আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম
১)ওযু ছাড়া তাফসীরে উসমানি ১-৩ খন্ড ধরা যাবে? বাংলা ধরে ধরে পড়া যাবে আরবিতে হাত না রেখে?হায়েজ হলে ধরে পড়া যাবে তাফসীর শুধু?
২)ফজরের পর মানে ইশরাকের আগে ঘুমানো কি মাকরুহ?

৩) মাগরীবের পর মানে ইশার আগে ঘুমানো কি মাকরুহ?

৪) ইশার পর কথা বলা কি মাকরুহ?

৫)কেউ যদি দৈনিক ১দিনের কাযা সলাত আদায় করে কিন্তু তার ৯ বছরের কাযা। সে নিয়ত করে সে এটা ৯ বছরে আদায় করবে, তবে সে ৯ বছর আদায়ের আগেই মারা যায়। সে কি আল্লহর কাছে এই অনাদায়কৃত কাযা নামাজের কারণে বা কাযা রোজার কারণে শাস্তি পাবে? নাকি সে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাওয়ার কারণে ক্ষমা পাবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হায়েয অবস্থায় কুরআনের তাফসীর সম্বলিত ঐ সব কিতাব যেগুলোর অধিকাংশ জুড়ে তাফসীর রয়েছে, সেগুলোতো স্পর্শ করা জায়েয হবে না, হ্যা, স্পর্শ না করে শুধুমাত্র তাফসীর পড়ার রুখসত থাকবে ।তবে যেগুলোর অধিকাংশ জুড়েই তাফসীর, সেগুলো স্পর্শ করা যাবে। 
وقد جوّز أصحابنا مس كتب التفسير للمحدث ولم يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً، ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً''۔(1/177۔دارالفکر)

'' وفي مراقی الفلاح'' :
''قوله : ( إلا التفسير ) في الأشباه: وقد جوّز بعض أصحابنا مسّ كتب التفسير للمحدث ولم يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً، ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً۔ وفي الجوهرة: كتب التفسير وغيرها لا يجوز مس مواضع القرآن منها وله أن يمس غيرها''۔(1/95)فقط واللہ اعلم

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হায়েজ অবস্থায় মোবাইলে কুরআনের বাংলা তাফসীর পড়া যাবে। তবে তাতে যদি কুরানের আয়াত থাকে তাহলে, সেই কিতাবকে স্পর্শ করা যাবে না। স্পর্শ না করে,শুধুমাত্র তাফসীর পড়া যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-৯৪৬২৭ 

সুতরাং ওযু ছাড়া তাফসীরে উসমানি ১-৩ খন্ড ধরা যাবে।কুরআনের আয়াতে স্পর্শ না করে বাংলা ধরে তাফসীর পড়া যাবে। হায়েযের সময়ও পড়া যাবে। 

(২)ফজরের পর ইশরাকের আগে না ঘুমাই উচিৎ।
(৩) মাগরীবের পর ইশার আগে না ঘুমানোই উচিত।
(৪) ইশার পর বিনা প্রয়োজনে গল্পগুজব করা মাকরুহ।
(৫) যদি কেউ দৈনিক ১দিনের কাযা সলাত আদায় করে এবং তার ৯ বছরের কাযা থাকে। সে নিয়ত করে যে, সে এটা ৯ বছরে আদায় করবে, তবে ৯ বছর আদায়ের পূর্বেই সে মারা যায়। তাহলে তার এই নিয়তের কারণে হয়তো আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন। বাদবাকী আল্লাহই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...