আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার স্বামি গোপনে তাঁর চাচাতো বোন কে বিয়ে করে। এবং দীর্ঘদিন সংসার করার পর তালাক দেয়। পরে আমাকে সব জানায়। পরে সেই চাচাত বোনের অন্যত্র বিয়ে হয়ে সেই সংসার ও ভেঙে যায়।
আমাদের বাড়ি একই জায়গায় হওয়াতে আমি গ্রামে গেলে আমার স্বামীকে ওদের বাড়িতে যেতে দেখিনা, ওদের বাড়ির উঠোন দিয়ে ও অন্য কোথাও যেতে দেইনা যেহেতু ঐ মেয়ের সাথে দেখা হবার সম্ভাবনা থেকে যায়! ফিতনার আশংকায়। কিন্তু রাস্তাঘাটে কোথাও ঐ চাচা, চাচী বা চাচাত ভাইয়ের সাথে দেখা হলে কথা বলে ও কুশলাদি বিনিময় করে। কিন্তু ঐ চাচাত বোন কয়েকবার আমার স্বামীকে ফোন করেছিল ও মেসেজ দিয়েছিল। বলে তাকে সাহায্য করতে,যেমন চাকরি দিতে। কারণ তার দ্বিতীয় বিয়ে ও ভেঙে যাওয়ায় সে অসুবিধা তে আছে। আমি তাঁকে প্রথমে বুঝিয়ে বলেছি,পরে না শুনাতে একটু রাগারাগি করেছি। স্বামীকে নিষেধ করেছি ওকে কোন হেল্প না করতে কারণ আমার ভয় যদি আবার তারা সর্ম্পকে জড়িয়ে যায়।

এখন আমার প্রশ্ন
১. আমি যে ওদের বাড়িতে যেতে দেখিনা, উঠোন ও মাড়াতে দেইনা এতে কি আমার গুণাহ হচ্ছে?
২. ঐ মেয়েকে যে কোন সাহায্য করতে নিষেধ করেছি এতে কি আমার আত্নীয়র সর্ম্পক নষ্টের পাপ হচ্ছে। উল্লেখ্য আমি এটা করছি যেহেতু তারা গাইরে মাহরাম আর ফিতরার আশংকায়।

৩. ঐ মেয়েকে যে আমি রাগারাগি করেছি এতে কি আমি পাপি হচ্ছি?

৪. আমি যে সতর্কতা অবলম্বন করছি যেন আমার স্বামী আবার কোন সম্পর্কে যেন জড়িয়ে না যায়, এতে কি গুণাহ হচ্ছে ? আমি আল্লাহর বিধান অস্বীকার করছি না কিন্তু আমি চাইনা স্বামী আবার বিয়ে করুক। গোপনে যেটা করেছিল সেই কষ্ট এখনো ভুলতে পারি না।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) আপনি স্বামীকে ওদের বাড়িতে যেতে দেননা, উঠোনও মাড়াতে দেননা, এতে আপনার গুণাহ হবে না।

(২) ঐ মেয়েকে য কোন সাহায্য করতে নিষেধ করাতে বিশেষ কারণে আত্নীয়র সর্ম্পক নষ্টের পাপ আপনার হবে না।  যেহেতু তারা গাইরে মাহরাম আর ফিতরার আশংকা রয়েছে, তাই আপনার গোনাহ হবে না।

(৩)ঐ মেয়েকে  রাগারাগি করা উচিৎ হয়নি, অন্যায় কিছু বললে, তার কাছে ক্ষমা চাইবেন। ক্ষমা না চাইলে গোনাহ হবে 

(৪) আপনি যে, সতর্কতা অবলম্বন করছেনন, যেন আপনার স্বামী আবার কোন সম্পর্কে যেন জড়িয়ে না যায়, এতে আপনার গোনাহ হবে না। কেননা আপনি তো আল্লাহর বিধানকে অস্বীকার করছেন না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...