আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
১/ সবসময় পিরিয়ড হয় ১০ দিন। ১০দিন পর মেঠে কালারের স্রাব যেত। রমাদানে ৮দিন পিরিয়ড হয়েছিলো। প্রত্যেকেবার ১০দিন পরে বিভিন্ন কালারের স্রাব গেলেও এবার রমাদানে যায়নি।
প্রশ্ন হচ্ছে এখন থেকে কি আমি আটদিন পিরিয়ড ধরব?  যদি ৮দিন পর ও বিভিন্ন কালারের স্রাব যায় তাহলেও কি ৮দিন ধরব?

২/ দাঁতের মহিলা ডাক্তারের কাছে গিয়েছি। স্কেলিং করিয়েছি। কিন্তু তিনি প্রফেশনাল লাগেনি। আমার দাঁতের এক পাশ ক্লিন করে দিয়েছেন অপর পাশ দিতে বলেছি তাও বললেন দিয়েছেন কিন্তু তখন আমি বুঝেছিলাম দেন নি। পরে বাসায় এসে চ্যাক করলাম দেখলাম দেন নি। রুট ক্যানেল করতে গেলে পুরুষ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে উনি পারবেন না। সবদিক বিবেচনা করে দেখলাম যে পুরুষ ডাক্তারের কাছে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। এক্ষেত্রে যদি পুরুষ ডাক্তারের কাছে যাই আমার কি গুনাহ হবে?  ডাক্তার ও উনার সহকারীর সামনে বেপর্দা হলে কি গুনাহ হবে?  উল্লেখ্য এমন পরিস্থিতি এড়াতে গিয়েছিলাম মহিলা ডাক্তারের কাছে কিন্তু উনার সার্ভিসে সন্তুষ্ট না তার উপর অনেক টাকা খরচ করে যদি ফায়দা না হয় তাহলে?
৩/ হিন্দুদের দোকানের বর্ষপূর্তি উদযাপন করে খাবার হাদিয়া দিলে কি খাওয়া জায়েয?  মিষ্টি বা বিভিন্ন ফাস্ট ফুড।

৪/ অনেক আত্মীয়(গরিব) যাকাতের(হারামভাবে উপার্জিত ) টাকা পেয়ে খাবার হাদিয়া দেন বিভিন্ন সময়  এগুলো খাওয়া কি জায়েয?
৫/ আবার অনেক আত্মীয় যারা অন্য আত্মীয়ের(বিদেশি) বাড়ি দেখাশোনা করেন। ফলমূল হাদিয়া দেন এগুলো খাওয়া কি জায়েয কারন বিদেশি আত্মীয়দের উপার্জন হালাল হারাম মিক্স হতে পারে আমার জানা নেই। তবে ইউরোপে তো বেশিরভাগ হারাম থাকে।
৬/ ছোটবেলা আম্মার অপারেশন হয়েছিলো। ভেবেছিলাম মারা যাবেন আর বাঁচবেন না। আল্লাহর কাছে কেদে কেদে দুয়া করছিলাম আমরা সব ভাইবোন বিয়ের পর যেন উনারা মারা যান। এখন এমন অবস্থা যে ভাইবোনদের খুব দ্রুত বিয়ে হয়ে যাচ্ছে :) আর আমার ভয় হচ্ছে সবার বিয়ে শেষেই আব্বা আম্মা মারা যাবেন।  আমার দোয়া কবুল হয়েছে। এই ভয়ে থাকি সারাক্ষণ।  কি করব এখন যদি এই দুয়া কবুল হয়ে যায় :) আমি বুঝিনি কল্যাণের দুয়া করতে হয়।  আমি না বুঝে ছোট ছিলাম তাই যা ভেবেছি বলে ফেলেছি।  করণীয় কি? এখন আমি নেক হায়াতের দোয়া করি। আব্বা আম্মা যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন সে দোয়া করি। কিন্তু আমি স্বস্তি পাই না ভাবি আগের দোয়া যদি কবুল হয়ে যায়?  দিশেহারা লাগে।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم، أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تُهَرَاقُ الدِّمَاءَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم، فَاسْتَفْتَتْ لَهَا أُمُّ سَلَمَةَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ:لِتَنْظُرْ عِدَّةَ اللَّيَالِي وَالْأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُهُنَّ مِنَ الشَّهْرِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا الَّذِي أَصَابَهَا، فَلْتَتْرُكِ الصَّلَاةَ قَدْرَ ذَلِكَ مِنَ الشَّهْرِ، فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ، ثُمَّ لِتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ، ثُمَّ لِتُصَلِّ فِيهِ

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক মহিলার (হায়িয-নিফাসের নির্দ্দিষ্ট সময় অতিক্রমের পরও) রক্তস্রাব হতো। উম্মু সালামাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ঐ মহিলার জন্য কি বিধান তা জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে যেন ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হবার আগে মাসের যে ক’দিন তার হায়িয হত তা খেয়াল করে গুনে রাখে এবং প্রতিমাসে সেই ক’দিন সে সলাত ছেড়ে দেয়। ঐ ক’দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে সে যেন গোসল করে নেয়, অতঃপর (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে সলাত আদায় করে।
(নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ হায়িয শেষে গোসল করা, হাঃ ২০৮), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ ঋতুবতী নারীর হায়িযের সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হওয়া প্রসঙ্গে, হাঃ ৬২৩), আবু দাউদ ২৭৪. আহমাদ (৬/২৯৩, ৩২০, ৩২২), মালিক (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা)

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ - أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ - أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ - صحيح 

উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আসমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অথবা আসমা-ই আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন যে, (পূর্বের হিসেব মতো) হায়িযের দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে, তারপর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে।
(আবু দাউদ ২৮১ নাসায়ী ২০১)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পরের মাসে যদি ৯ দিন বা ১০ দিন পিরিয়ড হয়,সেক্ষেত্রে পুরাটাই হায়েজ বলে গন্য হবে।

আর যদি ১০ দিনের পরেও স্রাব আসতেই থাকে,সেক্ষেত্রে ৮ দিন হায়েজ ধরবেন। 

আরো জানুনঃ- 

(০২)
এক্ষেত্রে আপনার জেলায় যদি বিজ্ঞ মহিলা ডাক্তার না পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে পুরুষ ডাক্তারের  কাছে যাওয়া যাবে।
তবে ডাক্তার দেখানোর সময় হিজাব ব্যবহার করবেন,যাতে শুধু চেহারা খোলা যায়,বাকি কোনো অংশ অনাবৃত রাখবেননা।

(০৩)
তা খাওয়া জায়েজ হবে।

(০৪)
এগুলো খাওয়া জায়েজ হবে।

আরো জানুনঃ- 

(০৫)
এক্ষেত্রে অধিকাংশ ইনকাম হারাম হলে তাদের দেয়া হাদিয়া গ্রহণ করা যাবেনা।

(০৬)
আপনি এখন আল্লাহর কাছে আপনার বাবা মার নেক হায়াত বৃদ্ধির জন্য দোয়া করবেন।

ইনশাআল্লাহ দোয়া কবুল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...