১) একদিন আমি এবং আমার স্বামীকে কথা কাটাকাটির মধ্যে বলেছিলাম থাকবো না তোমার সাথে ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দাও, তখন আমার হাজবেন্ড বললো আমি পারবো না, তুমি দাও, তোমার বাপকে বলো গিয়ে, আমার টাকা নাই যে আমি দিবো, তখন আমি বলেছিলাম টাকা দেওয়া লাগবেন না, তুমি আনো ডিভোর্স পেপার আমি পারবো না। এমন কথায় কি তালাক হয়ে যাবে? আমাদের কারোর ই তালাকের নিয়ত ছিলো না, এমন কি এসব কথায় যে তালাক হয় তাও আমরা কেউ জানতাম না, এক্ষেত্রে কি তালাক হয়ে যাবে?
২)ঐ কথা গুলোর দ্বারা কি আমাকে তালাকের অধিকার দিয়ে দিয়েছে সে? তাকে পরে বলেছিলাম তুমি কি তাহলে তালাকের অধিকার আমাকে দিয়ে দিয়েছো? উত্তরে তিনি বললেন না কখনোই না, এগুলোতে তালাক হয় তাই তো আমি যানি না, আর তালাক দেওয়া তো পরের বিষয়, কোনো নিয়ত ই ছিলো না, তাহলে কি এক্ষেত্রে সে আমাকে তালাকের অধিকার দিয়েছে এটা বুঝাবে? মানে আমি কিছু বললেই এক্ষেত্রে তালাক হবে কি? যেহেতু আমি মেয়ে, একথার দ্বারা কি আমি তালাক দেওয়ার অধিকার পেয়ে গেলাম?
৩)অন্য দিন তিনি রাগ করে আমাকে বললেন আসলে ডিভর্স দেওয়া উচিত কিনা, তুমি পাঠাই দিও, সাইন দিয়ে দিবানি, এসব সংসার আমি করতে চাই না, জীবনে কিছু করতে পারলে বিয়ে করবানি কিন্তু এসব অপমানিত সংসার করার মানেই হয় না। এমন কথায় কি তালাক হবে? উনাকে পরে বললাম আমাদের সম্পর্ক কি আদেও আছে? তুমি যে এগুলো বললা, উনি বললো থাকবে না কেন, আমি তো ডিভোর্সের নিয়তে তোমাকে এগুলো বলি নি। আমি বুঝতেছি না এসব বলাতে আমাদের সম্পর্ক আছে কি নাই? কথা গুলো তিনি মুখে বলেন নাই, মেসেজে লিখেছিলেন।
৪)যদি ওয়াইফ কখনো বলে থাকবো না আমি একা থাকবো, আর স্বামী উত্তরে বলে যাও গা, তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে? এক্ষেত্রেও যদি তালাকের নিয়ত না থাকে?