ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺭْﺳَﻠْﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﺇِﻻَّ ﺭِﺟَﺎﻻً ﻧُّﻮﺣِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﺍْ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮِ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﻻَ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
আপনার পূর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে। (সূরা নাহল-৪৩)
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করা যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য)এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব।আরো জানতে ভিজিট করুন-
2040
মাযহাব ও তাকলীদ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
1936
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)আপনি যদি হানাফি ফিকহের অনুসারী হন, তাহলে হুরমত বিষয়েও হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করতে হবে।
(২)হানাফি মাযহাবের অনুসারী হয়ে অন্য মাযহাবকে মানা জায়েয হবে না। প্রবৃত্তির অনুসরণের নিমিত্তে গোনাহ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাই থাকবে।
(৩)তাকলিদে গায়রে সাখসি মানাও জায়েয হবে না।প্রবৃত্তির অনুসরণের নিমিত্তে গোনাহ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাই থাকবে।
(৪) অন্য মাযহাবের মত কোরআন হাদিসের কাছাকাছি মনে হচ্ছে, সেটা আপনি বুঝলেন কিভাবে? আপনার বুঝাতে কি ভুল হতে পারে না।
(৫) সাহাবায়ে কেরাম রাঃ তাবেইন, তাবে তাবেইন, তাদের সাথে আমাদের তুলনা করা যাবে না। তারা সরাসরি কুরআন হাদিস থেকে বিধানাবলী বুঝে নিতে পারতেন।
(৬)একজন থেকে না নিয়ে বিভিন্ন জন থেকে মাসআলা নিচ্ছেন।সেটা কেন নিচ্ছেন। নিশ্চয় নিজের সুবিধার কথা বিবেচনা করে, অথবা বেশী বিশুদ্ধ মনে করে, কোন সহীহ আর কোনটা সহীহ না, সেটা নির্ধারণ করার যোগ্যতা কি অদ্য আপনার আছে?
(৭) আপনি বিভিন্ন জন থেকে মাস'আলা নিবেন, এটাই প্রমাণ করে যে, আপনি সুযোগের সন্ধানে রয়েছেন।