আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্
https://ifatwa.info/96170/

এই লিংকের উত্তর মুতাবেক আমি ফসখে নিকাহের অধিকার পেয়েছি, আমাকে স্বামী তালাকের অধিকার না দেওয়ায় নিজের নফসের উপর তালাক দিতে পারছিনা, এখন জানার বিষয় হলো আমি তো আড়ার বছর আগে ডিভোর্স দিয়ে  স্বামীর কাছ থেকে এসে পড়েছি ( কোন দিক দিয়েই স্বামীর কাছ থেকে তালাকের অধিকার পায়নি আপনাদের দেওয়া উত্তর মুতাবেক তাই আবারও জানতে চাওয়া)

আড়াই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তার পাগলামি এখনও আছে বরং দিনদিন আরও রাড়তাছে এখন কি আদালত এর পক্ষ থেকে আরও এক বছরের সময় দিবে পাগল স্বামী সুস্থ হওয়া দেখার জন্য?

সরকারী আদালতে কি আমার বিষয়টা দায়ের করতে পারবো?
মেহেরবানী করে উত্তর দিয়ে টেনশন থেকে মুক্তি দিবেন ইনশাআল্লাহ
জাঝাকুমুল্লাহু খয়রন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: أُتِيَ عُمَرُ بِمَجْنُونَةٍ قَدْ زَنَتْ، فَاسْتَشَارَ فِيهَا أُنَاسًا، فَأَمَرَ بِهَا عُمَرُ أَنْ تُرْجَمَ، مُرَّ بِهَا عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَا شَأْنُ هَذِهِ؟ قَالُوا: مَجْنُونَةُ بَنِي فُلَانٍ زَنَتْ، فَأَمَرَ بِهَا عُمَرُ أَنْ تُرْجَمَ، قَالَ: فَقَالَ: ارْجِعُوا بِهَا، ثُمَّ أَتَاهُ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ الْقَلَمَ قَدْ رُفِعَ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَبْرَأَ، وَعَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَعْقِلَ؟ قَالَ: بَلَى، قَالَ: فَمَا بَالُ هَذِهِ تُرْجَمُ؟ قَالَ: لَا شَيْءَ، قَالَ: فَأَرْسِلْهَا، قَالَ: فَأَرْسَلَهَا، قَالَ: فَجَعَلَ يُكَبِّرُ 

ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা যেনার অপরাধে জনৈকা উম্মাদিনীকে ধরে এনে উমার (রাঃ)-এর নিকট হাযির করা হয়। তিনি এ ব্যাপারে লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে পাথর মেরে হত্যা করার নির্দেশ দেন। এ সময় আলী (রাঃ) তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি প্রশ্ন করলেন এর কি হয়েছে? উপস্থিত লোকেরা বললো, সে অমুক গোত্রের উম্মাদিনী (পাগল মহিলা), সে যেনা করেছে। উমার (রাঃ) তাকে পাথর মেরে হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেন, তোমরা তাকে নিয়ে ফিরে যাও। অতঃপর তিনি উমারের নিকট এসে বললে, হে আমীরুল মু‘মিনীন! আপনি কি জানেন না, তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) পাগল, যতক্ষণ না সুস্থ হয়, (২) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয় এবং (৩) নাবালেগ শিশু, যতক্ষণ না বালেগ হবে। তিনি বললেন, হ্যাঁ। আলী (রাঃ) বলেন, তাহলে তাকে পাথর মারা হবে কেন? তিনি বলেন, কোনো কারণ নেই। আলী (রাঃ) বলেন, তবে তাকে ছেড়ে দিন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাকে ছেড়ে দিলেন এবং ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি উচ্চারণ করলেন।
(আবু দাউদ ৪৩৯৯)

https://ifatwa.info/96170/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
স্বামী পাগল হলে স্ত্রী আদালতে তার স্বামীর পাগলামি সম্পর্কে দরখাস্ত দায়ের করবে। এবং আদালতে স্বামীর পাগলামি প্রমাণিত করবে। আদালত তদন্ত করে যদি স্বামীর পাগলামি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়, তাহলে স্বামীকে এক বৎসর চিকিৎসার জন্য অবকাশ দিবে। এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পরও যদি স্বামী সুস্থ না হয়, তাহলে স্ত্রীর আবেদনের প্রক্ষিতে আদালত স্ত্রীকে বিবাহ ভঙ্গের আবেদন করার সুযোগ দিবে। স্ত্রী যখনই আদালতে বিবাহ ভঙ্গের আবেদন করবে, তখন সাথে সাথেই আদালত স্বামী স্ত্রীর বিবাহ ভঙ্গের ফয়সালা শুনাবে।

