জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মাইয়্যিত যদি মহিলা হয়,বা তার মাহরাম পুরুষ হয়,তাহলে হায়েজাহ মহিলা তাকে স্পর্শ করতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।
ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন
ولا حرج على الحائض في ذلك؛ لأن بدنها طاهر، فقد سأل الصحابة رضوان الله عليهم رسول الله صلى الله عليه وسلم عن التعامل مع الزوجة الحائض فقال: اصنعوا كل شيء إلا النكاح. رواه مسلم وغيره.
,
সারমর্মঃ হায়েজাহ মহিলার ক্ষেত্রে মাইয়্যিত কে চুম্বন স্পর্শ করতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ তার দেহ শুদ্ধ, রাসুল সাঃ বলেছেন যে তাদের সাথে বিবাহ ব্যতীত অন্য সব কিছু করো।
সুনানে ইবনে মাজার ৬৪৪ নং হাদীসে এসেছে
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ الْيَهُودَ، كَانُوا لاَ يَجْلِسُونَ مَعَ الْحَائِضِ فِي بَيْتٍ وَلاَ يَأْكُلُونَ وَلاَ يَشْرَبُونَ . قَالَ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَنْزَلَ اللَّهُ (وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ) فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " اصْنَعُوا كُلَّ شَىْءٍ إِلاَّ الْجِمَاعَ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। বাড়িতে ইহূদীরা ঋতুবতী মহিলাদের সাথে একত্রে বসতো না এবং পানাহার করতো না। রাবী বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট বিষয়টি উত্থাপন করা হলে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) লোকে আপনাকে ঋতুস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুনঃ তা অশুচি। অতএব তোমরা ঋতুস্রাবকালে স্ত্রীসঙ্গ ত্যাগ করো (সূরাহ বাকারাঃ ২২২)। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা তাদের সাথে সঙ্গম ব্যতীত আর সবকিছুই করতে পারো।
মুসলিম ৩০২, তিরমিযী ২৯৭৭, নাসায়ী ২৮৮, ৩৬৯; আবূ দাঊদ ২৫৮, ২১৬৫; আহমাদ ১১৯৪৫, ১৩১৬৪; দারিমী ১০৫৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২৫০।
,
ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন
إذا كان الميت من محارم المرأة كأبيها، وأخيها، وعمها، وخالها، فيجوز لها أن تمسه كما يجوز لها تقبيله ، سواءً أكانت المرأة حائضاً أم طاهراً ، وكذلك الحال لو كان المتوفى زوجها .
أمّا إذا كان هذا الميت من غير المحارم فانّه لا يجوز قطعاً للمرأة في هذه الحالة أن تمسه سواء كانت طاهراً أم حائضاً لأنّه لا يجوز لمس المرأة لرجل لا يحل لها
যদি মৃত ব্যক্তি তার পিতা, তার ভাই, তার চাচা এবং মামা মতো কোনও মহিলার মাহরাম হত, তবে সে তাকে স্পর্শ করতে পারে কারণ তাকে চুম্বন করা জায়েয, যদিও মহিলাটি ঋতুস্রাব করছিল বা পাক ছিল
তবে যদি এই মৃত ব্যক্তিটি মাহরাম নয় তবে এ ক্ষেত্রে কোনও মহিলার পক্ষে তাকে স্পর্শ করা একেবারেই জায়েয নয়, সে পবিত্র অবস্থায় হোক বা ঋতুস্রাব হোক না কেন, যে মহিলার পক্ষে জায়েয নয় এমন পুরুষকে স্পর্শ করা বৈধ নয়
(০২)
ব্যক্তি জীবিত এবং সুস্থ্য থাকা অবস্থায় তার মালিকানাধীন সম্পদ যাকে ইচ্ছে দান করতে পারে। যেখানে ইচ্ছে খরচ করতে পারে। এতে তার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় তার অর্জিত সম্পদের একক মালিকানা তার হাতেই থাকে। তাতে যাচ্ছেতাই হস্তক্ষেপের অধিকার তার রয়েছে। এতে কেউ হক দাবী করার অধিকার রাখে না। হ্যা, মৃত্যুর পরের কথা ভিন্ন। তখন শরয়ী নীতিমালা অনুপাতে সম্পদ বন্টন করতে হয়।
তবে মুস্তাহাব পদ্ধতি একটু ভিন্নঃ
ইসলামের উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী যদিও ছেলে-মেয়ের প্রাপ্ত সম্পদে বৈষম্যের বিষয়টি স্বীকৃত এবং এই বিধান মহান রব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকেই প্রদত্ত, কিন্তু হেবাসূত্রে সম্পদ বণ্টনের মাসআলা এর থেকে ভিন্ন। এখানে বৈষম্যের সুযোগ নেই। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যদি তার জীবদ্দশায় নিজ সন্তানদের মাঝে সম্পদ বণ্টন করে তাহলে তার জন্য সব ছেলে-মেয়ের মাঝে সমানহারে সম্পদ বণ্টন করা মুস্তাহাব।
,
আরো জানুনঃ
কোনো উত্তরাধিকারকে সম্পদ থেকে মাহরুম করা জায়েজ নেই।
মিশকাতুল মাসাবিহ গ্রন্থের ৩০৮৭ নং হাদীসে এসেছে
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «مَنْ قَطَعَ مِيرَاثَ وَارِثِه قَطَعَ اللّٰهُ مِيرَاثَه مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওয়ারিসদের উত্তরাধিকারের অংশ কেটেছে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তার জান্নাতের উত্তরাধিকারীর অংশ কেটে নিবেন।
(ইবনে মাজাহ ২৭০৩)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সৎ ছেলে এমনিতেই উক্ত মহিলা থেকে কোনো সম্পদ পাবেনা।
তবে স্বামীকে মাহরুম করা ঠিক হবেনা।
এতে যদি উক্ত সম্পত্তির মালিক তার ভাইরা হয়ে যাবে,তবে স্বামীকে মাহরুম করার কারনে উক্ত মহিলা মহান আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
,
স্বামীর অংশ জানুন :
স্বামী ২ ভাবে মৃত স্ত্রীর সম্পত্তির ভাগ পেয়ে থাকে। স্বামী কখনো তাঁর মৃত স্ত্রীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে না। মৃত স্ত্রীর কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তির ১/৪ অংশ পাবে। মৃত স্ত্রীর কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তান কেউই না থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তির ১/২ অংশ পাবে।