আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
2,358 views
in সালাত(Prayer) by (19 points)
আসরের নামাজের কিরাত আস্তে পড়তে হয় এই জানি। এখন ইমাম সাহেব যদি আসরের নামাযে ভুল করে এশার নামাজের মত জোরে কিরাত পড়ে সম্পন্ন করে তাহলে কি নামাজ হবে?  ইমাম মুক্তাদী সবারই কি নতুন করে নামাজ পড়তে হবে? যদি পড়তে হয় এবং পুনরায় পড়ার আগে অন্য ওয়াক্ত চলে আসে তবে কি কাযা পড়তে হবে?

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের ওয়াজিব ১৪টি
১. সূরা ফাতিহা পূর্ণ পড়া।
(বুখারী, হাঃ নং ৭৫৬)
২. সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মিলানো।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৭৭৬, মুসলিম, হাঃ নং ৪৫১)
৩. ফরযের প্রথম দুই রাক‘আতকে ক্বিরা‘আতের জন্য নির্দিষ্ট করা।
(বুখারী শরীফ, হা নং ৭৭৬/ মুসলিম, হাঃ নং ৪৫১)
৪. সূরা ফাতিহাকে অন্য সূরার আগে পড়া।
(তিরমিয়ী, হাঃ নং ২৪৬/ ত্বাহাবী, হাঃ নং ১১৭২)
৫. নামাযের সকল রোকন ধীর স্থিরভাবে আদায় করা। (অর্থাত রুকু, সিজদা এবং রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ও দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ দেরী করা।)
(আবু দাউদ, হাঃ নং ৮৫৬, ৮৫৭, ৮৫৮)
৬. প্রথম বৈঠক করা (অর্থাত তিন অথবা চার রাক‘আত বিশিষ্ট নামাযের দুই রাকআতের পর বসা)।
(বুখারী, হাঃ নং ৮২৮)
৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৮৩০, ৮৩১/ মুসলিম, হাঃ নং ৪০২, ৪০৩)
৮. প্রত্যেক রাক‘আতের ফরয এবং ওয়াজিবগুলোর তরতীব বা সিরিয়াল ঠিক রাখা।
(তিরমিযী, হাঃ নং ৩০২)
৯. ফরয ও ওয়াজিবগুলোকে স্ব স্ব স্থানে আদায় করা। (যেমন দ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার সাথে করা। প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু শেষ করে ততক্ষণাত তৃতীয় রাকা‘আতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
(বাদায়িউস সানায়ে, ১ : ৬৮৯)
১০. বিতরের নামাযে তৃতীয় রাক‘আতে কিরাআতের পর কোন দু‘আ পড়া। অবশ্য দু‘আ কুনূত পড়লে ওয়াজিবের সাথে সুন্নাতও আদায় হয়ে যাবে।
(নাসায়ী হাঃ নং ১৬৯৯/ ইবনে মাজাহ, হাঃ নং ১১৮২/ ত্বহাবী, হাঃ নং ১৪৫৫)
১১. দুই ইদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা।
(আবু দাউদ, হাঃ নং ১১৫৩)
১২. দুই ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাক‘আতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার পর রুকুর জন্য ভিন্নভাবে তাকবীর বলা।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃ নং ৫৭০৪/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ নং ৫৬৮৫)
বি.দ্র. এ তাকবীরটি অন্যান্য নামাযে সুন্নাত।
১৩. ইমামের জন্য যোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নাত ও নফল নামাযে ক্বিরা‘আত আস্তে পড়া এবং ফজর, মাগরিব, ইশা, জুম‘আ, দুই ঈদ, তারাবীহ ও রমযান মাসের বিতর নামাযে ক্বিরা‘আত শব্দ করে পড়া।
(মারাসীলে আবু দাউদ, হাঃ নং ৪১/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ ৫৭০০/ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃ নং ৫৪৫২)
বি.দ্র. আস্তে পড়ার অর্থ মনে মনে নয়, কারণ তাতে নামায শুদ্ধ হয় না। বরং আওয়াজ না করে মুখে পড়া জরুরী।
১৪. সালাম-এর মাধ্যমে নামায শেষ করা।
(আবু দাউদ, হাঃ নং ৯৯৬)
বি.দ্র.- উল্লেখিত ওয়াজিবসমূহের মধ্য হতে কোন একটি ভুলে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। সিজদায়ে সাহু না করলে বা ইচ্ছাকৃত কোন ওয়াজিব তরক করলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। পুনরায় পড়া ওয়াজিব হবে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি ইমাম সাহেব আছরের নামাযে উচ্ছস্বরে কেরাত শুরু করে দেন,তাহলে সাহু সেজদা দিয়ে নামাযকে সমাপ্ত করবেন।

যদি সাহু সিজদা দিতে ভূলে যান, তাহলে ওয়াক্তের ভিতর নামাযকে পূনরায় পড়ে নিবেন।ইমাম মুক্তাদি সবাই মিলে নামাযকে পূনরায় পড়ে নিবেন।

যদি সাহু সিজদা দেওয়া না হয়,এবং পরবর্তীতে ওয়াক্তের ভিতর নামাযকে পূনরায় পড়াও না হয়, এবং ওয়াক্ত চলে যায়,তাহলে আর উক্ত নামাযকে পড়তে হবে না।কেননা যত জায়গায় সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়ে থাকে,সে সমস্ত স্থানে ওয়াক্ত চলে গেলে,আর নামাযকে পূনরায় পড়তে হয়না।

হ্যা ওয়াক্তের ভিতর হলে পূনরায় পড়তে হবে,এবং পড়াই ওয়াজিব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)
জাযাকাল্লাহু খইরন
by
সুরাা ফাতিহা কতটুকু পড়লে সাহু সেজদা দিতে হবে?
by (590,550 points)
আলহামদু বাক্যাংশ পড়ে নিলেও সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়ে যাবে।
by
শুকরিয়া।
প্রিয় শায়েখ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...