আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আস-সালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ্,
এক বোনের অনেক বছর আগে(১২/৮বছর আগে) হারাম  রিলেশন ছিলো,  তিনি বিষয় টা পাত্র পক্ষকে শেয়ার করতে চাচ্ছেন না। বোন একজন অনেক গায়রতমান মুসলিমাহ। নিজের সাধ্য অনুযায়ী দ্বীন পালনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বয়স ৩১ চলছে, গায়ের রং এর জন্য বিয়েও এগুচ্ছে না।

এদিকে পাত্রপক্ষ অনেকগুলো প্রশ্ন সম্বলিত একটা নোট পাঠিয়েছেন যে আল্লাহর কসম করে জানাতে বলেছেন তিনি পূর্বে কখনও কোন হারাম সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কিনা।
একদিকে গুনাহের সাক্ষী রেখে মৃত্যুবরনের ভয় সাথে গায়রতের বিষয়, কেননা  উভয় পক্ষের অনেকেই উত্তরগুলো পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।  এক্ষেত্রে ঐ বোনের করণীয় কি?
জাযাকুমুল্লাহ খয়রন।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামীর উচিৎ সে দ্বীনদ্বার, চরিত্রবান কোনো নারী দেখে বিয়ে করবে। যখন সে কাউকে বিয়ে করে নেবে,তখন সে যেন তার স্ত্রীকে অতীত জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা না করে,খোজখবর না নেয়।কেননা দোষ গোপন রাখাই অাল্লাহর পছন্দনীয়। যা কারো অতীত জীবনী তালাশের বিরোধী। এতেকরে সন্দেহের সৃষ্টি হয় যা সংসার নামক প্রশান্তিদায়ক বস্তুকে অগ্নিময় করে তুলে।মানুষকে অস্থির ও পেরেশান করে তুলে। স্বামীর জন্য এটাই যথেষ্ট যে সে তার স্ত্রীকে ইবাদতে লিপ্ত দেখবে।তার ফরমাবরদার হবে। ঠিক এমনিভাবে স্ত্রী তার স্বামীকে অতীত জীবন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করবে না।স্বামী কি ইতিপূর্বে কাউকে ভালবেসেছিলো? অন্য কারো প্রতি তার মন কখনো চলে গিয়েছিলো?সে কি কোনো গোনাহের কাজে কখনো গিয়েছিলো? কেননা এমনসব প্রশ্নে কোনো উপকার নেই।বরং এর দ্বারা অপকারের এমনসব দরজা খুলে যায়,যার সংশোধন কখনো সম্ভবপর হয় না। স্বামী যদি স্ত্রীকে বারংবার জিজ্ঞাসা করে।অথবা এ বিষয়ে স্ত্রীর মূখ থেকে হ্যা/না শুনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে, অন্যদিকে স্ত্রী নিজেকে বাচানোর অন্য কোনো রাস্তা খুজে না পায়,তাহলে সে নিজের ভবিষ্যৎ জীবনকে সন্দেহমুক্ত রাখতে তাওরিয়াহ করে কসম করতে পারবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 906 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কসম করা ব্যতিত অন্য কোনো রাস্তা না থাকলে, ইমাম নববী রাহ এর ভাষ্যমতে তখন প্রয়োজনে মিথ্যা বলে স্বামীকে আশ্বস্ত করা যাবে যে, আমার অতীতে কোনো গোনাহ সংগঠিত হয়নি। তবে শর্ত হল, এই গোনাহ থেকে তাওবাহ করে নিতে হবে। ভবিষতে এ রকম কোনো গোনাহের ধারেকাছে যাতে না যাওয়া হয়, সে সম্পর্কে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...