ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি খেতে পারবেন। আপনা নেওয়া ওই তেল দিয়ে যদি অন্য কোন খাবার তৈরি করা হয়, তাহলে সেই খাবার আপনি খেতে পারবেন।
(২)
قال: (وكل من اصطاد سمكا من نهر جار لرجل فهو للذي أخذه)؛ لأن صاحب النهر ما صار محرزا له بل هو صيد في نهره فالمحرز له من اصطاده،
যদি কোনো ব্যক্তির মালিকানায় একটি প্রবাহিত নদী থাকে,এবং উক্ত প্রবাহিত নদী থেকে কেউ মাছ শিকার করে নেয়,তাহলে যে ব্যক্তি শিকার করবে সে সেই মাছের মালিক বনে যাবে।কেননা এক্ষেত্রে নদীর মালিক উক্ত মাছের সংরক্ষণকারী হিসেবে গণ্য হচ্ছে না।বরং উক্ত নদীর মাছকে শিকার করা জনসাধারণের জন্য বৈধ বলে গণ্য হবে।এবং উক্ত মাছের সংরক্ষণকারী হিসেবে সেই গণ্য হবে যে মাছকে শিকার করবে।(মাবসুত-সারখাসী;১১/২১৫)
নিজ মাল অন্য কেউ নিয়ে গেলে তাকে চুর প্রমাণিত করতে হলে সর্বপ্রথম নিজ মাল যে সংরক্ষিত,তা প্রমাণ করতে হবে।মালকে সংরক্ষিত প্রমাণ করা ব্যতীত কাউকে চুর প্রমাণিত করা যাবে না।
যেহেতু পুকুরের মাছকে সংরক্ষণের দায়িত্ব মালিকের ছিল,তা যেকোনো ভাবেই হোক।কিন্তু এখানে মালিক তা করতে পারেননি।তাছাড়া এখানে কোন মাছ বেড়িয়ে যাচ্ছে,তা নির্দিষ্ট ও নয়।তাই উনার মাছ উনার মালিকানা থেকে অন্য কোথাও বেড়িয়ে গেলে তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে।পরবর্তীতে যে কেউ তা শিকার করতে পারবে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বৃষ্টির সময় জলাশয় থেকে কৈ মাছ বের হয়ে যদি ঐ মালিকের জায়গা অতিক্রম করে অন্য কোথাও চলে যায়, তাহলে সেই মাছ সবার জন উন্মোক্ত হয়ে যাবে।
(৩) নামাজে বুকে হাত বাধা সুন্নত। সুতরাং কোনো কারণে সরে গেলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৪) তাদের কাছে ক্ষমা না চাইলেও হবে।বরং শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে হবে।