আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in পবিত্রতা (Purity) by (19 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركته
আমার ১৯.৪.২৪ তারিখে নিফাস শেষ হয়। কিন্তু রক্তস্রাব বহাল থাকে। চিকিৎসা চলমান ছিলো। অত:পর ৯.৫.২৪ তারিখে আবার স্রাব দেখতে পাই যেটা আঠালো ও বাদামী রঙের ছিলো। এটা কি হায়েজ হিসেবে গণ্য করে আমি সালাত ও সিয়াম থেকে বির‍ত থাকবো নাকি আদায় করবো? আমার সাধারণত ৭ দিন হায়েজ থাকতো। যদি ১৫ তারিখের পর আবার স্রাব দেখি তাহলে কি হায়েজ ধরবো নাকি ইস্তিহাযা?
আমি দুইদিন যাবৎ সালাত আদায় করছি না হায়েজ ভেবে। দয়া করে জানাবেন কি করণীয়।

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]

فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)

সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। 
,

اتَّفَقَ الْفُقَهَاءُ عَلَى أَنَّهُ لاَ حَدَّ لأِقَل النِّفَاسِ، فَأَيُّ وَقْتٍ رَأَتِ الْمَرْأَةُ الطُّهْرَ اغْتَسَلَتْ، وَهِيَ طَاهِرٌ، وَاخْتَلَفُوا فِي أَكْثَرِهِ: فَيَرَى جَمْعٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنَّ أَكْثَرَ النِّفَاسِ أَرْبَعُونَ يَوْمًا. قَال أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: أَجْمَعَ أَهْل الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ

সমস্ত উলামায়ে কেরাম এ কথার উপর একমত যে,নেফাসের সর্বনিম্ন কোনো সীমারেখা নাই।সন্তান জন্মের পর যখনই মহিলা পবিত্রাকে দেখবে,তখনই গোসল করে পবিত্র হয়ে যাবে।নেফাসের সর্বোচ্ছ সীমারেখা কিএ নিয়ে ফুকাহাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে,সিংহভাগ উলামায়ে কেরাম মনে করেন,সর্বোচ্ছ চল্লিশদিন পর্যন্ত নেফাস হতে পারে।ইমাম তিরমিযি রাহ বলেন,সাহাবা এবং পরবর্তী যুগের উলামাদের ইজমা রয়েছে যে,নেফাসের সর্বোচ্ছ সীমারেখা চল্লিশদিন। (আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২/১৫)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-

أقل النفاس ما يوجد ولو ساعة و أكثره أربعون

মর্মার্থ: নিফাসের সর্ব নিম্ন কোনো মেয়াদ নেই। আর সর্বোচ্চ মেয়াদ হলো চল্লিশ দিন। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া১/৯১ )

নিফাসের সর্ব নিম্ন নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই। আর নিফাস এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনের মধ্যে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যেদিন বন্ধ হবে, সেদিন গোসল করে নামায পড়া শুরু করে দিতে হবে।

 কিন্তু বন্ধ না হয়, তাহলে এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনেও বন্ধ না হয়, তাহলে চল্লিশ দিন পর বন্ধ না হলেও নামায পড়তে হবে।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
১৯.৪.২৪ তারিখে কি আপনার নেফাসের ৪০ দিন হয়েছিলো?

যদি ৪০ দিন হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে ৯.৫.২৪ তারিখ হতে যে স্রাব এসেছে,এটা যদি নুন্যতম তিনদিন তিনরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে,সেক্ষেত্রে এটি হায়েজ।
এ সময়ে নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে হবে।

আর যদি ১৯.৪.২৪ তারিখ আপনার নেফাসের ৪০ দিন না হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে নেফাসের ৪০ দিন পর থেকে হিসাব করে ৪১ দিন হতে পবিত্রতা ধরতে হবে।

৪১ তম দিন হতে ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর হায়েজ আসলে সেক্ষেত্রে তাহা নুন্যতম তিনদিন তিনরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে,সেটা হায়েজ বলে গন্য হবে।

অন্যথায় নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...