ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কয়েক শর্তে নারীদের জন্য চিকিৎসা পেশা গ্রহণ রুখসতযোগ্য হতে পারে যথা-
(১) ডিউটারত অবস্থা কোনো প্রকার সাজসজ্জা ও সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না।
(২) সমস্ত শরীর বিশেষত চেহারাকে ঢেকে রাখতে হবে।
(৩) ঢিলেঢালা পোষাক পরিধান করতে হবে।
(৪) গায়রে মাহরাম থেকে সর্বদা নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।বিনা জরুরতে কোনো প্রকার কথা বলা যাবে না।
(৫) জরুরতে কথা বলার সময় মিষ্টিভাষাকে পরিহার করতে হবে।ক্ষেত্রভেদে রুক্ষভাষায় কথা বলতে হবে।
(৬) চক্ষুর হেফাজত করতে হবে।
(৭) চাকুরীর দরুণ স্বামীর হক আদায়ে কোনো প্রকার ত্রুটি করা যাবে না।
(৮) পাবন্দীর সাথে নামায পড়তে হবে।
مأخَذُ الفَتوی
قال تعالیٰ: ﴿وقل للمؤمنات یغضضن من أبصارہن ویحفظن فروجہن ولا یبدین زینتہن إلا ما ظہر منہا ولیضربن بخمرہن علی جیوبہن﴾ الآیۃ۔ (سورۃ النور ۳۱)۔
وقال تعالٰی ﴿یا ایہا النبی قل لاأزواجک وبناتک ونساء المؤمنین یدنین علیہن من جلابیبہن﴾ الآیۃ (سورۃ الاحزاب: ۵۹)
وفی سنن الترمذی: المرأۃ عورۃ اذا خرجت استشرفہا الشیطان۔ (ج۲، ص۲۲۲)
وفی الفقہ الاسلامی وادلتہ: إذا عملت الزوجۃ نہارًا أو لیلًا خارج المنزل کالطبیبۃ والمعلمۃ والمحامیۃ والممرضۃ الصانعۃ، فالمقرر فی القانونین المصری والسوری أنہ إذا رضی الزوج بخروجہا ولم یمنعہا من العمل، وجبت لہا النفقۃ (الی قولہ) وللزوجۃ أن تعمل فی البیت عملًا لا یضعفہا ولا ینقض جمالہا، وللزوج أن یمنعہا مما یضرہا۔ اھـ (ج۷، ص۲۹۲، ۲۹۳) واللہ اعلم بالصواب
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) পুরুষ আকৃষ্ট হয়/তাকে নিয়ে চিন্তা করে, এমন সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার কোনো প্রকার সুযোগ দেওয়া যাবে না। নারী সকল প্রকার চেষ্টার পরও যদি এমন কিছু হয়, তাহলে উক্ত নারী চিকিৎসের গোনাহ হবে না এবং স্বামীরও গোনাহ হবে না।
(২) যেই পরীক্ষায় ৯০% শিক্ষার্থী নকল করে সেই পরিস্থিতিতেও আপনার জন্য নকল করা জায়েয হবে না।