আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in পবিত্রতা (Purity) by (46 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।

আমার প্রশ্ন ছিল -
নেফাসে পরবর্তী হায়েজ শুরু হওয়া সম্পর্কে।
আমার সন্তান হয়েছে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ। আজ তিন মাস পূর্ণ হল, কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রতিদিন কোন একটা সময় একটু হলেও ঘোলাটে বাদামি বা লালচে স্রাব দেখতে পাই ।একেবারেই স্বচ্ছ সাদা স্রাব দেখতে পাইনি । এমতাবস্থায় আমি চল্লিশ দিন পূর্ণ হওয়ার পর ৪১ তম দিন অর্থাৎ প্রথম রমজানের দিন রোজা রাখি। আমি তখন আর কালার খেয়াল করিনি। ধরে নিয়েছিলাম ৪০ দিন পূর্ণ হয়েছে এবং আমার আগের বাচ্চার সময় পূর্ণ ৪০ দিনই নেফাস ,ছিল তাই এবারও ৪০ দিনের পর নামাজ রোজা শুরু করেছিলাম।

 পরবর্তীতে 43 তম দিন অর্থাৎ তৃতীয় রোজার দিন দুপুরে গোসল করার সময় আমি লাল স্রাব দেখতে পাই ।তখন একজন আলেমা ভাবির পরামর্শে আমি রোজা ভেঙে ফেলি। উনার ভাষ্যমতে 40 দিনের পর যে কোন সময় লাল স্রাব/ রক্ত দেখা দেখা গেলে সেটা হায়েয বলে গণ্য হবে। পরবর্তীতে আমি আইফতোয়াতে প্রশ্ন করে জানতে পারি নূন্যতম ১৫ দিন পবিত্রতার সময় ধরে তারপর থেকে হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। এখন আমি এরপর থেকে আমি খেয়াল করলাম, আর কখনোই একেবারেই সাদা স্রাব দেখতে পাচ্ছি না। আমি যার জন্য কোন ভাবেই কতদিন পরপর নামাজ পড়বো কতদিন নামাজ থেকে বিরত থাকবো তার হিসেব আর মিলিয়ে উঠতে পারছিনা।
উল্লেখ্য যে আমার প্রথম সন্তান নরমালে হয়েছিল এবং দ্বিতীয় সন্তান অর্থাৎ বর্তমানে আমার এই সন্তান সিজারে হয়েছে।
আমি মূলত জানতে চাচ্ছি যে , আমি কিভাবে নামাজের হিসাব করব ? হায়েজের হিসাব ধরবো কিভাবে? আমি ইস্তেহাজার দিনগুলো গণনা করব ? কতদিন পর পর নামাজ শুরু করব ? কতদিন পর পর নামাজ থেকে বিরত থাকবো?
আর সময় সুযোগ সমস্যার জন্য আমি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারছি না। তবে খুব দ্রুতই একজন গাইনি ডাক্তারের কাছে যাব।
তার আগ পর্যন্ত আমার নামাজ, রোজা এবং স্বামী সহবাসের মাসালা কি হবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছিলাম।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকল প্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 7474 

(وَمِنْهَا) النِّصَابُ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَثَلَاثُ لَيَالٍ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ. هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا. كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ ৩ দিন ৩ রাত। তিন দিনের কম রক্তস্রাব হলে সেটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০ দিন১০ রাত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুই হায়েযের মধ্যবর্তী সর্বনিম্ন ১৫ দিন গ্যাপ থাকতে হয়। এবং নেফাস ও হায়েযের মধ্যবর্তী ও ১৫ দিন গ্যাপ থাকতে হয়। যদি পূর্বের হায়েয বা নেফাসের ১৫ দিন পর রক্তস্রাব হয়, এবং সেটা তিন দিন তিন রাতের কম হয়, তাহলে সেটা ইস্তেহাযা। আর যদি তিন দিন তিন রাতের বেশী হয়, তাহলে এটা হায়েয। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...