আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন : বিকাশ থেকে আমার কিছু টাকা উত্তলোন দরকার হয় তাই আমার বন্ধুর দোকান থেকে বিকাশ পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করে টাকা উত্তলোন করি আমার বন্ধুকে আমি পুরো টাকা দেই কিন্তু বিকাশে আমার রিওয়ার্ড পয়েণ্ট ব্যবহার করার কারনে কিছু টাকা আমার একাউন্টে জমা হয়। আমার প্রশ্ন হলো রিওয়ার্ড পয়েণ্ট ব্যবহার করে আমি যে টাকা আমি ক্যাশ ব্যাক পেলাম এটা কি সুদ হবে?

২. বিকাশের ক্যাশ ব্যাক টাকাটি কখন কখন সুদ হয়?

3. অনেক সময় অনলাইনে আলেমগণ ওয়াজ করার সময় কুরআন এর আয়াত বলে আবার হাদিস আরবীতে বলে। কখন কুরআন এর আয়াত বলতেছে আর কখন আরবীতে হাদিস বলতেছে অনেক আলেমগন বলে দেন কিন্তু যখন মাঝে মাঝে শুধু আরবী বলে আর যদি উল্লেখ না করে তখন আমরা যারা সাধারণ মানুষ আমরা বুঝতে পারিনা কোনটি কুরআন এর আয়াত আর কোনটি হাদিস। এতে কি আমাদের গুনাহ হয়? আমাদের করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
রিওয়ার্ড পয়েণ্ট ব্যবহার করে আপনি যে টাকা ক্যাশব্যাক পেলেন, এটা সুদ হবেনা।
এটা কোম্পানির পক্ষ থেকে হাদীয়া। সুতরাং এটি গ্রহন করা জায়েজ আছে। 

(০২)
বিকাশের পক্ষ থেকে যে ক্যাশব্যাক আসে,সেটা গ্রহন করা জায়েজ। 

এটি আপনার জন্য উক্ত কোম্পানীর পক্ষ থেকে হাদিয়া ধরা হবে। তাই উক্ত ক্যাশব্যাক ব্যবহার করাতে কোন সমস্যা নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]

বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৩)
এতে আমাদের গুনাহ হয়না।
এক্ষেত্রে কোনো করনীয় নেই।

তবে সেটি অন্যের কাছে বর্ণনা করলে বা কাউকে ঐ আয়াত/হাদীস দিয়ে নসিহত করলে সেটি আয়াত না হাদীস,সেটা জেনে তারপর অন্যকে নসিহত করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...