মুমিন বান্দাকে ঋণের ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকা জরুরী।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত ছাওবান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
مَنْ مَاتَ وَهُوَ بَرِيءٌ مِنْ ثَلَاثٍ: الكِبْرِ، وَالغُلُولِ، وَالدَّيْنِ دَخَلَ الجَنَّةَ،
‘যে ব্যক্তির মৃত্যু হবে অহংকার, খিয়ানত এবং ঋণ থেকে মুক্ত হয়ে, সে জানণাতে প্রবেশ করবে’।
(তিরমিযী হা/১৫৭২; ইবনু মাজাহ হা/২৪১২; ছহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব হা/২৮৯২; মিশকাত হা/২৯২১, সনদ ছহীহ।)
অর্থাৎ ঋণগ্রস্ত হয়ে মারা গেলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا بِفِنَاءِ الْمَسْجِدِ حَيْثُ يُوضَعُ الْجَنَائِز وَرَسُول الله جَالِسٌ بَيْنَ ظَهْرَيْنَا فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَصَره قبل السَّمَاء فَنظر ثُمَّ طَأْطَأَ بَصَرَهُ وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ قَالَ: «سُبْحَانَ الله سُبْحَانَ الله مَا نَزَلَ مِنَ التَّشْدِيدِ؟» قَالَ: فَسَكَتْنَا يَوْمَنَا وَلَيْلَتَنَا فَلَمْ نَرَ إِلَّا خَيْرًا حَتَّى أَصْبَحْنَا قَالَ مُحَمَّدٌ: فَسَأَلْتُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا التَّشْدِيدُ الَّذِي نَزَلَ؟ قَالَ: «فِي الدَّيْنِ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ رَجُلًا قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ ثُمَّ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ ثُمَّ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى دَيْنُهُ»
মুহাম্মাদ ইবনু ’আব্দুল্লাহ ইবনু জাহশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা মসজিদের সামনে খোলা জায়গায় বসাছিলাম, যেখানে জানাযা রাখা হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্যে বসে ছিলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আকাশের দিকে চোখ উঠিয়ে তাকালেন, অতঃপর দৃষ্টিকে অবনত করে কপালের উপর হাত রেখে বললেন, সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! কী কঠোরতম (আয়াত) অবতীর্ণ হলো!
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা একদিন একরাত নিশ্চুপই রইলাম; এ সময়ের মধ্যে সব ভালোই দেখলাম। মুহাম্মাদ বলেন, পরবর্তী দিন ভোর হলে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, কি কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ঋণের বিষয়ে কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে। ঐ আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! কোনো লোক আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করেছে, আবার শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করেছে, আবার শহীদ হয়ে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং তার ওপর ঋণ থাকায় সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তার ঋণ পরিশোধ করা হয়।
(আহমাদ হা/২২৪৯৩; মুস্তাদরাক হাকেম হা/২২১২; ছহীহুত তারগীব হা/১৮০৪; মিশকাত হা/২৯২৯, সনদ ছহীহ।)
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
لَوْ كَانَ لِي مِثْلُ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا يَسُرُّنِي أَنْ لاَ يَمُرَّ عَلَيَّ ثَلاَثٌ، وَعِنْدِي مِنْهُ شَيْءٌ إِلَّا شَيْءٌ أُرْصِدُهُ لِدَيْنٍ،
‘আমার কাছে যদি ওহুদ পাহাড়ের সমান সোনা থাকত, তাহ’লে আমার পছন্দ নয় যে, তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমার কাছে তার কিছু অংশ অবশিষ্ট থাকুক। তবে সেই পরিমাণ ব্যতীত, যা আমি ঋণ পরিশোধ করার জন্য রেখে দেই’।
(বুখারী হা/২৩৮৯; মুসলিম হা/৯৯১।)