আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম,
ওস্তাদ আল্লাহর জন্য আর একবার সাহায্য করেন আমাকে। এর আগের প্রশ্নে বলেছিলাম এই বিষয়ে আর চিন্তাই করব না কিন্তু কি করব ওস্তায কিসের ভিতর দিয়ে যে যাই আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।কাউকে বলতে পারিনা মনের মধ্যে কি চলে। বাবা-মাকেও বলা যাবে না। কিভাবে বলবো কতোটা মানসিক পেরেশানিতে পরে যাই মাঝে মাঝে। এর আগেও ২বার প্রশ্ন করেছি আলহামদুলিল্লাহ উত্তর পেয়েছি মনকে বুঝাতে পেরেছি। বিরক্ত হবেন না উস্তায। আমার জন্য দোয়া করিয়েন আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেনো জান্নাত পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

মার কাবিনের ১৮নং অনুচ্ছেদে আমাকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। মহিলারা যে তালাক দিতে পারেনা এই কথা স্বামীর থেকেই বিয়ের পর প্রথম জেনেছি। আমি বিয়ের পর কয়েকবার জিজ্ঞাসাও করেছি আমার তালাকের ক্ষমতা আছে কিনা।তিনি না বলেছেন।

আমি অনেক সময় স্বামীর সাথে রাগারাগি করে কেনায়া তালাকের বাক্য বলেছি। একদিন স্বামীকে বলেছিলাম" তোমার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই" যখন সন্দেহ হলো তখন স্বামীকে জিগাসা করেছি আমার এই কথার জন্য কিছু হলো কিনা,তখন আমার স্বামী বলেছিলো "মেয়েরা বললে কিছুই হয়না"

আমার স্বামীর কোনো কথায়/ব্যবহারে আমার কষ্ট/রাগ হলে আমি তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলতাম।আবার মনে মনে নানা হাবিজাবি চিন্তা করতাম -- আমি তারে ছেড়ে চলে যাব,তিনি আর একটা বিয়ে করবে কিন্তু সেই বউ ভালো হবে না,তখন তার আমার কথা মনে পড়বে,যে আমার আগের বউ আমাকে ভালোবাসতো বর্তমান বউ আমাকে ভালোবাসে না,কিংবা সেই বউ অনেক খারাপ হবে, দেখতে সুন্দর হবেনা,আমার স্বামী তাকে নিয়ে সুখী থাকবে না।
আবার এমন চিন্তা হয় যে আমি অন্য কাওকে বিয়ে করে অনেক সুখে থাকব,সে দেখতে খুব সুন্দর হবে, অনেক টাকা পয়সা থাকবে,আমাদের সুন্দর সুন্দর বাচ্চা হবে,আর এইগুলা দেখে আমার স্বামী অনেক কষ্ট পাবে যে আমি অন্য লোকের সাথে খুব সুখে আছি।
ওস্তায,এইগুলো চিন্তা হয়,জলপনা কল্পনা হয়,আমি চাইনা এইগুলো কল্পনা হোক,কিন্তু স্বামীর সাথে যখন আবার ঝামেলা হয় তখন এইগুলো আবার কল্পনা হয়।
আমি আমার স্বামীকে অনেক ভালোবাসি হাবিজাবি চিন্তাভাবনা আমি করতে চাই না।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমার বলা কেনায়া বাক্য/হাবিজাবি চিন্তার জন্য কোনো সমস্যা হলো কিনা।আবার মনকে বুঝাই আমার তো তালাক দেওয়া ক্ষমতাই নাই,তো আমার বলার জন্য কিছুই হয়নাই।
সিউর হতে আবার কৌশলে স্বামীর কাছে জানতে চাই-- বলি দেখো আমাদের সমাজে মহিলারা স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করে নেয় তাদের বিয়ে তো হয়না তখন আমার স্বামী বলে যিনার সম্পর্ক হয়। এমন অনেক কথাবার্তা হয়। এক পর্যায়ে আমার স্বামী বলে " (১)যে থাকতে চায় না তাকে যাইতে দেওয়াই ভালো" এই ধরনেরই একটা কথা বলে  ।  আবার বলে(২) "যদি থাকতে না চায় তাইলে স্বামীর উচিত দিয়ে দেওয়া এটা স্ত্রীর উপর এহসান করা"
আমি তাকে বলি তালাকের ক্ষমতা প্রাপ্ত মেয়েরাও স্বামীকে তালাক দিতে পারে না, তালাকের নোটিশে যদি বলে স্বামিকে তালাক দিলাম তবে হবে না,নিজের উপর তালাক নিতে হবে। তখন আমার স্বামী বলে"(৩) নিজের উপর তালাক নিলাম বললেই বা কি স্বামীকে তালাক দিলাম বললেই বা কি"
(যদিও সেদিনের কথাগুলো আমরা অন্যদের প্রসঙ্গে বলছিলাম,যারা স্বামীকে তালাক দেয়/স্বামীর কাছে তালাক চায় সেইসব মহিলাদের নিয়ে। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য ছিলো অন্যদের প্রসঙ্গে বলে আমার স্বামীর এই বিষয়ে ধারণা কি তা জানা)
আমি তাকে বলেছি ১৮ নং অনুচ্ছেদে তালাকের অধিকার দেওয়া হলেও পরে তা আবার ফেরত নেওয়া যায়। মহিলাদের জন্য এটা বাড়তি ক্ষমতা,মহিলাদের জন্যটা প্রয়োজন নেই, তাতে সমস্যা তৈরি হয়।

