আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
আমি কাপড়ের ব্যাবসা করতে চাই। এক্ষেত্রে পাইকারি বাজারে বিভিন্ন নামি দামি ব্রান্ডের আসল পন্য পাওয়া যায় এবং তাদের নকল পন্য ও পাওয়া যায় আবার কিছু পন্যে শুধু তাদের লোগো ব্যাবহার করে।  কোনটির সাথেই সেই ব্রান্ডের কোন সম্পর্ক নেই। এমতাবস্থায় আমার কি সেই পন্যগুলো পাইকারি কিনে বিক্রি করা  জায়েজ বা হালাল হবে?

জাঝাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ব্যবসার ক্ষেত্রে শরীয়তের মূলনীতির মধ্যে অন্যতম একটি হলো কোনো প্রকারের ধোকার আশ্রয় নেওয়া যাবেনা।
,
এটি হারাম।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
      
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

মদীনার বাজারে এক ব্যক্তি গমের স্তুপ দিলো। কিন্তু স্তুপের উপরিভাগের গম ছিলো একটু শুকনা, আর ভিতরের গম ভিজা। নবীজী বিষয়টি লক্ষ্য করে বললেন,
مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي
এভাবে যারা ধোকার আশ্রয় নেয়, তারা আমার দলভূক্ত নয়। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২
,
مَنْ بَاعَ عَيْبًا لَمْ يُبَيِّنْهُ ، لَمْ يَزَلْ فِي مَقْتِ اللهِ، وَلَمْ تَزَلِ الْمَلاَئِكَةُ تَلْعَنُهُ. قال البوصري في مصباح الزجاجة: هذا إسناد ضعيف وكذا في التنقيح لابن عبد الهادي

যে ব্যক্তি ক্রটিযুক্ত পণ্য বিক্রি করে অথচ গ্রাহককে তা অবহিত করে না, সে ব্যক্তি সর্বদা আল্লাহ তাআলার ক্রোধে নিপতিত থাকে এবং ফেরেশতাগণ সর্বদা তার উপর অভিশাপ ও লানত দিতে থাকে। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২২৪৭

মোটকথা, ইসলামী শিক্ষার আলোকে ব্যবসা-বাণিজ্যে সব ধরনের অস্বচ্ছতা-চালবাজি নিষিদ্ধ ও অভিশপ্ত। নবীজী এই সমস্ত অপকর্মে যুক্ত ব্যক্তিদের থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে দায়মুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন। 
,
★নকল পন্য আসল পন্য বলে বিক্রয় করাও ধোকার অন্তর্ভুক্ত, তাই সেটিও জায়েজ নেই।
,
নকল বিক্রয় করলে সেটি বিক্রয়ের সময়েই স্পষ্ট আকারে জানিয়ে দিতে হবে যে এটি নকল পন্য। 
তাহলে তাহা জায়েজ আছে। 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য সেই পন্যগুলো পাইকারি কিনে বিক্রি করা জায়েজ বা হালাল হবে।

তবে নকল পন্যকে আসল পন্য বলা যাবেনা।
কোনো রকমের ধোকার আশ্রয় নেয়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...