আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (74 points)
১।আমি হানাফি মাজহাব মানি কিন্তু দুই একটা মাসআলা নিয়ে সংসয় কাজ করে সেটা হল হুরমতে মুসাহারাত নিয়ে কোরআন হাদিসে সরাসরি বিয়ের কারনে কিন্তু আমাদের মাজহাবে আর হাম্বলি মাজহাব এ যিনার কারনে হয়। যদি জোরপূর্বক শশুর পুত্রবধুকে ধর্ষন করে এখানে দোষ শশুরের এখানে ছেলের আর পুত্রবধুর কি দোষ। আমি মাসআলা পরে দেখলাম বিয়ের উদ্দেশ্য সহবাস করা সেকারনে হবে তবে শুধু ছোয়া আর লজ্জাস্থান দেখার জন্য কেউ কি বিয়ে করে নাকি সে কারনে কেনো হবে।

২।এখন হুরমতে মুসাহারাত নিয়ে বাকি মাজহাব এর মত আমার কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য মনে হয় সেক্ষেত্রে কি হানাফি মাজহাব এ থেকে অন্য মাজহাবের মত মানার কারনে আখিরাতে শাস্তি হবে?

৩।তাকলিদে গায়রে শাখসি মানলে কি কবিরা গুনাহ হবে আর যদি হয় ইজমা না মানার কারনে কি কবিরা গুনাহ হবে?

৪।আমি যদি নফসের তাবেদারি না করে কিছু ক্ষেত্রে অন্য মাজহাবের মত কোরআন হাদিসের কাছাকাছি মনে হয় তাহলে কি মানলে কবিরা গুনাহ হবে


৫।সাহাবায়ে কেরাম রাঃ তাবেইন তাবে তাবেইন উনারা কি তাকলিদে সাখসি পালন করতেন নাকি গায়রে সাখসি পালন করতেন যদি গায়রে সাখসি পালন করলে কি নফসের পুজা হবে না কেনো আমাদের ক্ষেত্রে কেনো হবে?
৬।একজন থেকে না নিয়ে বিভিন্ন জন থেকে মাসআলা নিলে নফছের পুজা কেনো হবে সে তো শরিয়ত পালন করতে চাইতেছে।
৭।যদি একেক মাসআলার ক্ষেত্রে একেকজন ওজুর ক্ষেত্রে একজন তালাকের ক্ষেত্রে অন্য একজন এক মাসআলায় ভিন্ন মত থাকলে যে কোনো একটা মানলে সুবিধামত না পাল্টালে নফসের পুজা কেনো হবে কারন চার মাজহাব হক।


আমি হানাফি মাজহাব মানি খটকা লাগার কারনে প্রশ্ন করা

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺭْﺳَﻠْﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﺇِﻻَّ ﺭِﺟَﺎﻻً ﻧُّﻮﺣِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﺍْ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮِ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﻻَ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
আপনার পূর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে। (সূরা নাহল-৪৩)
এই জিজ্ঞাসা এবং সে অনুযায়ী আ'মল করা এর নামই মাযহাব।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/402

মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করা যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য)এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব।আরো জানতে ভিজিট করুন- 2040 

মাযহাব ও তাকলীদ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- 1936 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)আপনি যদি হানাফি ফিকহের অনুসারী হন, তাহলে হুরমত বিষয়েও হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করতে হবে।

(২)হানাফি মাযহাবের অনুসারী হয়ে অন্য মাযহাবকে মানা জায়েয হবে না। প্রবৃত্তির অনুসরণের নিমিত্তে গোনাহ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাই থাকবে। 

(৩)তাকলিদে গায়রে সাখসি মানাও জায়েয হবে না।প্রবৃত্তির অনুসরণের নিমিত্তে গোনাহ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাই থাকবে। 

(৪) অন্য মাযহাবের মত কোরআন হাদিসের কাছাকাছি মনে হচ্ছে, সেটা আপনি বুঝলেন কিভাবে? আপনার বুঝাতে কি ভুল হতে পারে না।

(৫) সাহাবায়ে কেরাম রাঃ তাবেইন, তাবে তাবেইন, তাদের সাথে আমাদের তুলনা করা যাবে না। তারা সরাসরি কুরআন হাদিস থেকে বিধানাবলী বুঝে নিতে পারতেন।

(৬)একজন থেকে না নিয়ে বিভিন্ন জন থেকে মাসআলা নিচ্ছেন।সেটা কেন নিচ্ছেন। নিশ্চয় নিজের সুবিধার কথা বিবেচনা করে, অথবা বেশী বিশুদ্ধ মনে করে, কোন সহীহ আর কোনটা সহীহ না, সেটা নির্ধারণ করার যোগ্যতা কি অদ্য আপনার আছে?

(৭) আপনি বিভিন্ন জন থেকে মাস'আলা নিবেন, এটাই প্রমাণ করে যে, আপনি সুযোগের সন্ধানে রয়েছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 248 views
...