এই কথাবার্তার পরের দিন মাগরিবের নামাজের সময় আমার মনে বার বার নিজের উপর তালাক নেওয়ার কথা আসে আমি বার বার না না বলে সাথে সাথে। আবার মনে হয় তালাক নিয়েই ফেলেছি, সাথে সাথেই না না বলি,আল্লাহ মাফ করো বলি।দোয়া ইউনুস পড়ি,মনকে বলি আমার তো তালাকের ক্ষমতাই নাই। আমি এমন চিন্তা করতে চাইনা তারপরেও আসে। মনে মনে এইসব কথা আসে আবার হয়তো জিব্বাহও নাড়িয়ে বলেছি কিন্তু শব্দ করিনি।
এই সব কথা মনে আসার জন্য খুব পেরেশানি পরে যাই সেদিন রাতে আবার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করি" তুমি তো কাবিনের ১৮নং এ লিখিতভাবে দাও নাই কিন্তু বিয়ের পর কখনো মৌখিকভাবে আমাকে তালাকের ক্ষমতা দিয়েছ কিনা?
তখন স্বামী মাথা নেড়ে না বলে।
উনি বলে"তুমি ঘুরে ফিয়ে একই কথা কেন বলো(এর আগেও এই বিষয়ে আমি তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম)
তখন আমার স্বামী বলে, "তোমার যদি মনে হয় আমি দিছি তাহলে আমি ফিরিয়ে দিলাম"(তালাকের অধিকার)
তখন আমি বলি আমার প্রশ্ন এটা না।তুমি কখনো মৌখিকভাবে দিছিলা নাকি
উনি না করে আর বলে একদিন আমার মনে হয়েছিলো-"যদি তুমি চাও আমি দিয়ে দিব"(মুখে বলেনি তার মনে হয়েছিলো, কবে মনে হয়েছিলো তাও সে বলতে পারেনা)তখন আমি বলি না আমি কোনোদিনও চাই না।

(১)মনে মনে স্ত্রীকে তালাকে ক্ষমতা দিলে স্ত্রী কি ক্ষমতা পাবে?
(২) "যে থাকতে চায়না তাকে যাইতে দেওয়াই ভালো/যে থাকতে চায়না তাকে রাইখা কি হইব/যে থাকতে চায়না তাকে রাইখা লাভ কি/নাই"
"যদি থাকতে না চায় তাহলে স্বামীর উচিত দিয়ে দেওয়া এটা স্ত্রীর উপর এহসান করা।
নিজের উপর তালাক নিলাম বললেই কি স্বামীকে তালাক দিলাম বললেই কি"

"এখন মেয়েরাই বেশি তালাক দেয়/ মেয়েরাই এখন এইকাজ বেশি করে।"

স্বামীর এমন কথা/ মনোভাবের জন্য আমি কি তালাকের অধিকার পাব?
(উল্লেখ্য, অন্য মেয়েদের বিষয়ে কথা বলার সময় স্বামী এমন কথা বলেছে,সমাজে এমনকি আত্নীয়দের মাঝেও এমন ঘটেছে মেয়েরাই প্রথম তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছে। কিন্তু যখন সরাসরি আমার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি আমার তালাকের অধিকার আছে কিনাআসসালামু আলাইকুম, আমার কাবিনের ১৮নং অনুচ্ছেদে আমাকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। মহিলারা যে তালাক দিতে পারেনা এই কথা স্বামীর থেকেই বিয়ের পর প্রথম জেনেছি। আমি বিয়ের পর কয়েকবার জিজ্ঞাসাও করেছি আমার তালাকের ক্ষমতা আছে কিনা।তিনি না বলেছেন।
আমি অনেক সময় স্বামীর সাথে রাগারাগি করে কেনায়া তালাকের বাক্য বলেছি। একদিন স্বামীকে বলেছিলাম" তোমার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই" যখন সন্দেহ হলো তখন স্বামীকে জিগাসা করেছি আমার এই কথার জন্য কিছু হলো কিনা,তখন আমার স্বামী বলেছিলো "মেয়েরা বললে কিছুই হয়না"

