বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّمَا قَوْلُنَا لِشَيْءٍ إِذَا أَرَدْنَاهُ أَن نَّقُولَ لَهُ كُن فَيَكُونُ
আমি যখন কোন কিছু করার ইচ্ছা করি; তখন তাকে কেবল এতটুকুই বলি যে, হয়ে যাও,। সুতরাং তা হয়ে যায়।(সূরা নাহল-৪০)
আল্লাহ তা'আলা অন্য এক আয়াতে বলেন,
وَلَقَدْ خَلَقْنَا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَمَا مَسَّنَا مِن لُّغُوبٍ
আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি এবং আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।(সূরা ক্বাফ-৩৮)
উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা সম্পর্কে আল্লামা কুরতুবী রাহ সূরা আ'রাফের ৫৪ নং আয়াতের ব্যখ্যায় বলেন,
( وذكر هذه المدة - أي ستة أيام - ولو أراد خلقها في لحظة لفعل؛ إذ هو القادر على أن يقول لها كوني فتكون،ولكنه أراد:
- أن يعلم العباد الرفق والتثبت في الأمور .
- ولتظهر قدرته للملائكة شيئاً بعد شيء ....
- وحكمة أخرى : خلقها في ستة أيام ؛ لأن لكل شيء عنده أجلا ، وبيّن بهذا ترك معاجلة العصاة بالعقاب ؛ لأن لكل شيء عنده أجلاً ... ) ا.ه
আল্লাহ তা'আলা একটি বাক্য দ্বারা আসমান জমিন সবকিছুই সৃষ্টি করতে পারতেন।তারপরও ছয়দিনে কেন সৃষ্টি করলেন? এর হেকমত কি?
আল্লাহ তা'আলা ছয়দিনে এজন্য সৃষ্টি করলেন,যাতেকরে বান্দা প্রত্যেক কাজকে দূরভাবে করে।
এবং যাতেকরে ফেরেস্তার কুদরত প্রকাশ হয়।
এবং যাতেকরে এটা বুঝা যায় যে,প্রত্যেক জিনিষের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে।যাতেকরে কাউকে শাস্তি প্রয়োগ করতে জলদি করা না হয়,কেননা প্রত্যেক জিনিষের একটি নির্দিষ্ট রয়েছে।