(নোট- পাগল স্বামীর স্ত্রী নিজে বিবাহ ভঙ্গ করতে পারবে না বরং এক্ষেত্রে আদালতের ফয়সালা শর্ত)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি সরকারী আদালতে আপনার বিষয়টা দায়ের করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আদালত স্বামীকে এক বৎসর চিকিৎসার জন্য অবকাশ দিবে। এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পরও যদি স্বামী সুস্থ না হয়, তাহলে আপনার আবেদনের প্রক্ষিতে আদালত আপনাকে বিবাহ ভঙ্গের আবেদন করার সুযোগ দিবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারবো আদালতে?যেমনে মাসআলায় বলেছেন আমি মেয়ে হিসেবে একা একা তো এত কিছু ওারবোনা।  আমার স্বামী বিয়ের ২ বছরের অতিক্রান্ত হওয়ার পরও পাগলি রয়ে গেছে,   আমার সাথে বিয়ে বন্ধনের আগে থেকেই তার মানসিক এবং অন্যান্য সমস্যাও ছিল, তার পরিবারের লোকেরা যেমনে  থাকতে  বলছে ওমনেই সে চলছে তাই বিয়ের দিন বুঝা যায়নি। আমার বাবা নাই, মা আছে তিনি ছাড়া আমার খোঁজ নেয় এমন কেন অভিভাবক নাই তিনাকে এই বিষয়ে কিছু বললে আরও হাজারটা কথা শুনায় আমাকে, আমি যদি আদালতে এই বিষয়ে দায়ের করতে চায় একা একাই যেতে হবে, ইসলামে তো এত কঠোরতা নাই, কিন্তু আমি একজন মেয়ে হিসেবে আমার জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে এই বিষয়ে। অন্যত্রে বিয়ে দেওয়ার জন্যও উঠেপড়ে লেগেছে আমার মা।  আমি মেয়ে একা একা আর কতটুকুই ধমুয়ে রাখতে পারবো। 
 
মুফতি ওয়ালিউল্লাহ  সাহেব দয়া করে সমাধান চাই। টেনশন থেকে বাঁচতে চাই। 
by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্
 
আমি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করলে পরে আদালত বিয়ে ভঙ্গ করে দিলে তালাক হবে না, কারণ এক মাসআলায় তো এটাও আছে ছয় মাস দেখবে স্বামী পাগল হলে, তো দুই বছরের অনেক বেশি হয়ে গেছে এখনো তো সে পাগলেই রয়ে গেছে, আর বিয়ের সময়েও পাগলেই ছিল ওর পরিবার যা বলে দিত তাই করতো না বলে দিলে নিজের বুদ্ধিতে কিছুই করতে পারেনা, এজন্য দুই একদিন  লাগছে তার সমস্যা ধরতে, শরীয়তে তো এত কঠোরতা নেই, এটা তো আমার জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাড়াইছে আমার এই বিষয়ে কেউ কর্ণপাতি করে না আমার যদি আদালতে এই বিষয়ে দায়েরও করতে হয় আমার একাই যেতে হবে, আমার স্বতন্ত্র কোন গার্ডিয়ান নাই মা আছে শুধু তিনি আবার চাচ্ছেন অন্যত্রে বিয়ে দেওয়ার অনেক জোরাজুরি করতেছে কথা শুনাই এজন্য, আমার তালাক না হওয়া বিষয়ে বললে অনেক কিছু বলে আর তারা মনে করে,  একা আর কতটুকু করতে পারি মেয়ে মানুষ। 
মেহেরবানী করে মুফতি ওয়ালিউল্লাহ সাহেব উক্ত বিষয়টা জানালে খুব উপকার হতো,  টেনশন থেকে আপাতত বাঁচতে পারতাম ইনশাআল্লাহ। 

জাহাকুমুল্লাহু খয়র্

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...