আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আমার প্রধান সমস্যাটা হচ্ছে আমার অজু করার পর ওযু ভেঙে যায়, আর লক্ষণ বারবার চেঞ্জ হয়, যেমন ধরেন কিছুদিন এশার ওয়াক্তে অজু ভাঙবে শুধু বারবার,কিছুদিন জোহরে,এভাবে লক্ষণ চেঞ্জ হতে থাকে,আগে এমন হতো অজু করে শেষ করেছি সাথে সাথে অজু ভেঙে যায়,এমন অনেক দিন চলেছে,আর প্রচুর সাদা স্রাব,সাদা স্রাব পরিষ্কার করে এসে অজু করি গ্যাস এর সমস্যা হয়ে অজু ভেঙে যায়,তখন অজু করতে করতে আবার সাদা স্রাব দেখা দেয়,নয়তো বাথরুমে যাওয়ার দরকার পড়ে,সাথে প্রচুর ওয়াসওয়াসা আছে,প্রচুর ধোয়া মোছা করি,নামাজে ভুল হয়ে যায়,অজু করতে গিয়ে ভুলে যাই,নামাজে বাধা লাগে,বাথরুমে গেলে গায়ে পানির ছিটা লাগে,নয়তো নামাজে কাপড় খুলে যায়,চুল বের হয়ে যায়,তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত বের হয়,নয়তো পানি বের হয়,পড়াশুনা এর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে,শুকায় গেছি,মাথার চুল পড়ে গেছে,একবার বাসায় তাবিজ পেয়েছিলাম, যেটায় গোলমরিচ চুল  আর আরবী লিখা ছিল,কিছুদিন আগে মাঝরাতে দেখি আমি খালি গায়ে শুয়ে আছি জামা কাপড় ছাড়া, এমতাবস্থায় আমি কিভাবে নামাজ আদায় করতে পারি,আমার জন্য কি কোন ছাড় আছে?

২.রুকাইয়া এর জন্য পানি পড়া বানানো কি জায়েজ অনেক আলেম নাকি বলেছে চলবে না,পানি পড়া ও গোসল করা কি জায়েজ?

৩.রুকাইয়া এর জন্য জ্বীন হাজির করা,জ্বীন জবাই করা কি জায়েজ?

৪.ওয়াসওয়াসা এর জন্য কোথাও কাউন্সিলিং করাতে পারি?আপনাদের আইওএম এ এখন এই কোর্স বন্ধ আছে

৫.আপনাদের পরিচিত,বিশ্বস্ত, প্রফেশনাল কোন রাকি আছে?যার কাছে কম খরচে রুকাইয়া করাতে পারবো ইন শা আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (686,400 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।   
,
সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত সমস্যা  বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট ছুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। 
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
,
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন
,
আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা ওয়ালা মহিলার ন্যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَذَكَرَ خَبَرَهَا وَقَالَ " ثُمَّ اغْتَسِلِي ثُمَّ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلَاةٍ وَصَلِّي "
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাযিয়াল্লাহু ‘আনহা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তার ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ তারপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক সলাতের জন্য অযু করে সলাত আদায় করবে।
(আবু দাউদ ২৯৮.ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ ঋতুবতী নারীর হায়িযের ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হওয়া প্রসঙ্গে, হাঃ ৬২৪), আহমাদ (৬/৪২, ২৬২)


حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ، اسْتُحِيضَتْ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم أَنْ تَنْتَظِرَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي فَإِنْ رَأَتْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ تَوَضَّأَتْ وَصَلَّتْ

‘ইকরিমাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ বিনতু জাহশের ইস্তিহাযা হলো। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হায়িযের দিনসমূহে (সলাত ইত্যাদির জন্য) অপেক্ষা করার পর গোসল করে সলাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর অযু করে এক ওয়াক্ত সলাত আদায়ের পর রক্ত দেখা গেলে পরের ওয়াক্তের জন্য পুনরায় অযু করে সলাত আদায় করতে বললেন।
(আবু দাউদ ৩০৫)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনার যদি পুরো ওয়াক্ত জুড়ে এভাবে বায়ু/সাদা স্রাব না আসে,সেক্ষেত্রে আপনি নামাজের শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত পবিত্রতার জন্য অপেক্ষা করবেন।

পবিত্র হওয়া মাত্র নামাজ আদায় করবেন।

(০২)
জায়েজ।
তবে তাহা কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক দিয়ে করতে হবে। এবং আকীদা বিশুদ্ধ রেখে তাহা ব্যবহার করতে হবে।

তবে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ থাকায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সতর্কতা কাম্য।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
শরীয়ত সম্মত ওযরে শরীয়ত সম্মত পন্থায় জীন হাজির করা যাবে। তবে জীন হত্যা করা যাবেনা।

(০৪)
iom এর হটলাইনে ফোন দিয়ে বা ফেইসবুক পেইজে মেসেজ দিয়ে যোগাযোগ করে বিষয়টি তাদেরকে জানাতে পারেন।

(০৫)
আমার জানা নেই।
নিজ এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেব এর সাথে মাহরামের মাধ্যমে যোগাযোগ করে কোনো রুকইয়াহ কারীর সন্ধান পেতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...