আমার স্বামীর কোনো কথায়/ব্যবহারে আমার কষ্ট/রাগ হলে আমি তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলতাম।আবার মনে মনে নানা হাবিজাবি চিন্তা করতাম -- আমি তারে ছেড়ে চলে যাব,তিনি আর একটা বিয়ে করবে কিন্তু সেই বউ ভালো হবে না,তখন তার আমার কথা মনে পড়বে,যে আমার আগের বউ আমাকে ভালোবাসতো বর্তমান বউ আমাকে ভালোবাসে না,কিংবা সেই বউ অনেক খারাপ হবে, দেখতে সুন্দর হবেনা,আমার স্বামী তাকে নিয়ে সুখী থাকবে না।
আবার এমন চিন্তা হয় যে আমি অন্য কাওকে বিয়ে করে অনেক সুখে থাকব,সে দেখতে খুব সুন্দর হবে, অনেক টাকা পয়সা থাকবে,আমাদের সুন্দর সুন্দর বাচ্চা হবে,আর এইগুলা দেখে আমার স্বামী অনেক কষ্ট পাবে যে আমি অন্য লোকের সাথে খুব সুখে আছি।
ওস্তায,এইগুলো চিন্তা হয়,জলপনা কল্পনা হয়,আমি চাইনা এইগুলো কল্পনা হোক,কিন্তু স্বামীর সাথে যখন আবার ঝামেলা হয় তখন এইগুলো আবার কল্পনা হয়।
আমি আমার স্বামীকে অনেক ভালোবাসি হাবিজাবি চিন্তাভাবনা আমি করতে চাই না।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমার বলা কেনায়া বাক্য/হাবিজাবি চিন্তার জন্য কোনো সমস্যা হলো কিনা।আবার মনকে বুঝাই আমার তো তালাক দেওয়া ক্ষমতাই নাই,তো আমার বলার জন্য কিছুই হয়নাই।
সিউর হতে আবার কৌশলে স্বামীর কাছে জানতে চাই-- বলি দেখো আমাদের সমাজে মহিলারা স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করে নেয় তাদের বিয়ে তো হয়না তখন আমার স্বামী বলে যিনার সম্পর্ক হয়। এমন অনেক কথাবার্তা হয়। এক পর্যায়ে আমার স্বামী বলে " (১)যে থাকতে চায় না তাকে যাইতে দেওয়াই ভালো" এই ধরনেরই একটা কথা বলে  ।  আবার বলে(২) "যদি থাকতে না চায় তাইলে স্বামীর উচিত দিয়ে দেওয়া এটা স্ত্রীর উপর এহসান করা"
আমি তাকে বলি তালাকের ক্ষমতা প্রাপ্ত মেয়েরাও স্বামীকে তালাক দিতে পারে না, তালাকের নোটিশে যদি বলে স্বামিকে তালাক দিলাম তবে হবে না,নিজের উপর তালাক নিতে হবে। তখন আমার স্বামী বলে"(৩) নিজের উপর তালাক নিলাম বললেই বা কি স্বামীকে তালাক দিলাম বললেই বা কি"
(যদিও সেদিনের কথাগুলো আমরা অন্যদের প্রসঙ্গে বলছিলাম,যারা স্বামীকে তালাক দেয়/স্বামীর কাছে তালাক চায় সেইসব মহিলাদের নিয়ে। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য ছিলো অন্যদের প্রসঙ্গে বলে আমার স্বামীর এই বিষয়ে ধারণা কি তা জানা)
আমি তাকে বলেছি ১৮ নং অনুচ্ছেদে তালাকের অধিকার দেওয়া হলেও পরে তা আবার ফেরত নেওয়া যায়। মহিলাদের জন্য এটা বাড়তি ক্ষমতা,মহিলাদের জন্যটা প্রয়োজন নেই, তাতে সমস্যা তৈরি হয়।

