আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু হযরত।
একটা বিষয় জানার ছিল
আমার বাবা একটা কেমিক্যাল স্টোরের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার।প্রথমে যখন উনি কাজ করতেন তখন কিছু মানুষ এমন জায়গা থেকে কেমিক্যাল অর্ডার করতো যেগুলো পানি মিক্সড করা,(মানে পানি মিক্সড না হলে অফিসে ওই কেমিক্যালটাকে বেশি ইউজ করা যায়,বেশি কসজ করা যায়) তাই উনি আসল প্রোডাক্ট আনার জন্য এ বিষয়ে দরখাস্ত করেন,কিন্তু বড় পদের লোকেরা এর সাথে জড়িত থাকায় দরখাস্ত বাদ হয়।
তারপর, আব্বু এমন এক জায়গা থেকে অর্ডার করেন যেখানে আসল প্রোডাক্ট দিত,এটাতে পানি মিশিয়ে অনেক বেশি কাজ করা যেতো,অফিসের টাকাও কম লাগতো।একজন লোকের কাছে অর্ডার করতো আমার বাবা,শুরুতে চুক্তি ছাড়াই উনি কিছু টাকা আমার বাবাকে দিতেন।
উনি আব্বুর অফিস থেকে অর্ডার পাওয়ার পর প্রায় প্রতিবার কিছু এমাউন্ট দেন।
একবার উনি দিচ্ছিলেন না বলে আব্বু উনার কাছ থেকে প্রেসার দিয়ে কিছু টাকা আদায় করেন।আমি এটা শুনেছি আব্বুর কাছ থেকে,অনেকটা এমন যে "কেমিক্যালের লোককে একটু প্রেসার দিয়েছি টাকা দেওয়ার জন্য।"
শুরুতে আশা করেন নি,কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে আমার বাবা আশা করা শুরু করেছে।(হয়তো পার্সেন্টিজ হিসেবে নেন,কারণ এইবার ১.৫ লাখ টাকা এনেছেন, আমার বাবার চাকরি ব্যতীত শুধু জমি বিক্রি করেই টাকা আসার সোর্স আছে,তাছাড়া কেমিক্যাল এর উনারা যদি কিছু দেন।এি ১.৫ লাখ টাকা জমি বিক্রি করে আসেনি। স্বাভাবিকভাবে ১.৫ লাখ,বা কখনো ৫০ হাজার টাকা তো কেউ এমনি এমনি দিবে না।প্রথমদিকে একবার ১০ হাজার টাকা দিয়েছিল মোবাইল কিনতে।আর কেমিক্যাল এর বেচাকেনা মাসে হয়তো ওই ব্যবসায়ীর ৫/৭ লাখ টাকার মতো বা তারও বেশি,এমনি হবে হয়তো যতদূর আন্দাজ করা যায়)
এই টাকা কি হালাল হবে???যদি সে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় দেয় তাহলে কি হারাম হবে?আর যদি পার্সেন্টিজ হিসাব করে টাকা দেয় এ অবস্থায় কি হারাম হবে?
جزا ك الله خير في الدنيا و الاخرة