ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হায়েয অবস্থায় কুরআনের তাফসীর সম্বলিত ঐ সব কিতাব যেগুলোর অধিকাংশ জুড়ে তাফসীর রয়েছে, সেগুলোতো স্পর্শ করা জায়েয হবে না, হ্যা, স্পর্শ না করে শুধুমাত্র তাফসীর পড়ার রুখসত থাকবে ।তবে যেগুলোর অধিকাংশ জুড়েই তাফসীর, সেগুলো স্পর্শ করা যাবে।
وقد جوّز أصحابنا مس كتب التفسير للمحدث ولم يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً، ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً''۔(1/177۔دارالفکر)
'' وفي مراقی الفلاح'' :
''قوله : ( إلا التفسير ) في الأشباه: وقد جوّز بعض أصحابنا مسّ كتب التفسير للمحدث ولم يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً، ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً۔ وفي الجوهرة: كتب التفسير وغيرها لا يجوز مس مواضع القرآن منها وله أن يمس غيرها''۔(1/95)فقط واللہ اعلم
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হায়েজ অবস্থায় মোবাইলে কুরআনের বাংলা তাফসীর পড়া যাবে। তবে তাতে যদি কুরানের আয়াত থাকে তাহলে, সেই কিতাবকে স্পর্শ করা যাবে না। স্পর্শ না করে,শুধুমাত্র তাফসীর পড়া যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-৯৪৬২৭
সুতরাং ওযু ছাড়া তাফসীরে উসমানি ১-৩ খন্ড ধরা যাবে।কুরআনের আয়াতে স্পর্শ না করে বাংলা ধরে তাফসীর পড়া যাবে। হায়েযের সময়ও পড়া যাবে।
(২)ফজরের পর ইশরাকের আগে না ঘুমাই উচিৎ।
(৩) মাগরীবের পর ইশার আগে না ঘুমানোই উচিত।
(৪) ইশার পর বিনা প্রয়োজনে গল্পগুজব করা মাকরুহ।
(৫) যদি কেউ দৈনিক ১দিনের কাযা সলাত আদায় করে এবং তার ৯ বছরের কাযা থাকে। সে নিয়ত করে যে, সে এটা ৯ বছরে আদায় করবে, তবে ৯ বছর আদায়ের পূর্বেই সে মারা যায়। তাহলে তার এই নিয়তের কারণে হয়তো আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন। বাদবাকী আল্লাহই ভালো জানেন।