আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম। যেসব কাগজে কুরানের আয়াত লেখা থাকে তা বা পুরাতন আম পারা বা কুরআন মাজিদ কী করা যায় ?বলা হয় মাটির নিচে রেখে দিতে।কিন্তু ঢাকা শহরের   এরকম ভালো জায়গা পাওয়া সহজ নয়।  কুরআনের সম্মান রক্ষার নিয়তে  পুড়িয়ে ছাই করা যাবে? যাতে যেখানে সেখানে না থাকে।

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরআনে কারীমের অব্যবহারযোগ্য নুসখার ক্ষেত্রে করণীয় কি হতে পারে?
অসম্মান করার নিয়তে যদি কেউ কুরআনের পুরাতন বা অব্যবহারযোগ্য নুসখাকে জ্বালিয়ে দেয়, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। বরং তখনো কুরআনকে পবিত্র কাপড় দ্বারা মুড়িয়ে এমন স্থানে দাফন করে দেওয়াই উচিৎ যেখানে লোকদের সাধারণত চলাচল নেই। যদি কেউ কুরআনের পুরাতন নুসখাকে অসম্মান থেকে বাচাতে জ্বালিয়ে দেয়, তাহলে তাকে কাফির বলা যাবে না, হ্যা কাজটি সর্বদা অনুত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।

মোটকথাঃ-
অব্যবহারযোগ্য পুরাতন কুরআনের নুসখা সম্পর্কে তিনটি পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে,
(১) পবিত্র কাপড় দ্বারা মুড়িয়ে এমন স্থানে দাফন করে দেওয়াই উচিৎ যেখানে লোকদের সাধারণত চলাচল নেই। কবর খুদে বা বগলি কবর করে দাফন করাই উত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।
(২) ভাড়ী কোনো জিনিষ বেধে গভীর পানিতে ছেড়ে দেওয়া।
(৩) পানি দ্বারা ধৌত করে লিখাকে মিটিয়ে দেওয়া বা ক্যামিকাল দ্বারা মিটিয়ে দিয়ে অত:পর জ্বালিয়ে দেওয়া। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-2007 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...