আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্। গত প্রায় পাঁচ মাস থেকে একটা বিয়ের প্রস্তাবে কথা চলে কিন্তু একটু কথা আগানোর পরে আবার ছেলে পক্ষ অনেকদিন কিছু বলে না, এরকম হচ্ছে এতো দিন থেকেই,  মেয়ের পরিবারও এই প্রস্তাবে রাজি না কিন্তু এটা পুরোপুরি ক্যান্সেলও হচ্ছে না।

১) এই অবস্থায় মেয়ে কি অন্য সিভিতে যোগাযোগ করতে পারবে??
২) বাড়ি থেকে আরেকটা প্রস্তাবে সাক্ষাৎ করার জন্য বলতেছে সেটাতে কি সাক্ষাতের জন্য  মেয়ের সম্মতি দেয়া ঠিক হবে??


এরকম হলে কি গুনাহগার হতে হবে?? যেহেতু এতোদিনেও কোন সমাধান হচ্ছে না,মেয়ের বয়সও বেড়ে যাচ্ছে, এভাবে আর কতোদিন বসে থাকা যায়

জাযাকুমুল্লাহু খয়রন

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

 

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাব,

https://ifatwa.info/64116/  নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

ইবনু ’উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত।

وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبِعِ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلَا يَخْطِبْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ إِلَّا أنْ يأذَنَ لَهُ» . رَوَاهُ مُسلم

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো লোক তার মুসলিম ভাইয়ের বেচাকেনার কথার বলার সময় নিজে বেচাকেনার কথা উত্থাপন করতে পারবে না। আর কোনো মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর নিজে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, যদি ঐ ভাই তা অনুমতি দেয়, তাহলে পারবে।(মিশকাত-২৮৫০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

একজন মুসলিম ভাই কোনো একজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলো, এই প্রস্তাব ঝুলন্ত থাকাবস্থায় অন্য ভাইর জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হবে না।

হ্যা, যদি কোনো মেয়েকে কোনো ভাই প্রস্তাব দেয়,এই প্রস্তাবের বিষয়টা অন্য পাত্রের জানা না থাকলে,তখন তিনি ওই মেয়েকে প্রস্তাব দিতে পারবেন।এতে ঐ পাত্রের গোনাহ হবে না।

যদি প্রথম প্রস্তাবের পাত্রের সাথে বিয়ের কথা পাকাপাকি না হয়, এমনি শুধু দেখাদেখি হয় (হ্যা/না সিদ্ধান্ত নেয়া অবস্থায় থাকে) এর মধ্যে যদি অন্য কোনো পাত্র প্রস্তাব দিয়ে দেয় এবং দ্বীনদারিতায় যদি উভয় পাত্র সমান থাকে তবে দ্বিতীয় পাত্র আর্থিক সচ্ছলতা এবং সামাজিক অবস্থানে প্রথম পাত্রের চেয়ে উত্তম হয়,তাহলে তখন পাত্রী পক্ষের জন্য দ্বিতীয় পাত্র গ্রহণ করার সিদ্বান্ত নেয়া জায়েজ হতে পারে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাত্রীর ফ্যামিলি যদি অন্যত্রে কথা বলতে চায়, পাত্রীকে দেখাতে চায়, সেক্ষেত্রে ১ম পাত্র থেকে অনুমতি নিতে হবে, অথবা তাদের ব্যপারে না বাচক সিদ্ধান্তে আসতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...