আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমি এক রুমের একটা বাসা নিয়েছি কিন্তু সেখানে আলাদা মিটার নাই, আরেকজন ভাড়াটিয়ার সাথে শেয়ারে বিল দিতে হয়। টোটাল যা বিল আসে তার থেকে অর্ধেক করে দুই ভাড়াটিয়া কে নির্দিষ্ট করে দেন বাড়িওয়ালা এবং কিছু টাকা তিনি নিজেও দেন(বাড়িওয়ালা এখানে থাকেন না)

আমি হোস্টেলে থাকি , বিবাহিত জন্য বাসা নেওয়া মাসে হয়তো ৫-৭ দিন সর্বোচ্চ বাসায় গিয়ে থাকা পরবে, অন্য ভাড়াটিয়া রেগুলার থাকেন এবং তার ফ্যামিলিতে সদস্য ও বেশি, তার ফ্রিজ, টিভি আছে।
কিন্তু আমার রুমে শুধু একটা লাইট আর ফ্যান চলবে, আর যে ৫-৭ দিন থাকবো রাইস কুকারে রান্না করবো। (রাইস কুকারে রান্নার কথা শুনে অবশ্য উনি বলেছেন যে উনি তো গ্যাসে রান্না করেন আমি কুকারে রান্না করলে তো বিল বেশি আসবে কিন্তু আমার কথা উনিও তো ফ্রিজ আর টিভি সারা মাস ব্যবহার করেন তাই আমার মনে হয়েছে আমি ৫-৭ দিন  রান্না করলেও উনার সমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করবো না, এক্ষেত্রে আমি অবশ্যই বাড়িওয়ালা এবং উনার মৌখিক সম্মতি নিয়েই কুকার ব্যবহার করবো ইনশাআল্লাহ,)

আমার ধারণা আমি অপর ভাড়াটিয়ার তুলনায় কোন মাসে ই বেশি কারেন্ট ব্যবহার করবো না।
সে হিসেবে আমার কারনে তার লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

যদি উভয় ভাড়াটিয়া ই এভাবে ভাড়া দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হ‌ই তাহলে এ বাসায় ভাড়া থাকায় কি কোন সমস্যা আছে? এইভাবে কারেন্ট বিল শেয়ারে দেওয়া কি জায়েয হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা উভয়েই যদি সন্তুষ্টি চিত্তে এভাবে শেয়ারে বিল দেন,তাহলে তাহা বৈধ হবে।

তবে এক্ষেত্রে উত্তম হলো সাব মিটার এর ব্যবস্থা করা।
তাহলে আর কোনো সমস্যাই হবেনা।

(উল্লেখ্য সাব মিটার এর দাম তেমন বেশি নয়। ৬০০ টাকার মতো। তাই আপনি নিজ রুমে সাব মিটার লাগিয়ে নিবেন,সেই সাব মিটারে যে কয় ইউনিট উঠবে,সেটার বিল আপনি দিবেন।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...