জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে যদি জরায়ুর আশেপাশে এবং মুখে লেগে থাকা উক্ত সাদা স্রাবের পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে উক্ত নাপাকসহ নামায পড়া জায়েজ নয়। কিন্তু যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, তাহলে উক্ত নাপাকসহ নামায পড়া পড়লে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}
فلما ذكره صاحب الأسرار عن علي وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء وروي عن عمر أيضا أنه قدره بظفره(عمدة القارى شرح صحيح البخارى، كتاب الوضوء، باب غسل الدم، رقم الحديث-227،3/140
হযরত আলী রাঃ এবং ইবনে মাসউদ রাঃ [কাপড়] নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ নির্ধারণ করেছেন নখ পরিমাণ। {উমদাতুল কারী-৩/১৪০, আদিল্লাতুল হানাফিয়্যাহ-১০১}
বিস্তারিত জানুনঃ
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু এক দিরহাম থেকে কম, তাই নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
(০২)
হ্যাঁ নামাজ পড়া যাবে।
(০৩)
সাদাস্রাব যে কোনো কাপড় বা টিস্যু দিয়ে উপর থেকে মুছে ফেললেই পবিত্রতা অর্জন হয়ে যায়।
,
তবে উক্য জায়গা ঘামে ভিজে যাওয়ার যেহেতু আশংকা রয়েছে,তাই ভেজা কিছু দিয়ে মোছা বা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলাই উত্তম।
মুসলিম রাহ. বর্ণনা করেন, আব্দুর রহমান বিন ইয়াযীদ রাহ. বলেন, সালমান ফারসী রা.-কে বলা হল, তোমাদের নবী তোমাদের সবকিছু শিক্ষা দিয়েছেন; এমনকি শৌচাগার ব্যবহারের পদ্ধতিও! আব্দুর রহমান বিন ইয়াযীদ রাহ. বলেন, সালমান রা. বললেন, ‘হাঁ, অবশ্যই! তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, আমরা যেন ডান হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করি, ইস্তিঞ্জার সময় তিন পাথরের কম ব্যবহার না করি এবং গোবর বা হাড্ডি দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করি।’ বর্ণনাটির আরবী পাঠ-
عَنْ عَبْدِ الرّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ: قِيلَ لَهُ: قَدْ عَلّمَكُمْ نَبِيكُمْ كُلّ شَيْءٍ حَتى الْخِرَاءَةَ قَالَ: فَقَالَ: أَجَلْ لَقَدْ نَهَانَا أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ لِغَائِطٍ، أَوْ بَوْلٍ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِينِ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِأَقَلّ مِنْ ثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيعٍ أَوْ بِعَظْمٍ.
-সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬২
আরো দেখুন : জামে তিরমিযী, হাদীস ১৬; সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস ৭; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৭১৯
,
মহানবী (সা.)-এর সময় এর প্রচলন ছিল। তিনি শিঙা লাগাতেন। অতঃপর ভেজা কাপড় দিয়ে শিঙা লাগানোর জায়গা মুছে ফেলতেন।
,
(০৪)
রোজা রাখার সময়, কোনও মহিলা ইস্তানাজা করার সময় তার ভেজা আঙুল দিয়ে জরায়ুর অভ্যন্তরটি প্রবেশ করাতে পারবেনা।
ভিতরে পানি প্রবেশ করাতে পারবেনা।
সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জরায়ুর অভ্যন্তরে শুকনো কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে নিবেন,
বাহিরের অংশে পানি দিয়ে ধুয়ে,বা ভেজা কিছু দিয়ে মুছে অতঃপর শুকনো কিছু দিয়ে মুছে নিবেন।
,
সব ক্ষেত্রেই টিস্যু বা শুকনো কিছু দিয়ে মুছে দিলেও পবিত্রতা অর্জন হয়ে যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
রোযা অবস্থায় এটাই সতর্কতা।
الفتاوى الهندية (1/ 204):
’’ولو أدخل أصبعه في استه أو المرأة في فرجها لايفسد، وهو المختار إلا إذا كانت مبتلةً بالماء أو الدهن فحينئذٍ يفسد؛ لوصول الماء أو الدهن، هكذا في الظهيرية. هذا إذا كان ذاكراً للصوم، وهذا تنبيه حسن يجب أن يحفظ؛ لأن الصوم إنما يفسد في جميع الفصول إذا كان ذاكراً للصوم، وإلا فلا، هكذا في الزاهدي‘‘.
সারমর্মঃ হাত যদি ভেজা হয়,অথবা তৈল যুক্ত হয়,তাহলে সেটি জরায়ুর অভ্যন্তরে প্রবেশ করালে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
পানি অথবা তৈল ভিতরে প্রবেশ করার কারনে।
,