জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
وتفترق أمتي على ثلاث وسبعين ملة، كلهم في النار إلا ملة واحدة، قالوا: ومن هي يا رسول الله؟ قال: ما أنا عليه وأصحابي.
আমার উম্মত তেহাত্তর ভাগে বিভক্ত হবে।একদল ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে।সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সেটি কোন দল?রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,সেটা ঐ দল,যারা আমার ও আমার সাহাবাদের অনুসরণ করবে।(সুনানু তিরমিযি-২৬৪১)
উক্ত হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পরবর্তী যুগে তেহাত্তর দলের আবির্ভাব হবে।এর মধ্য থেকে একদলই শুধুমাত্র জান্নাতে যাবে।আর অবশিষ্ট বাহাত্তর দল জাহান্নামে যাবে।
উলামায়ে কেরাম কুরআন হাদীসের আলোকে সেই নাজাতপ্রাপ্ত দলকে তালাশ করতে কয়েকটি আলামত নির্ধারণ করলেন।মূলত এই আ'লামত গুলোকেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আ'লামত বলা হয়।
,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উল্লেখযোগ্য কিছু আক্বিদা-বিশ্বাস সম্পর্কে জানুনঃ
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যে দশটি উল্লেখযোগ্য আকিদার কথা পাওয়া যায়,সেই দশটি আকিদাকে আহলে হাদীসরা মেনে থাকেন।সেজন্য তাদেরকে আহলে সুন্নাত থেকে খারিজ বলা যাবে না।
,
তাকলিদ সংক্রান্ত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তারাও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত।
(০২)
গালি গালাজ বা তাদের মনে কষ্ট দেয়ার মতো কথা বলে থাকলে সেক্ষেত্রে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে যতজনের কথা মনে আসে,তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার মেসেজ পাঠিয়ে দিতে পারেন।
(০৩)
মুজতাহিদ ছাড়া সাধারণ লোকজন এভাবে আমল করলে অনেকেই বলেছেন যে এতে নফসের পূজা হবে।
(০৪)
এটা জায়েজ নেই।
এ সংক্রান্ত জানুনঃ-
(০৫)
এক্ষেত্রে কারা এমনটি করছে,নিশ্চিত ভাবে জানতে পারলে মাজলুম হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে বদ দুয়া করলে এতে আপনাদের গুনাহ হবেনা।
(০৬)
তাবিজ কোনো কিছুর মধ্যে তোলা থাকলে এমতাবস্থায় শোয়া যাবে।
(০৭)
এটা জায়েজ নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৮)
প্রশ্নের বিবরন মতে ফেসবুকে শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজ না করলে সেক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার বৈধ হবে।
আরো জানুনঃ-