আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।  শায়েখ আমার হাজবেন্ড বালিকা বিদ্যালয়ে চাকরি করে । এবং টিনএজ মেয়েদের টিউশন পড়ায়।  তিনি ইসলামের বিধি বিধান কিছুটা মেনে চলেন।  সব বিষয় নিয়ে এত বেশি সচেতন না। এখন বালিকা বিদ্যালয়ে চাকরি করা নিয়ে ইসলামের হুকুম কী?  তাছাড়া ntrca এর মাধ্যমে  এখন যে যে স্কুলগুলোর চাহিদা দেওয়া হয়েছে সেখানেও বালক বিদ্যালয় খুবই কম।  আমার হাজবেন্ডের ধ্যান জ্ঞান সব এই শিক্ষকতাকে নিয়েই।  তিনি অন্য কোনো চাকরি করতে ইচ্ছুক নন৷  সরকারি হিসেবে তার চাকরির বয়সও শেষ। ব্যবসার জন্য যে মূলধন/ ব্যাক আপ থাকা লাগে তাও তার নেই। তার কথা ব্যবসাতেও তো মহিলা ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেল করতে হবে। তাহলে সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে সেটা অগ্রহণযোগ্য হবে কেন? আমি তাকে অনেকভাবে বুঝিয়েছি এটা থেকে বের হয়ে আসতে।  তিনি বুঝতে চান না৷ এটা নিয়ে আমার খারাপ লাগে। নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। তাকে কীভাবে বুঝাতে পারি দয়া করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু বিশেষ বিবেচনা সহশিক্ষা পদ্ধতিতেও নিজ ঈমান আমল হেফাজতের শর্তে শিক্ষা গ্রহণ জায়েয, তাই শিক্ষাপ্রদানেরও রুখসত থাকবে। শর্ত হল, বিপরীত লিঙ্গ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।সর্বদা দৃষ্টির হেফাজত করতে হবে। এর চেয়ে ভালো মানের চাকুরীর সুযোগ পেয়ে গেলে তাৎক্ষণিত এই চাকুরী ছেড়ে দিতে হবে। ইনকাম হারাম হবে না। কেননা পড়ানোর বিনিময়ে বেতন আসছে। আর পড়ানো কোনো নাজায়েয বা হারাম কাজ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...