।
রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যুহরের নামায সূর্য একট্বূ পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার পর পড়তে দেখেছি এবং প্রখর গরমের দিনে তিনি কখনও একই বিলম্ব করেও পড়েছেন। আমি তাকে আসরের নামায সূর্য উপরে উজ্জল বর্ণ থাকা অবস্থায় আদায় করতে দেখেছি- সূর্যের কিরণে হলুদ রং প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে। কোন ব্যক্তি অসেরের নামায আদায় করে সূর্যাস্তের পূর্বেই ’যুল-হুলায়ফা’ নামক স্থানে পৌছে যেত। অতঃপর তিনি সূর্যাস্তের পরপরই মাগরিবের নামায আদায় করতেন। পরে তিনি এশার নামায ঐ সময় আদায় করতেন যখন পশ্চিমাকাশে কৃষ্ণবর্ণে আচ্ছাদিত হত এবং কখনও কখনও মানুষের একত্রিত হওয়ার জন্য বিলম্ব করতেন। তিনি একবার ফজরের নামায অন্ধকার থাকতেই আদায় করেন এবং পরের বার দিগন্ত উজ্জল হওয়ার পর সূর্যদয়ের পূর্বক্ষণে আদায় করেন। তিনি তাঁর ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত পুনরায় আর কখনও অপেক্ষা করেন নাই।
(আবু দাউদ ৩৯৪)
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রনীত নামাজের স্থায়ী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আপনার জেলার সময় হিসাবে যদি ১২মে এশা শুরু হয় ৭.৫৮ তে, তাহলে ৭.৫৮ এর আগ পর্যন্ত মাগরিব পড়লে হয়ে যাবে।
এখন কেউ ১২ মে মাগরিব ৭.৩০/৭.৪০ এ পরলে তার সালাত হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
কোনো গুনাহ হবেনা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রনীত নামাজের স্থায়ী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আপনার জেলার সময় হিসাবে যদি ১৮ মে আসর শুরু ৪.৩৩ এ। তাহলে ওইদিন জোহর কেউ ৩.৪০ বা ৪.১০ এ পড়লে সালাত হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
কোনো গুনাহ হবেনা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রনীত নামাজের স্থায়ী ক্যালেন্ডার দেশের বিজ্ঞ উলামায়ের কেরামদের সম্মতিতে তৈরী করা হয়েছে।
যাহা হানাফি মাযহাবের সকলেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে মেনে নিয়েছেন।
সুতরাং হাদীসে সালাতের যে সময়সীমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে তা ইসলামিক ফাউন্ডেশন পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করে।
আপনি যেভাবে সালাত আদায় করছেন,তাতে সালাত আদায় হয়ে যায়।
তবে আওয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায় উত্তম
সে জন্য আওয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায়ের চেষ্টা করবেন।
তবে আপনি পুরুষ হলে সেক্ষেত্রে মসজিদে আযানের পর মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে প্রতিটি নামাজ আদায় করবেন।
আপনাকে যে অনেকে ভুল প্রমাণ করতে চাচ্ছে এবং আপনাকে যে কথা শোনায় তা আপনার প্রতি জুলুম হবে।