এই কথাবার্তার পরের দিন মাগরিবের নামাজের সময় আমার মনে বার বার নিজের উপর তালাক নেওয়ার কথা আসে আমি বার বার না না বলে সাথে সাথে। আবার মনে হয় তালাক নিয়েই ফেলেছি, সাথে সাথেই না না বলি,আল্লাহ মাফ করো বলি।দোয়া ইউনুস পড়ি,মনকে বলি আমার তো তালাকের ক্ষমতাই নাই। আমি এমন চিন্তা করতে চাইনা তারপরেও আসে। মনে মনে এইসব কথা আসে আবার হয়তো জিব্বাহও নাড়িয়ে বলেছি কিন্তু শব্দ করিনি।
এই সব কথা মনে আসার জন্য খুব পেরেশানি পরে যাই সেদিন রাতে আবার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করি" তুমি তো কাবিনের ১৮নং এ লিখিতভাবে দাও নাই কিন্তু বিয়ের পর কখনো মৌখিকভাবে আমাকে তালাকের ক্ষমতা দিয়েছ কিনা?
তখন স্বামী মাথা নেড়ে না বলে।
উনি বলে"তুমি ঘুরে ফিয়ে একই কথা কেন বলো(এর আগেও এই বিষয়ে আমি তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম)
তখন আমার স্বামী বলে, "তোমার যদি মনে হয় আমি দিছি তাহলে আমি ফিরিয়ে দিলাম"(তালাকের অধিকার)
তখন আমি বলি আমার প্রশ্ন এটা না।তুমি কখনো মৌখিকভাবে দিছিলা নাকি
উনি না করে আর বলে একদিন আমার মনে হয়েছিলো-"যদি তুমি চাও আমি দিয়ে দিব"(মুখে বলেনি তার মনে হয়েছিলো, কবে মনে হয়েছিলো তাও সে বলতে পারেনা)তখন আমি বলি না আমি কোনোদিনও চাই না।আমাকে উনি জিজ্ঞাসা করতেছে- এই ক্ষমতা স্বামীকে কে দিছে?  আমি বলেছি আল্লাহ।
তখন উনি বলে আল্লাহ কি বলছে স্বামী স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দিতে পারে?
আমি বলেছি শায়েখের কাছে শুনেছি,উনি বলে বলুকগা।

(১)মনে মনে স্ত্রীকে তালাকে ক্ষমতা দিলে স্ত্রী কি ক্ষমতা পাবে?
(২) "যে থাকতে চায়না তাকে যাইতে দেওয়াই ভালো/যে থাকতে চায়না তাকে রাইখা কি হইব/যে থাকতে চায়না তাকে রাইখা লাভ কি/নাই"
"যদি থাকতে না চায় তাহলে স্বামীর উচিত দিয়ে দেওয়া এটা স্ত্রীর উপর এহসান করা।
নিজের উপর তালাক নিলাম বললেই কি স্বামীকে তালাক দিলাম বললেই কি"

"এখন মেয়েরাই বেশি তালাক দেয়/ মেয়েরাই এখন এইকাজ বেশি করে।"

স্বামীর এমন কথা/ মনোভাবের জন্য আমি কি তালাকের অধিকার পাব?
(উল্লেখ্য, অন্য মেয়েদের বিষয়ে কথা বলার সময় স্বামী এমন কথা বলেছে,সমাজে এমনকি আত্নীয়দের মাঝেও এমন ঘটেছে মেয়েরাই প্রথম তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছে। কিন্তু যখন সরাসরি আমার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি আমার তালাকের অধিকার আছে কিনাতখন উনি বরাবরই না করেছেন)

(৩) লিখিত / মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে মেয়েরা নিজের উপর তালাক নিতে পারে?

(৪) ২নং প্রশ্নে আমি যদি তালাকের ক্ষমতা পাই তাহলে মনে মনে আমার যে তালাক গ্রহন করলাম এমন কথা আসে তার মাধ্যমে কি তালাক কার্যকর হবে?
ওস্তাদ আমিতো চাই না এমন কথা মনে আসুক,বা মুখে বলি তাও চাই না,মোট কথা আমি আমার স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ চাই না।

(৫) ওস্তাদ,২ তারিখ আজকে ৭ তারিখ,আমার মনে শুধু এমন কথাই আসতেছে" তালাক নিলাম/ তালাক গ্রহন করলাম / নফসের উপর তালাক নিলাম।
আমি চাই না এইগুলা মনে আসুক তবুও
আসে,তখন মনে হয় আবার মনে এইগুলা আসে তখন আবার মনে মনে বলা হয়ে যায়,কিন্তু আমি চাই না বলতে। কখনো কখনো জিব্বাহও নেড়ে বলেছি কিন্তু ঠোঁট নড়েছে কিনা মনে নেই।
কি করতে পারি ওস্তায,এই সমস্যার জন্য?

