আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
শায়েখ, আমি একজন ২৯ বছর বয়সী অবিবাহিত পুরুষ। পেশায় প্রকৌশলী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বিয়ের জন্য চেষ্টা করছি। পারিবারিক ও নিজের পছন্দানুযায়ী দ্বীনদার ও মেধাবী বৈশিষ্ট্যর পাত্রীকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। পরিবার থেকে ২জন দ্বীনদার ডাক্তার মেয়ের খোঁজ পেয়েছে। কিন্ত মুশকিল হলো পাত্রীর বয়স ২৮/২৯! নারীর শারীরিক ও মানুষিক ম্যাচুরিটির অগ্রবর্তী অবস্থান (মেয়ের মা হবার ফিটনেসসহ নানাবিধ) বিবেচনায় প্রায় সমবয়সী মেয়েকে বিয়ে করা কি সমীচীন? অথবা, পাত্র-পাত্রীর স্বাভাবিক বয়স গ্যাপ কত হওয়া উচিত?
যদিও জানা আছে যে, রসুল (সা:) ও আম্মাজান খাদিজা (রা:) এর বিবাহে পাত্র-পাত্রীর বয়সে বিপরীত ধারনাও প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্ত, যেহেতু একজন স্বাভাবিক দ্বীনদার বাংগালী ছেলে হিসেবে একাধিক বিবাহের আকাঙ্খা রাখিনা। ফলে, পাত্রীর মধ্যে দ্বীনদারিসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেলে বয়সের পার্থক্য থাকা/নাথাকা কিভাবে মূল্যায়ন করা উচিত?
জাজাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে নির্দিষ্ট বয়সের কোনো তফাৎ নাই।বরং যে কোনো বয়সের কাউকে অন্য যে কেউ বিয়ে করতে পারবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' ২৫ বৎসর বয়সে চল্লিশোর্ধ নারীকে বিয়ে করেছিলেন।এবং পঞ্চাশোর্ধ অবস্থায় ৬/৯ বৎসরের মহিয়সী নারী আম্মাজান আয়েশা রাযির সাথে সংসার শুরু করেছিলেন। 

হ্যা, সাধারণত স্বামীর বয়স থেকে দুয়েক বৎসর কম হওয়াটা উচিৎ যাতেকরে স্ত্রীকে ফরমায়েশ করা যায় এবং চলাফেরা করতে সুবিধা হয়। জান্নাতে নারী পুরুষগণ সমবয়স্ক হবে।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّا أَنشَأْنَاهُنَّ إِنشَاءً *فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا*عُرُبًا أَتْرَابًا
আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।কামিনী, সমবয়স্কা। (সূরা ওয়াকেয়া-৩৬-৩৭)

মুআয ইবন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَدْخُلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ جُرْدًا مُرْدًا مُكَحَّلِينَ أَبْنَاءَ ثَلاَثِينَ أَوْ ثَلاَثٍ وَثَلاَثِينَ سَنَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَبَعْضُ أَصْحَابِ قَتَادَةَ رَوَوْا هَذَا عَنْ قَتَادَةَ مُرْسَلاً وَلَمْ يُسْنِدُوهُ .
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতীরা লোমহীন, শ্মশ্রুহীন, কাজলটানা চোখ বিশিষ্ট ত্রিশ বা তেত্রিশ বছরের যুবকরূপে জান্নাতে দাখিল হবে।(তিরমিযি-২৫৪৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...