আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (76 points)
১।আমার বোন আহলে হাদিস দাবিদার তারা কি সঠিক দল

২।আমি ফেসবুকে অনেক আহলে হাদিস দাবিদার ভাই কে ছোট করছি কটু কথা বলছি তারাও বলছে আমাকে এখন কি তাদের কাছে মাফ চাইতে হবে

৩।আহলে হাদিস দাবিদার একজন আলেম বলছেন যে তাকলিদে গায়রে সাখসি জায়েজ আহলে হাদিস মাজহাব এর লোকেরা এই মত অনুযায়ী আমল করলে কি নফসের পুজা হবে?

৪। টিভিতে বা মোবাইলে আন্তরজাতিক ক্রিকেট খেলা দেখার সময় নারীদের ছবি আসলে অন্য দিকে ফিরিয়ে নেই সাউন্ড ছাড়া দেখি নামাজ ঠিক রেখে, খেলা দেখার সময় মাঝে মাঝে জিকির দূরদ পড়ি তাহলে কি সমস্যা হবে?


৫।এক পরিবারকে বারবার আমাদের পরিবারের লোকজন কে   যাদু করে প্রথমে আমার বাবাকে করতো আমাদের অনেক সম্পদ ছিলো বাবার ইনকাম ভালো হওয়া সত্ত্বেও বিনা কারনে সব বিক্রি করে দেয় বিটা ছাড়া আর কিছুই নাই আমাদের পরিবারে কোনো আয় উন্নতি হচ্ছে না। এখন মনে হয় আমাকে আমি যে রুমে থাকি দুইটা তাবিজ পাইছি। যে কাজে হাত দেই সে কাজে ধরা খাই। নামাজ পড়তে আল্লাহ পাক এর ইবাদত করতে অনেক কষ্ট হয়। মাথায় অনেক খারাপ চিন্তা আসে,,। আমাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে জগড়া বেশি হয়। আমার বাচ্চা হওয়ার পর ঐ পরিবারের একজন ঘনঘন আসা শুরু করে আগে আসতো না আমার বাচ্চা মারা যায় মারা যাওয়ার আগে অনেকে বলছে আলগার সমস্যা মানে জিনের।  বারবার ক্ষতি করার পর কি তাদের কে আল্লাহ পাক এর জন্য মাফ করবো নাকি বদদোয়া করব। মাফ তো বহুবার করছি তারা তো বারবার করে এখন কি করনীয়


৬।কোরআন এর তাবিজ নিয়ে শোয়া যাবে কি না কার শুইতে  গেলে পা আর গলা সমান থাকে?
৭।কোরআন এর আয়াত তো কবজের ভিতরে থাকে টয়লেটে নিয়ে যাওয়া জুনুবি অবস্থায় পড়া যাবে কি


৮।ফেসবুকে হিন্দু লোকের নাম বা মূর্তির ছবি আসে সাথে সাথে চেঞ্জ করে দিলে অন্য কোনো কিছু দেখলে এইযে আসে আসার কারনে ফেসবুক দেখা জায়েজ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,

وتفترق أمتي على ثلاث وسبعين ملة، كلهم في النار إلا ملة واحدة، قالوا: ومن هي يا رسول الله؟ قال: ما أنا عليه وأصحابي.

আমার উম্মত তেহাত্তর ভাগে বিভক্ত হবে।একদল ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে।সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সেটি কোন দল?রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,সেটা ঐ দল,যারা আমার ও আমার সাহাবাদের অনুসরণ করবে।(সুনানু তিরমিযি-২৬৪১)

উক্ত হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পরবর্তী যুগে তেহাত্তর দলের আবির্ভাব হবে।এর মধ্য থেকে একদলই শুধুমাত্র জান্নাতে যাবে।আর অবশিষ্ট বাহাত্তর দল জাহান্নামে যাবে।

উলামায়ে কেরাম কুরআন হাদীসের আলোকে সেই নাজাতপ্রাপ্ত দলকে তালাশ করতে কয়েকটি আলামত নির্ধারণ করলেন।মূলত এই আ'লামত গুলোকেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আ'লামত বলা হয়।
,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উল্লেখযোগ্য কিছু আক্বিদা-বিশ্বাস সম্পর্কে জানুনঃ 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
 আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যে দশটি উল্লেখযোগ্য আকিদার কথা পাওয়া যায়,সেই দশটি আকিদাকে আহলে হাদীসরা মেনে থাকেন।সেজন্য তাদেরকে আহলে সুন্নাত থেকে খারিজ বলা যাবে না।
,
তাকলিদ সংক্রান্ত জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তারাও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত। 

(০২)
গালি গালাজ বা তাদের মনে কষ্ট দেয়ার মতো কথা বলে থাকলে সেক্ষেত্রে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে যতজনের কথা মনে আসে,তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার মেসেজ পাঠিয়ে দিতে পারেন।

(০৩)
মুজতাহিদ ছাড়া সাধারণ লোকজন এভাবে আমল করলে অনেকেই বলেছেন যে এতে নফসের পূজা হবে।

(০৪)
এটা জায়েজ নেই।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৫)
এক্ষেত্রে কারা এমনটি করছে,নিশ্চিত ভাবে জানতে পারলে মাজলুম হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে বদ দুয়া করলে এতে আপনাদের গুনাহ হবেনা।

(০৬)
তাবিজ কোনো কিছুর মধ্যে তোলা থাকলে এমতাবস্থায় শোয়া যাবে।

(০৭)
এটা জায়েজ নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৮)
প্রশ্নের বিবরন মতে ফেসবুকে শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজ না করলে সেক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার বৈধ হবে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...