(৬)) উপরে বলেছি আমার স্বামীর সাথে রাগারাগি হলে বা কষ্ট পেলে হাবিজাবি চিন্তা করি/ একা থাকলে মুখেও বলি, তাতে কি কোনো সমস্যা হবে?

(৭) অনেক সময় রাগ করে বলি/মনে হয় স্বামীর সাথে আর কোনোদিন কথা বলব না।এমন বলা/মনে হওয়ার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?
by (5 points)
edited by
১/ওস্তায, আমার স্বামীর যে আমাকে বলল তার একদিন মনে হয়েছিলো-(তুমি যদি চাও আমি দিয়ে দিব)
এই কথায় কিংবা মনে হওয়ায় কি তালাকের অধিকার পাব?
কিংবা কোনোদিন যদি চাই তাহলে এই কথার জন্য কি সেদিন অধিকার পাব যদি তখন সে নাও দেয়?

২/ আমার স্বামীর এক কাজিনকে তার বউ প্রথমে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছে, আমার স্বামী আমাকে এই কথা বলেছিলো। 
আরেক দিন বলে এখন মেয়েরাই আগে দেয়/ এখন মেয়েরাই এই কাজ বেশি করে।
আবার একদিন বলতেছে "আমি ভয়েই থাকি"
কেনো ভয়ে থাকে উনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি।
তবে আমার ধারণা যে এখন মেয়েরাই যেহেতু আগে তালাকের নোটিশ পাঠায় তো এই জন্য হয়তো উনি ভয়ে থাকে এই কথা বলেছে।

উনার এমন কথায় কি আমি তালাকের অধিকার পাব?

৩/ একদিন স্বামীকে বলেছিলাম আমি যাবগা/ আমি বাসায়(বাবার) যাবগা,উত্তর স্বামী বলেছিলো যাওগা।
তখন অনেক কথা কাটাকাটি হচ্ছিলো। তো ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে শাশুড়ী মাকে বলেছিলাম, আম্মা আমি আজকে যাবগা(বাবার বাসায়)। 
এই ঘটনায় কি আমি তালাকের অধিকার পাব?

৪/ স্বামীকে বলেছিলাম তুমি যদি আর একটা বিয়ে করো তবে আমি চলে যাব/ তুমি আর একটা বিয়ে করলে আমি চলে যাব
স্বামী বলেছিলো যাওগা। তখন কিজানি মনে হলো, সাথে সাথে বললাম কিছু হলো নাতো। এই কথায় উনার তালাকের নিয়ত ছিলো না।কিন্তু এর মাধ্যমে কি আমি তালাকের অধিকার পাব?

৫/ ওস্তাদ, আমি স্বামীকে বলেছিলাম, "আপনার সাথে থাকা যায় না" উত্তরে স্বামী কি বলেছিলো আমার মনে পরছে না,
তবে এমন একটা কথা মনে পরে, উনি বলেছিলো" আমি তো খারাপ,আমার সাথে কি থাকা যায়/ আমার সাথে তো থাকা যায় না/ না থাকা গেলে আমি আর কি করতে পারি/না থাকলে কি করুম,(এই ধরনের কিছু কথা আমার মনে পরে তবে হুবহু বাক্য বলতে পারছিনা)এই কথা কি আমার কথার উত্তর হিসেবে তখনই বলেছিলো নাকি অন্য কোনো সময় অন্য কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে  বলেছিলো মনে নেই। এতে কি আমি তালাকের অধিকার পাব? 

ওস্তায,২ তারিখ থেকে শুধু মনে হয়,তালাক নিলাম,নিজের গ্রহণ করলাম,নফসের উপর তালাক নিলাম, তালাক নিয়েই ফেলছি।মুখে উচ্চারণ করিনি,হয়তো জিব্বাহ নড়েছে। কিন্তু আমি তো চাইনা তালাক নিতে। মনকে বুঝাই আমার তো তালাকের অধিকারই নাই, আমি বিয়ের ১ বছর ৭ মাসের মধ্যে কখনো তালাকের অধিকার নিতেও চাইনাই।
তখন আবার এই প্রশ্নগুলো মনে আসে। যে কখনো কোনো কথার মাধ্যমে কি অধিকার পেয়েছিলাম নাকি, যদি পেয়ে থাকি তাহলে মনের মাঝে এমন কথা আসায় তালাক পতিত হবে কিনা।


1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...